খবরা-খবর
করোনার দিনগুলিতে মানুষের পাশে বামেরা
lef

১) কলকাতায় বাম দলগুলির রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ –

রেশনে দুর্নীতিমুক্ত খাদ্য সরবরাহ ও পরিমাণ বৃদ্ধি, গরিব মানুষের হাতে নগদ অর্থ প্রদান, পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানো, করোনা টেস্ট বাড়ানো ইত্যাদি একপ্রস্থ দাবিতে গত ১৮ এপ্রিল কলকাতায় জরুরী কর্মসূচী নেয় বাম ও সহযোগী দলগুলি। প্রথমে স্থির ছিল শারীরিক দূরত্ব যথাযথ বজায় রেখে দাবিসমূহের প্ল্যাকার্ড সহ কিছু সময়ের জন্য বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হবে এন্টালি মার্কেটের সামনে। কিন্তু জায়গাটা ইতিমধ্যে রেড জোন ঘোষিত হওয়ায় কর্মসূচীর স্থান পরিবর্তিত হয় ময়দান এলাকায় আম্বেদকরের মুর্তির সামনে। সেখানে প্ল্যাকার্ড হাতে প্রতিবাদ কর্মসূচী চলছিল। কর্মসূচী শেষ হতে মমতা সরকারের পুলিশ বাহিনী সকলকেই গ্রেফতার করে লালবাজারে নিয়ে যায় এবং সেন্ট্রাল লক আপে না ঢুকিয়ে বাইরে দূরত্ব রেখে বসিয়ে রাখে। পরে ঘন্টাদুয়েক বাদে সকলকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ধৃতদের মধ্যে ছিলেন বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, মহঃ সেলিম (সিপিআইএম), বাসুদেব বসু (সিপিআইএমএল), নরেন চ্যাটার্জী (ফরওয়ার্ড ব্লক) সহ ৪০ জন। বাম দলগুলি এই অন্যায় গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানায়।

২) অনুগ্রহ নয়-চাই খাদ্যের অধিকার। নদীয়ার খাদ্য দপ্তরে বামদলগুলির যৌথ ডেপুটেশন

রেশনের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ানো গ্রামের গরিব মানুষদের যদি জিজ্ঞেস করা যায়, আপনার কার্ডে কতটা মাল বরাদ্দ জানেন? অধিকাংশ মানুষেরই উত্তর পাওয়া যাবে – ঠিক জানি না! শহরের যে নিম্নবিত্তরা এতদিন রেশন দোকানমুখী হতেন না, মাঝে মধ্যে গেলেও ডিলার যতটুকু চাল গম দিতো সেটা নিয়েই চলে আসতেন। এখন করোনা লকডাউনের পরিস্থিতিতে সংকটগ্রস্ত সেই মানুষরাও বিনামূল্যের চাল-গম নিতে রেশনের লাইনে দাঁড়িয়ে! শহর শহরতলীর রেশন দোকানগুলিতে আজকাল ডাল, তেল, বিস্কুট সাবান, এমনকি ধূপকাঠিও পাওয়া যায় কিছুটা “ন্যয্য মূল্যে”। সেখানে ৪২/৪৫ টাকার মিনিকিট চাল কেনার ভিড়ে ২ টাকার চাল পাওয়া মানুষেরা কদাচিৎ জিজ্ঞেস করে থাকেন তাঁদের কার্ডে কতটা মাল পাওয়া যাবে! এখন ডিলার বলছে পুরো মাল সাপ্লাই আসেনি। অগত্যা যেটুকু পাচ্ছেন বিনা বাক্য ব্যায়ে নিয়ে চলে আসছেন। তাঁদের অনেকেই জানেন না রাজ্য যোজনায় থাকা নিজের রেশন কার্ডে প্রাপ্য কতটা? করোনা লকডাউনের জন্য টিভিতে এখন ঘণ্টায় ঘণ্টায় চলছে সরকারী বিজ্ঞাপন। নানা ধরনের কার্ডে বিনামূল্যে খাদ্যদ্রব্য পাওয়া যাবে সেই কথা ঘনঘন প্রচার করা হচ্ছে। সেখানে বলা হচ্ছে “নিজ নিজ স্কেল অনুযায়ী” চাল গম পাবেন। কোনো কার্ডে কতটা পরিমাণ প্রাপ্য সেটা কিন্তু টিভির বিজ্ঞাপনে আদৌ বলা হচ্ছে না। নদীয়ার গ্রামাঞ্চলে নাকাশীপাড়া ব্লকের শিবপুর গ্রাম থেকে শুরু করে কলকাতার যাদবপুর বা বিজয়গড় – রেশনে বরাদ্দ চাল-গম কম পেলে কুণ্ঠাভরে প্রশ্ন করলে উত্তর মেলে না। আমাদের কম দেওয়া হচ্ছে কেন? কিছু ব্যতিক্রম থাকলেও এটাই হয়ে দাঁড়িয়েছে সাধারণ চিত্র। রেশন পাওয়াটাকে সাধারণ মানুষ প্রায়শই সরকারী অনুগ্রহ বলেই বিবেচনা করে থাকেন। যেমন রাজ্য সরকারের কাছে এ প্রশ্নের উত্তর মেলে না যে কেন্দ্রীয় ঘোষণার অতিরিক্ত চাল কি রাজ্যের এফসিআই গোডাউনে মজুত করা হয়েছে? তাহলে সেটা অতিরিক্ত পরিমানে দেওয়া হচ্ছে না। তাই অনুগ্রহ নয় রেশনে খাদ্য পাওয়া আমাদের অধিকার – এই দাবিকে সামনে রেখে গত ১৭ এপ্রিল কৃষ্ণনগরে নদীয়া জেলা খাদ্য দপ্তরে সংগঠিত হলো বামপন্থী দলগুলির যৌথ ডেপুটেশন। প্রধান দাবি ছিলো প্রতিটি রেশন দোকানে কত পরিমাণ মাল দেওয়া হচ্ছে এবং কোন কার্ডে প্রাপ্য কতটা সেটা লিখিত ভাবে টাঙিয়ে দিতে হবে। এ বিষয়টি গ্রামে গ্রামে মাইকে প্রচার করতে হবে। গ্রাহকদের ক্যাশমেমো বাধ্যতামূলক ভাবে দিতে হবে। রেশন দুর্নীতি রোধে তদারকী কমিটি গঠন করতে হবে। এছাড়া অন্যান্য যে দাবিগুলি ছিলো তা হলো –

সমস্ত গরিব পরিবারকে মাসে ৩৫ কেজি খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ করতে হবে।

স্পেশাল রিলিফের চাল রেশন দোকানের মাধ্যমে বিলি করতে হবে। কোনো মতেই শাসকদলের মাধ্যমে “ত্রাণ” হিসাবে বিলি করা চলবে না। এপিএল বিপিএল বিভাজন নয়,সকল পরিবারকে বিনামূল্যে রেশন দিতে হবে। পরিযায়ী শ্রমিক-বিড়ি-পরিবহন-নির্মান-হকার-মিড ডে মিল কর্মী সহ সমস্ত শ্রমজীবী মানুষদের এবং যাদের কার্ড নেই তাদেরকে বিনামূল্যে রেশন দিতে হবে। যারা টোকেন পায়নি এমন গরিব মানুষ এবং আরকেএসওয়াই ২নং গ্রাহকদের বিনামূল্যে রেশন দিতে হবে ইত্যাদি। ডেপুটেশনে নেতৃত্ব দেন সিপিআই(এমএল)-এর অমল তরফদার, প্রভাস সাহা, সিপিএমের সুমিত দে, এম সাদী এবং ছিলেন সিপিআই ও পিডিএসের নেতৃবৃন্দ।

এরপর এআইসিসিটিইউ-র পক্ষ থেকে জেলা শাসকের কাছে ত্রাণ সাহায্যের জন্য গরিব শ্রমজীবী মানুষের ৩৫৫ জনের তালিকা জমা দেওয়া হয়।

রিপোর্ট - জয়তু দেশমুখ

rati

৩) নদীয়ার ধুবুলিয়ায় ত্রাণ বিলি -

১৭ এপ্রিল নদীয়া জেলার গাছা এলাকার গাছাগ্রাম-ঘোষপাড়া-পশ্চিমপাড়া- আদিবাসীপাড়ায় ২০০-র অধিক পরিবারকে ত্রাণ বিলি করা হয়। সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের গাছা অফিস থেকে বিলিবণ্টন করেন মুড়াগাছা লোকাল কমিটির সম্পাদক ভুলু সাহেব, লোকাল কমিটি সদস্য ধীরেন বিশ্বাস, আছারুদ্দিন সেখ, কাওছার সেখ, নিমাই মন্ডল প্রমুখ। ধুবুলিয়া লোকাল কমিটি তিন কুইন্টাল চাল ও চার প্যাকেট আলু পাঠায়, বাকি তিন কুইন্টাল চাল ও তিন প্যাকেট আলু গাছার স্থানীয় কমরেডরা সংগ্রহ করেন। এই ত্রাণ বিলিবণ্টন এলাকায় ভালো প্রভাব ফেলেছে।

৪) ১৮ এপ্রিলের রিপোর্ট - বলাগড়ের গুপ্তিপাড়া ২নং অঞ্চলের রথসরক পাড়ার ভানু হালদার দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। মাস তিনেক আগে কল্যাণী হাসপাতালে ভর্তি হলে ডাক্তারবাবু জানান, ক্যানসার হয়েছে বলে মনে হয়। তিনি বলেন কলকাতায় পিজি/এনআরএস/কলকাতা মেডিকেল তিনটির মধ্যে যেকোনো একটিতে দেখাতে পারেন। তাই পরিবারটি এনআরএস-এ ডাক্তার দেখিয়ে ৪ দিন আগে বাড়ি ফেরেন। এরপরে স্থানীয় আরএসএস ও বিজেপি নেতা মৃদুল সুর, সোমা সুর কিছু সমর্থক নিয়ে ভানু হালদারের বাড়িতে চড়াও হয়। তাঁর পুত্র প্রদীপ হালদার, পুত্রবধূ নয়না হালদারদের নিদান দেয়, তোমাদের বাড়ির মধ্যেই থাকতে হবে। পরিবারটি কৃষক পরিবার হওয়ায় জানায়, তাঁরা বাড়িতে থাকবেন তবে কাউকে চাষের কাজের দায়িত্ব নিতে হবে। কিন্তু বিজেপি নেতারা সেই দায় নিতে অস্বীকার করে এমনকি কৃষক পরিবারটির জমিতে কেউ যাতে কাজে না লাগে তার জন্য গ্রামের আশেপাশে প্রচার করে যে, ওদের জমিতে কাজ করলে করোনা হবে। পরিবারটিকে অর্থনৈতিক অবরোধের মুখে ফেলে দেয়। পরিবারটির সদস্য নয়না হালদার সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের হুগলী জেলা কমিটির সদস্যা শোভা ব্যানার্জির সাথে যোগাযোগ করেন। ফোন পেয়ে আজ ১৮ এপ্রিল সকাল ১০টা নাগাদ পার্টির বলাগড় ব্লক সম্পাদক শেখ আনারুল, শোভা ব্যনার্জি ও কমরেড অভিজিৎ ঐ গ্রামে পৌঁছে যান। ভানু হালদারের পরিবার সহ পাড়ার আরও তিনটি পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলার পরই বলাগড় থানার ওসি-কে ফোন করে ঘটনাটি জানানো হয় পরিবারের সদস্যা নয়না হালদারের একটি ভিডিও বার্তা ওসি-কে পাঠানো হয়। তিনি বিষয়টি গুপ্তিপাড়া থানার আইসি কে জানান। সিপিআই(এমএল)-এর সদস্যরা উপস্থিত থাকাকালীনই আইসি পরিবারটির সাথে দেখা করে কথা বলেন যারা গুজব ছড়িয়েছে তাদের নামগুলো নোট করেন। পার্টির তরফ থেকে নিম্নলিখিত তিনটি বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আইসি-কে বলা হয়েছে –

ক) গুজবের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসনকে মাইকিং করতে হবে।
খ) গুজব রটনাকারী বিজেপি সদস্যদেরকে গ্রেফতার করতে হবে।
গ) কৃষি কাজ যাতে ব্যহত না হয় তার ব্যবস্থা করতে হবে।

আইসি সকলের সামনে জানান যে তিনি ব্যবস্থা নেবেন। সিপিআই(এমএল) লিবারেশান পরবর্তী পদক্ষেপের উপর নজর রাখছে।

hg

৪) রেশন দুর্নীতির বিরুদ্ধে বৈঁচিগ্রামে বিক্ষোভ -

এক রেশন ডিলারের বড় মাত্রায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে গত পরশু বিডিও-র কাছে সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের তরফে অভিযোগ জানানো হয়েছিল । যেমন RKSY-1 কার্ড হোল্ডারদের কাউকে ৩ কেজি গম দেওয়া হয়েছে তো তার প্রাপ্য বাকি ২ কেজি চাল তাকে দেওয়া হয়নি। কারো বেলায় ঠিক বিপরীতটা অর্থাৎ ২ কেজি চাল দেওয়া হয়েছে অথচ প্রাপ্য আটা দেওয়া হয়নি। পার্টির অভিযোগের ভিত্তিতে প্রশাসনের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যারা বঞ্চিত হয়েছিলেন তারা এখন রেশন শপে গিয়ে আগে যা পাননি এবার পেয়ে যাচ্ছেন । ডিলার বলছেন, “উপর তলায় বলবার কী দরকার ছিল? আমার কাছে এলেই তো আমি দেখতাম।” মানুষ পার্টির উদ্যোগে খুশিি।

৫) ১৮ এপ্রিল বাঁশদ্রোণীতে পরিযায়ী শ্রমিকদের সমর্থনে বিক্ষোভ -

পরিযায়ী শ্রমিকদের দাবিতে বিক্ষোভ পরিযায়ী শ্রমিকদের দাবি সনদ নিয়ে আজকের এই বিক্ষোভ প্রদর্শনীতে সিপিআই(এমএল) কর্মী-সমর্থক এবং নির্মাণ শ্রমিক সদস্য নিয়ে মোট ১২ জন উপস্থিত ছিলেন। সকাল দশটা নাগাদ বাঁশদ্রোণী মেট্রো স্টেশনের সামনে এই কর্মসূচী নেওয়া হয়। সকাল দশটা থেকে দশটা কুড়ি পর্যন্ত প্রায় কুড়ি মিনিট ধরে এই বিক্ষোভ প্রদর্শন চলে। পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানো এবং লকডাউন  ভাতা সহ বিভিন্ন দাবি সনদের পোস্টার হাতে এবং শ্লোগানের মধ্য দিয়ে প্রায় কুড়ি মিনিট বিক্ষোভ চলে। পথচলতি বিভিন্ন মানুষ, রিকশাচালক এবং উপস্থিত অন্যান্য শ্রমিকরা আমাদের দাবি এবং আহ্বানকে প্রশংসার সাথে পর্যবেক্ষণ করে। এর মধ্যে পুলিশের সক্রিয়তা যথেষ্ট পরিমাণেই চোখে পড়ে। পুলিশ ভ্যানের টহল, ইনফর্মারা  গোটা কর্মসূচী নজরে রাখে। প্রায় কুড়ি মিনিট ধরে বিক্ষোভ প্রদর্শন চলার পর দাবি সনদ বিভিন্ন দেয়ালে টাঙিয়ে দিয়ে  কর্মসূচী শেষ করে স্থান ত্যাগ করা হয়। দূর থেকে নজরে আসে, কিছুক্ষণের মধ্যেই বিশাল পুলিশবাহিনী এলাকা থেকে ঘিরে ফেলে।

kol

৬) নদীয়ার তাহেরপুরে পৌরসভায় ডেপুটেশন -

করোনা লকডাউনের পরিস্থিতিতে সংকটগ্রস্ত মানুষের কয়েকটি জরুরি দাবিকে তুলে ধরে তাহেরপুর নোটিফায়েড এরিয়া কর্তৃপক্ষের কাছে পার্টির পক্ষ থেকে এক ডেপুটেশন সংগঠিত হয়। গত ২০ এপ্রিল স্থানীয় পার্টির ৫ জনের এক প্রতিনিধিদল ডেপুটেশনে যায়। বর্তমান রেশন নিয়ে যে নানারকম অনিয়ম চলছে এবং গরিবমানুষ সঠিক পরিমানে খাদ্য দ্রব্য পাচ্ছেন না। এই পরিপ্রেক্ষিতে দাবি তোলা হয় যে প্রতিটি রেশন দোকানে বণ্টিত খাদ্যদ্রব্যের পরিমাণ লিখিতভাবে বোর্ডে টাঙ্গিয়ে দিতে হবে -- পৌরসভাকে এই নির্দেশ জারি করতে হবে। বিষয়টি পৌর কর্তৃপক্ষ মেনে নেয়। দাবি জানানো হয় সকল গরিব মানুষ – কার্ড থাকুক বা না থাকুক রেশন দিতে হবে। যারা নানাবিধ কারণে রেশনে মাল পাচ্ছেন না তাঁদের রেশন দেওয়ার দায়িত্ব পৌরসভাকে নিতে হবে। কর্তৃপক্ষ জানায় এ ধরনের বঞ্চিত গরিবদের নাম পাঠালে তাঁরা মানবিক জায়গা থেকে অবশ্যই বিবেচনা করবেন। এছাড়া ১ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্যের প্রকল্প “প্রচেষ্টা” সরকারী ভাবে ঘোষিত হলে তারা এ বিষয়ে সবরকম সহযোগিতা করবেন। পুরসভা এলাকা জীবানুমুক্ত করার ব্যবস্থাবলী পরিচালনা করবেন। দাবি জানানো হয় এই সমস্ত প্রশ্নে সার্বিক ভাবে উদ্যোগ নিতে হবে। আরেকটি জরুরি বিষয় তুলে ধরা হয় যে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নির্মাণ কর্মীদের এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না – এই ধরনের একটা সাম্প্রদায়িক ঘৃণা প্রচার তাহেরপুরে কোনো কোনো মহল থেকে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, পার্শ্ববর্তী মুর্শিদাবাদ জেলার নির্মাণকর্মীরা নিয়মিতভাবে তাহেরপুরে নির্মাণকাজ করে থাকেন। লকডাউনের পরিস্থিতিতে তাঁদের অনেক কাজ বকেয়াও পড়ে আছে। পৌরসভার কাছে দাবি জানানো হয় আগামীতে ঐ নির্মাণকমীরা যাতে নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। করোনাকে কাজে লাগিয়ে সাম্প্রদায়িক প্রচার বন্ধ করতে পৌরসভাকে পাল্টা প্রচার করতে হবে। প্রতিনিধি দলে ছিলেন নদীয়া জেলা সদস্য জীবন কবিরাজ, তাহেরপুর ব্রাঞ্চ সম্পাদক যোগেশ শিকদার, স্থানীয় পার্টি কর্মী শিবশংকর দাস, আশীষ দত্ত, অমিয় দাস।

খণ্ড-27