মজুরি থেকে হাজিরা অনেকগুলো প্রশ্ন অমিমাংশিত রেখে আগরপাড়া জুটমিল ১০০ শ্রমিক নিয়ে খুললো
jute

শ্রমিকরা ৩ নম্বর গেট দিয় মিলে ঢুকছে এবং ছুটির সময় ১ নম্বর গেট দিয়ে বেড়িয়ে যাচ্ছেন। ঢোকার সময় শরীরে জীবাণুমুক্ত স্প্রে (কি রাসায়নিক ব্যবহার হচ্ছে শ্রমিকদের কাছে অজানা) করছে, থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে শরীরের তাপ মাপা হচ্ছে, হাতে লিকুড সাবন এবং ১ টা মাস্ক দিয়েছে যা শ্রমিকরা প্রতিদিন বাড়িতে ধুয়ে পরের দিন মিলে ব্যবহার করবেন। জুটমিলে দুটো সাইট আছে মিলসাইট ও ফ্যাক্টরি সাইট। এখন ফ্যাক্টরি সাইট বন্ধ থাকছে, শুধুমাত্র মিল সাইট খুলছে। মিল সাইটে পর্যায় ক্রমে আছ সিলেকশন, বেচিং, প্রিপেয়ারিং, স্পিনিং এবং ওয়াইনডিং। এতো অল্প সংখ্যক শ্রমিক দিয়ে অন্য বিভাগ চালু করা যাচ্ছে না। এখন শুধুমাত্র সুতো উৎপাদন হবে। ফ্যাক্টরি সাইটে তাঁত আছে তা বন্ধ থাকছে। চটকলে তাঁতের শব্দ আপাতত শোনা যাবেনা, চটের কাপড় বোনা বন্ধ থাকছে। এবিসি (ভোর ৬টা – ২টো, ২টো – ১০টা এবং রাত ১০টা থেকে পরের দিন ভোর ৬ টা পর্যন্ত) তিন শিফটে কাজ হওয়ার কথা। টানা ৮ ঘণ্টা কাজ মাঝে কোন বিশ্রাম নেই।

চটকলের কেন্দ্রীয় ইউনিয়ন বিসিএমএফ চিন্তিত মিল চালু হলে রীতি হচ্ছে সাইরেন বাজিয়ে মিল চালু করা। সাইরেন বাজেনি। যে প্রশ্ন উঠছে তা হলে এই কাজ কি অতিরিক্ত হচ্ছে। শ্রমিকরা কি সামাজিক সুরক্ষা থেকে (পিএফ, এসটিএল, গ্রাচ্যুইউটি ইত্যাদি) বঞ্চিত হবেন? সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো অতিমারিতে মিল খুললো কিন্তু সরকারের কোন নজরদারি বা তত্ত্বাবধান চোখে পড়ছে না। বিসিএমএফ উদ্বিগ্ন কামারহাটি লাল জোন হিসাবে  চিহ্নিত, সরকারি দপ্তর যদি কঠোর ও মানবিক সিদ্ধান্ত নিতে দিধা করেন তাহলে জন স্বাস্থের অধিকতর ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা থাকছে।

খণ্ড-27