খবরা-খবর
৮-৯ জানুয়ারি ধর্মঘটের সমর্থনে সভা

বহরমপুর

আগামী ৮-৯ জানুয়ারি এ আই সি সি টি ইউ এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির আহ্বানে দেশজুড়ে যে সাধারাণ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে তার প্রচার কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে গত ১৬ ডিসেম্বর বহরমপুরে বাসস্ট্যান্ড, গোরাবাজার নিমতলা মোড় ও খাগড়া ভৈরবতলায় তিনটি পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এ আই সি সি টি ইউ এবং সি পি আই (এম এল) লিবারেশনের বহরমপুর লোকাল কমিটি আয়োজিত উক্ত পথসভাগুলিতে—বাসস্ট্যান্ডে বক্তব্য রাখেন পার্টির জেলা সম্পাদক রাজীব রায়। শংখ গুপ্ত পরবর্তী বক্তা হিসাবে ধর্মঘটের দাবিগুলিকে তুলে ধরেন। এরপর পার্টির রাজ্য নেতা জয়তু দেশমুখ ধর্মঘটের পরিপ্রেক্ষিত এবং দাবিগুলির যৌক্তিকতা নিয়ে বিস্তারিত ও প্রাঞ্জল বক্তব্য রাখেন। গোরাবাজার নিমতলায় বক্তব্য রাখেন জেলা নেতা অপূর্ব লাহিড়ি, জেলা সম্পাদক রাজীব রায় ও রাজ্য নেতা জয়তু দেশমুখ। বাসস্ট্যান্ডের তুলনায় বেশি জনবহুল এলাকা হওয়ার জন্য ধর্মঘটের বার্তা বহুদূর অবধি পৌঁছে যায়। শেষ সভাটি হয় খাগড়া ভৈরবতলায়। এখানে বক্তব্য রাখেন রাজীব রায়, শংখ গুপ্ত ও পার্টির রাজ্য নেতা জয়তু দেশমুখ। শহর জুড়ে এই প্রচার জনগণের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করে।

বাগনানে

গোটা রাজ্য জুড়ে কৃষক ও ক্ষেতমজুরদের দাবীগুলি নিয়ে এ আই কে এম এবং আয়ারলার প্রতিবাদ কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে এবং ৮-৯ জানুয়ারি সাধারণ ধর্মঘটের সমর্থনে হাওড়া জেলার বাগনান ১নং ব্লকের বাঙালপুর মোড়ে অনুষ্ঠিত হলো পথসভা। এই সভায় বক্তব্য রাখেন সি পি আই (এম এল)-এর জেলা সম্পাদক দেবব্রত ভক্ত। এছাড়ায় বক্তব্য রাখেন কল্যাণী গোস্বামী, সনাতন মণি, নীলাশিস বসু, সি পি আই (এম) নেতা ও এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক আক্কেল আলি, সি পি আই নেতা শঙ্কর চক্রবর্তী প্রমুখ। সভার সঞ্চালনা করেন আয়ারলা নেতা নবীন সামন্ত। বক্তারা সকলেই ৮-৯ জানুয়ারির ধর্মঘটকে সর্বাত্মক সফল করার ডাক দেন এবং কৃষিজীবি জনতার দুর্দশার বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কৃষক-ক্ষেতমজুর বিরোধী নীতির বিরুদ্ধেও বক্তারা আওয়াজ তোলেন। একইসাথে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ডাকা ধর্মঘটকে ব্যর্থ করতে রাজ্যের তৃণমূলী ভৈরব বাহিনী যেভাবে মাঠে নেমেছে তাকেও প্রতিরোধের আহ্বান জানান। টেক্সমেকো স্টিল ফাউন্ড্রিতে এ আই সি সি টি ইউ নেতৃত্বকে যেভাবে হেনস্থা করা হয় তার বিরুদ্ধেও ধিক্কার জানানো হয় সভা থেকে।

খণ্ড-25
সংখ্যা-39