বিহারের ভোজপুরে সামন্ততান্ত্রিক-সাম্প্রদায়িক শক্তির হাতে গণধর্ষণের শিকার অপ্রাপ্তবয়স্ক দলিত বালিকা
girl

ভোজপুর জেলার চারপোখরি ব্লকে সামন্ততান্ত্রিক-সাম্প্রদায়িক শক্তির হাতে এক অপ্রাপ্তবয়স্ক দলিত বালিকা গণধর্ষিতা হওয়ার বিরুদ্ধে সিপিআই(এম-এল), এআইপিডব্লিউএ, এআইএসএ, আরওয়াইএ এবং ইনসাফ মঞ্চ ২৯ এপ্রিল যৌথভাবে প্রতিবাদ জানায়। সিপিআই(এম-এল)-এর বিহার রাজ্য সম্পাদক মিডিয়ার কাছে ২৮ এপ্রিল দেওয়া এক বিবৃতিতে এই ঘৃণ্য অপরাধের কথা জানিয়ে বলেছেন, লকডাউনের সময় এই দুর্বৃত্তদের স্পর্ধা ক্রমেই বেড়ে চলেছে, আর নীতীশ কুমার চোখ বুঝে থেকে কিছুই করছেন না। লকডাউন চলার সময় দলিত ও দরিদ্ররা অনাহারে মারা যাচ্ছে, এবং তাদের আবার এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনারও মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এই দুর্বৃত্তরা বিজেপি-জে ডি ইউ-র মদতে সুরক্ষা পেয়ে চলেছে।

ভোজপুর জেলার চারপোখরি থানার কাথারি গ্ৰামে অপ্রাপ্তবয়স্ক দলিত ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয় ২৫ এপ্রিল। এই পাশবিক ঘটনার খবর পেয়ে সিপিআই(এম-এল) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং আরওয়াইএ-র জাতীয় সভাপতি মনোজ মঞ্জিল ওই গ্ৰামে যান এবং ঘটনাটি সম্পর্কে তদন্ত করেন। তিনি জানান, ২৫ এপ্রিল মেয়েটি যখন গ্ৰামেরই এক দরজির কাছে সেলাই করার জন্য মায়ের কাপড় দিয়ে এসে বাড়ি ফিরছিল তখন চার ব্যক্তি তাকে পথ আটকে গোপন জায়গায় নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে, এবং দুর্বৃত্তদের মধ্যে ছিল ওই গ্ৰামেরই গোলু পাণ্ডে, শিবশঙ্কর এবং কৃষ্ণ রাই।

 

team

মনোজ মঞ্জিলের নেতৃত্বে সিপিআই(এম-এল)-এর এক তদন্তকারী দল ধর্ষণের শিকার মেয়েটির পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করে তাদের সঙ্গে কথা বলে সমস্ত তথ্য জানতে পারে। সিপিআই(এম-এল)-এর পক্ষে সার্বিক সহায়তা প্রদান এবং ন্যায় বিচারের জন্য লড়াইয়ের আশ্বাস ওই পরিবারকে দেওয়া হয়। ঘটনাটা ঘটে ২৫ এপ্রিল এবং সামন্ততান্ত্রিক-সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলোর চাপে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত কোনো অভিযোগ দায়ের হয় না। ধর্ষিতার কোনো ডাক্তারি পরীক্ষাও হয় না। তদন্তকারী দলের সদস্যরা জেলার এসপি-র সঙ্গে দেখা করে অবিলম্বে অভিযোগ দায়ের এবং ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষার দাবি জানান। ডাক্তারি পরীক্ষা হওয়ার পর এসপি দ্রুত বিচার সম্পন্ন হওয়ার আশ্বাস দেন।

সিপিআই(এম-এল) এই দাবিগুলো প্রশাসনের কাছে জানিয়েছে : ধর্ষণকারীদের অবিলম্বে গ্ৰেপ্তার করতে হবে; মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে; ধর্ষিতা ও তার পরিবারের সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। দলের তরফে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে – ধর্ষকদের অবিলম্বে গ্ৰেপ্তার করা না হলে এবং ধর্ষিতা ন্যায় বিচার না পেলে জেলা স্তরে এবং রাজ্যব্যাপী প্রতিবাদ আন্দোলন সংগঠিত করা হবে।

সিপিআই(এম-এল), এআইপিডব্লিউএ, এআইএসএ, আরওয়াইএ এবং ইনসাফ মঞ্চ এই ঘটনায় প্রতিবাদ জানাতে ২৯ এপ্রিল ভোজপুর জেলা জুড়ে প্রতিবাদ দিবস পালন করে। লকডাউনের বিধি মেনে জনগণ এক দিনের ধর্ণা/অনশনে বসেন। নেতৃবৃন্দ এবং তার সাথে শতশত জনগণ ওই প্রতিবাদে অংশ নেন।

protest

 

খণ্ড-27