এআইসিসিটিইউ-র আহ্বান
aeee

 

করোনা ভাইরাসের কারণে সমস্ত দেশ আজ লকডাউনের কবলে। রোজই সংক্রমণের ঘটনা ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। দেশের শ্রমজীবী মানুষ এক কঠিন সংকটের আবর্তে। অসংগঠিত শ্রমিকদের চিত্রটা আরও ভয়াবহ। বিশেষ করে পরিযায়ী শ্রমিকদের জীবনের নিরাপত্তাই আজ বিঘ্নিত।

আমরা এআইসিসিটিইউ-র পক্ষ থেকে গত ১৮-১৯ এপ্রিল পরিযায়ী শ্রমিকদের দাবি নিয়ে দেশব্যাপী কর্মসূচী পালন করেছি, যা বহু মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার লকড ডাউনের নামে শ্রমজীবী মানুষের উপর ভয়ংকর আক্রমন নামিয়ে এনেছে। আমাদের রাজ্যেও সরকার বহু প্রতিশ্রুতি ঘোষনা করলেও কোথাও তা কার্যকরী হচ্ছে না। আগামী ১ মে ঐতিহাসিক মে দিবস। ৮ঘণ্টা কাজের দাবির ঐতিহাসিক লড়াই করে পাওয়া অধিকার আজ কর্পোরেটদের স্বার্থে কেন্দ্রীয় সরকার আইনিভাবে তুলে দিতে বদ্ধপরিকর। ইতিমধ্যেই তা বিভিন্ন রাজ্যে পরিবর্তন করে ৮ ঘণ্টার বদলে ১২ ঘণ্টা কাজ ও মজুরির নিয়ম বদল করা শুরু করে দিয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে এবারের মে দিবস পালন খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কিন্তু লকডাউনের কারণে কেন্দ্রীয় বড় কোনো কর্মসূচী করা সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের প্রতিবারের মতো শহীদ মিনারে যুক্ত সমাবেশ সম্ভব নয়।

এআইসিসিটিইউ রাজ্য কমিটি আহ্বান করছে সমস্ত জেলায় যত সম্ভব বেশি জায়গায় মে দিবসের পতাকা উত্তোলন ও নিম্নে বর্ণিত শ্লোগানকে প্রচারের জন্য প্ল্যাকার্ড, পোস্টারে সুসজ্জিত করে কর্মসূচি পালন করুন।

শ্লোগান -
১। ৮ ঘণ্টার শ্রমদিবসকে ১২ঘণ্টায় পরিণত করার চক্রান্ত বন্ধ কর।
২। সমস্ত পরিযায়ী ও অসংগঠিত শ্রমিকদের লকড ডাউন ভাতা বাবদ ১০০০০ টাকা দিতে হবে
৩। লকডাউন পর্যায়ে কোন শিল্পের কোনো শ্রমিকের মজুরি হ্রাস,ছাঁটাই করা চলবে না।
৪। সকল শ্রমিককে পর্যাপ্ত রেশন বিনামূল্যে দিতে হবে।
৫। পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য বিশেষ একশন প্ল্যান ঘোষনা করতে হবে।

এর সঙ্গে কমরেডরা নির্দিষ্ট সেক্টরের জন্য শ্লোগান ঠিক করে নিতে পারেন।

সংগ্রামী অভিনন্দন সহ
বাসুদেব বসু, সাধারণ সম্পাদক, এআইসিসিটিইউ, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি

খণ্ড-27