শ্রমিক অধিকারের উপর আক্রমণের বিরুদ্ধে বাম দলগুলোর প্রতিবাদ
leftt

কেন্দ্রের মোদী সরকার এবং বিভিন্ন বিজেপি-শাসিত রাজ্য সরকার শ্রমিকদের অধিকারের ওপর যে তীব্র আক্রমণ নামিয়ে আনছে, তার বিরুদ্ধে দিল্লীতে ১৩ মে প্রতিবাদ সংগঠিত করল বড়-বড় বাম দল এবং কয়েকটি বিরোধী দলের নেতৃবৃন্দ। এই নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন সিপিআই(এম-এল)-এর দীপঙ্কর ভট্টাচার্য ও কবিতা কৃষ্ণাণ, সিপিআই(এম)-এর সীতারাম ইয়েচুরি ও তপন সেন, সিপিআই-এর ডি রাজা, লোকতান্ত্রিক জনতা দলের শারদ যাদব এবং আরজেডি দলের রাজ্য সভার সদস্য মনোজ ঝা। তাঁরা সিপিআই(এম)-এর কেন্দ্রীয় অফিস এ কে জি ভবনের বাইরে প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখান, তাঁদের হাতে ধরা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল – উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ ও গুজরাটের রাজ্য সরকারগুলোর শ্রম আইন মুলতুবি করে এবং কাজের ঘণ্টাকে বাড়িয়ে জারি করা অধ্যাদেশগুলো অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। লকডাউনের পঞ্চাশ দিন পরও পরিযায়ী শ্রমিকদের জ্বলন্ত ইস্যুগুলো সমাধানে মোদী সরকারের শোচনীয় ব্যর্থতা ও তা করার অনাগ্রহকে নেতৃবৃন্দ ধিক্কার জানান। তাঁরা বলেন, সরকার এই মহামারিকে অছিলা করে সুপরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রকে খর্ব করে তুলছে; ঐক্যবদ্ধভাবে শ্রমজীবী জনগণের স্বার্থসমূহ এবং সাংবিধানিক গণতন্ত্র, যুক্তরাষ্ট্রীয়তা এবং ধর্মনিরপেক্ষতার আশু স্বার্থ রক্ষার জন্য তাঁরা বাম কর্মীবাহিনী এবং গণতন্ত্রকামী সমস্ত অংশের কাছে আবেদন জানান।

left

 

দেশের মধ্যে সাম্প্রদায়িক ধারায় বিভাজন সৃষ্টি করা এবং ঘৃণার প্রচারাভিযান চালিয়ে পরিমণ্ডলকে বিষিয়ে তোলার প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করার জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান তাঁরা জনগণের কাছে জানান। এই প্রকাশ্য প্রতিবাদের আগে তাঁরা ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে দুটো স্মারকলিপি পাঠান এবং সেগুলোতে দাবি করা হয় – শ্রমিকদের  অধিকার পরিপূর্ণভাবে পুনরুদ্ধার করে সেগুলোকে বলবৎ করতে হবে এবং রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি দিতে হবে; এছাড়া, মোদী সরকারের প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা এবং ডাইনি-খোঁজার রাজনীতিকে অবিলম্বে থামাতে হবে।

খণ্ড-27