করোনা বনাম ক্ষুধা – সরকারি বঞ্চনার বিরুদ্ধে কর্ণাটকের পরিযায়ী শ্রমিকদের লড়াই
karnataka

বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারী ভারতবর্ষ সহ সারা দুনিয়ার পক্ষাঘাতগ্রস্ত, অকার্যকর ও অমানবিক পুঁজিবাদী ব্যবস্থার স্বরূপ প্রকাশ করে দিয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার করোনা পরিপ্রেক্ষিতে আমেরিকা এবং হু (W.H.O)-র প্রশংসা আদায় করলেও বাস্তব চিত্র বড় করুণ। সাম্প্রতিকালে অওরঙ্গাবাদে মালগাড়ির নীচে ১৬ জন পরিযায়ী শ্রমিককে পিষে দেওয়ার ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। লকডাউনের মধ্যে গোটা দেশেই খেটে খাওয়া মানুষের জীবন কী সঙ্গিন অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে তার ইঙ্গিত দিয়ে গেল এই ঘটনা! এই লেখাতে আমরা কর্ণাটকের পরিযায়ী শ্রমিকদের করুণ অবস্থা আর কেন্দ্র-রাজ্য সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে তাদের লড়াইয়ের উপর আলোকপাত করব।

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে, কর্ণাটকের অভ্যন্তরের ও বাইরের রাজ্যগুলি থেকে আসা অভিবাসী শ্রমিকের সংখ্যা ১৫ লক্ষের কাছাকাছি। বলা বাহুল্য সংখ্যাটা এখন অনেক বেশি। এই মজুরেরা শ্রমজীবী শ্রেণির সবচেয়ে নিপীড়িত অংশের মধ্যে পরিগণিত হয়, আর শ্রম আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে তাদের কাজ করানো হয়।

আন্তঃস্বদেশী অভিবাসী কর্মী আইন, ১৯৭৯ অনুযায়ী অভিবাসী শ্রমিকদের একই ধরনের কাজের জন্য স্থানীয় শ্রমিকদের সমান মজুরি অথবা ১৯৪৮-এর ন্যুনতম মজুরি আইন অনুযায়ী ন্যুনতম মজুরি পাওয়া উচিত।

এছাড়া স্থানচ্যুতি ভাতা, চিকিৎসা সুবিধা সহ বিভিন্ন সু্যোগ-সুবিধার কথাও বলা আছে ঐ আইনে। বলা বাহুল্য, অন্যান্য শ্রম আইনের মতো এই অভিবাসী আইনও অসংগঠিত শ্রমিকদের ক্ষেত্রে বাস্তবে প্রয়োগ হয় না।

metro

 

রাজ্য জুড়ে শিল্প অঞ্চলগুলিতে, নির্মাণ শিল্পে, বিশেষত বেঙ্গালুরু এবং ম্যাঙ্গালুরুতে অভিবাসী শ্রমিকদের এক বড় অংশ কাজ করে। এছাড়াও গৃহশ্রমিক হিসাবে, বস্ত্র শিল্পে, চাল কল, রঙের কারখানা ও গ্রামীন ক্ষেত্রে কৃষি শ্রমিকদের মধ্যে এক বড় অংশের অভিবাসী শ্রমিক কাজ করে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অভিবাসী কর্মীরা কোডাগু, হাসান এবং চিকামাগলুরু জেলা সহ কর্ণাটকের বিভিন্ন জেলায় চাষ আবাদের কাজে যুক্ত রয়েছে।

রুটি রুজির তাগিদে অন্যত্র পাড়ি দেওয়া কর্ণাটকের এই শ্রমিকদের মধ্যে ৬ লাখের বেশি কর্ণাটকের গ্রামাঞ্চল থেকে ও ৪ লাখের বেশি কর্ণাটকের শহরাঞ্চল থেকে আগত। অন্যদিকে ভারতের অন্য রাজ্য থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে প্রায় ৩ লাখ শহরাঞ্চল থেকে আসা, আর ২ লাখের বেশি গ্রামাঞ্চল থেকে আগত। ভিন রাজ্যের শ্রমিকদের মধ্যে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা, কেরালা সহ বিভিন্ন রাজ্যর শ্রমিকরা এখানে কাজ করতে আসে।

কোনোক্রমে দিন গুজরান করা এই শ্রমিকদের অবস্থা লক ডাউনের দরুণ এক অসহনীয় অবস্থায় এসে পৌঁছেছে। করোনা মোকাবিলায় লক ডাউন কত দূর আবধি প্রয়োজন ছিল, এ নিয়ে আলোচনা অন্যত্র করব, তবে এটা বলাই যায় যে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া বা কিউবার মত উন্নতমানের চিকিৎসা পরিকাঠামো না থাকা ভারতকে দীর্ঘমেয়াদী লক ডাউনের দিকে ঠেলে দিয়েছে। আর, যে পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় প্রান্তিক মানুষরা চূড়ান্ত উপেক্ষিত হয়, তারা যে এই লকডাউন পর্বে মোটেই গুরুত্ব পাবে না, সেটাই স্বাভাবিক। মোদী সরকার করোনা মোকাবিলায় মুখে ১.৭০ লক্ষ কোটি টাকার ত্রাণ প্যাকেজ ঘোষণা করলেও, তার বাস্তব প্রতিফলন খুবই সীমিত। লকডাউনের কারণে এই পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজ নেই, তাই হাতে টাকাও নেই। মোদী সরকারের ঘোষণা নিঃসার, মালিকদের বাধ্য সে করবে না, আর তার বদলে শ্রমিকদের হাতে টাকাও সে তুলে দেবে না। কিছু জায়গায় সরকারী উদ্যোগে খাবার পৌঁছলেও পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে ৯৫ শতাংশ পরিযায়ী শ্রমিকদের কাছে সরকারী উদ্যোগে খাবার পৌঁছয়নি। এনজিও, ব্যক্তিগত উদ্যোগ, বাম গণসংগঠন ও অন্য গণসংগঠনগুলির আন্তরিক উদ্যোগ ছিল প্রশংসনীয়, কিন্তু তা যথেষ্ট নয়।

কেরলের সরকার কিছু ক্ষেত্রে সফল, কিন্তু বাকি রাজ্য সরকারগুলির ব্যর্থতা পরিষ্কার।

migrant

 

গত ২২ মার্চ লকডাউন ঘোষণার পর যানবাহন না চলায় পরিযায়ী শ্রমিকরা আটকে পড়ে। একটা সময় পর ক্ষুধার জালায় অতিষ্ঠ হয়ে শ্রমিকদের এক বড় অংশ পায়ে হেঁটে বেরিয়ে পড়ে কয়েকশো মাইল পাড়ি দিয়ে ঘরে ফেরার জন্য। কর্ণাটকে ৭ এপ্রিল বেঙ্গালুরু থেকে ২৩০ কিমি হেঁটে ঘরে ফেরার পথে বেলারিতে এক মহিলা নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়। অনেককে মাঝ পথে আটকে দেওয়া হয় এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য সাময়িক বাসস্থানে তাদের জায়গা হয়। প্রসঙ্গত বলি, ২৯শে মার্চ ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক রাজ্য সরকারগুলির কাছে আদেশনামা (নং 40/3/2020/DM-I(A)) পাঠায়। এই আদেশনামা অনুসারে যে সমস্ত গরিব মানুষ লকডাউনের কারণে আটকে পড়েছে তাদের জন্য ঐসব রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের সরকারের খাবার ও সাময়িক বাসস্থানের ব্যবস্থা করার কথা। পরিযায়ী শ্রমিকরা যারা ইতিমধ্যে বেরিয়ে পড়েছে, তাদের ১৪ দিনের কোয়ারান্টিনে রাখার ব্যবস্থা করার কথা। এই আদেশনামা অনুযায়ী শিল্প বা বাণিজ্য সংস্থাগুলি এই লকডাউন পর্বে শ্রমিকদের বেতন দিতে বাধ্য থাকবে, আর কাউকে ছাঁটাই করতে পারবে না। কিন্তু বাস্তব ছিল অনেকাংশেই ভিন্ন, যার জন্য দায়ী কেন্দ্র রাজ্য উভয় সরকার। মনে রাখতে হবে রেশন ব্যবস্থায় খাদ্যশস্য আহরণ ও সংরক্ষণের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের, তেমনই বন্টনের দায়িত্ব রাজ্য সরকারের।

নায়ান্দাহালি শ্রমিক কলোনিতে থাকা এক নির্মাণ শ্রমিকের জবানবন্দি অনুযায়ী তারা পাঁচ মাস ধরে বেতন পায়নি। সরকার মাথা পিছু এককালীন ৫,০০০ টাকা দেওয়ার ঘোষণা করলেও তা যৎসামান্য, আর পরিযায়ী নির্মাণ শ্রমিকরা অনেকেই নথিভুক্ত নয়।

bus

 

সামাজিক সংকট ঘনীভুত হতে পারে দেখে ২৯ এপ্রিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ভিন্ন এক আদেশনামায় পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য বাস ও ট্রেনের ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেয় আর রেল দপ্তর সেই অনুযায়ী বিশেষ শ্রমিক ট্রেনের ব্যবস্থা করে সেই জায়গাগুলির মধ্যে যেখানে উৎপত্তি এবং গন্তব্যস্থলের রাজ্য সরকারগুলিও ট্রেন চালানর সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেয়। কর্ণাটক সরকার ১ মে বাস, ট্রেন চালু করার পক্ষে সিদ্ধান্ত জানায় এবং সেই মতো বেঙ্গালুরু থেকে কর্ণাটকের অন্যত্র বেশ কিছু বাস চালু করা হয়। দুঃখের বিষয় ভাড়া ঘোষণা করা হয় স্থিরীকৃত ভাড়ার দুই গুণ, যেখানে ব্যয়ভার বহন করা উচিত ছিল সরকারের। কোনো বাস চলবে সে সম্পর্কে স্বচ্ছতা না থাকায়, ২ মে ম্যাজেষ্টিক-মুল বাস ডিপোতে হাজার খানেক শ্রমিক জড়ো হয়ে ফিরে আসে। এরা ছিল সবাই ক্ষুধার্ত আর সামাজিক ভাবে রাষ্ট্র্রীয় বঞ্চনার দরুণ নিপীড়িত। করোনা বনাম ক্ষুধার লড়াই – যা আসলে পুঁজিবাদী লাভের স্বার্থে পরিচালিত রাষ্ট্রের বঞ্চনার সাথে নিপীড়িত মানুষের লড়াই – তাতে ক্ষুধার পরাজয় হচ্ছিল। ‘যত বেশী অত্যাচার, তত বেশী প্রতিরোধ’ – এই পরিমাণে না হলেও প্রতিবাদ সংগঠিত হচ্ছিল। এআইসিসিটিউ কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন সহ অন্যান্য ট্রেড ইউনিয়ন ও পিইউসিএল নানান পর্বে শ্রম দপ্তরকে ই-মেল মারফত ও ফোনে চাপ সৃষ্টি করে এবং কোর্টে কেস ফাইল হয়। চাপের মুখে সরকার বিনামূল্যে আন্তঃজেলা বাস চালু করার কথা বললেও সমস্যা ছিল প্রচুর – স্থানীয় পরিবহন ব্যবস্থা ছিল না, আন্তঃরাজ্য ট্রেনের ভাড়া ছিল প্রচুর। তা স্বত্ত্বেও শ্রমিকদের ঘরে ফেরার যতটুকু সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছিল, তা ধ্বংস হয়ে গেল যখন ৬ মে ইয়েদুরাপ্পা ঘোষণা করলেন যে শ্রমিকদের ফেরানোর জন্য বিশেষ ট্রেন চালানো যাবে না। আসলে বিল্ডার কোম্পানির মালিকদের চাপে কাজ শুরু করার জন্য সরকার তার সিদ্ধান্ত বদল করে। ৪০ দিন আটকে থাকা শ্রমিকরা যখন ফেরার প্রত্যাশায় মুখিয়ে ছিলেন, তখনই ইয়েদুরাপ্পা সরকারের এমন সিদ্ধান্তে চরম বিপাকে পড়েন তাঁরা। সমাজের নানা স্তর থেকে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করে। ইয়েদুরাপ্পা সরকারের প্রবল সমালোচনা করে বিরোধী দলগুলো। উত্তরপ্রদেশ, বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যগুলোর শ্রমিকরা যারা ফিরে আসার কথা ভাবছিলেন তারা তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এই পর্বে স্বাধীন উদ্যোগে ১২০০ ব্যক্তি ও সংগঠনের সই স্বাক্ষরিত একটি প্রতিবাদ পত্র মুখ্যমন্ত্রীকে পেশ করা হয়।

aicctu

 

গণসংগঠনগুলির মধ্যে সবচেয়ে অগ্রণী ভুমিকা ছিল এআইসিসিটিউ-এর। তাদের উদ্যোগে সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে কেস ফাইল হয়। শ্রমিকদের পক্ষে সওয়াল করেন ক্লিফটন ডি রোজারিও, জাইশীণ-এর মতো উকীলরা। ক্লিফটন রোজারিও এআইসিসিটিউ-এর কেন্দ্রীয় সম্পাদক এবং সিপিআই(এম এল) লিবারেশনের কর্ণাটক রাজ্য সম্পাদক। তাদের যুক্তি ছিল ধারালো -- পরিযায়ী শ্রমিকরা দাস নয় যে তাদের বাধ্যতামূলক শ্রম দিতে হবে। যদি শিল্পের জন্য তাদের উপস্থিতি এতো জরুরি হত, তাহলে তাদের এত দূর্দশাগ্রস্ত অবস্থা হবার কথা নয়। আদালতের রায় না বেরোলেও সরকার আবার পিছু হঠে। প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে শেষমেশ পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করল কর্নাটক সরকার। জানিয়ে দিল, খুব শ্রীঘ্রই শ্রমিকদের ফেরানো শুরু হবে। এ ছিল সার্বিকভাবে শ্রমিক আন্দোলনের জয়। লেখাটার বিষয় পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে, কিন্তু স্থানীয় প্রান্তিক শ্রমিকদের অবস্থাও শোচনীয়। বস্ত্র, চা, পাট শিল্পে লকডাউন পর্বে কাজ ছাড়া বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

করোনা নামক সংক্রামক ব্যধি যার দরুণ সমগ্র বিশ্বে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ব্যাপকভাবে বাড়ছে, শক্তিধর দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর অবস্থা বেসামাল, তা মোকাবিলা ভারত সরকারের পক্ষেও সহজ নয়, সেটা মাথায় রেখেও বলতে হছে যে কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তহবিলের মাধ্যমে পরিযায়ী শ্রমিকদের সাহায্যের কথা আনেকাংশেই অন্তঃসারশূন্য। মনে রাখতে হবে এই শ্রমিকরা ক্ষুধার তাড়নায় এমনকি পায়ে হেঁটে ফেরার জন্য মরিয়া হয়েছে। অমানবিক পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় মেহনতি মানুষের নিষ্পেষণ এবং শিক্ষা ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে ঢালাও বেসরকারীকরণ-এর জন্য দায়ী, দায়ী সারা বিশ্বের মালিককূল আর তাদের প্রতিনিধি শাসক দলগুলি। ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে বর্তমান বিজেপি সরকার পূর্বতন কংগ্রেস সরকারের পদাঙ্ক অনুসরণ করে এবং আরো অনেক জোরালো ভাবে। আম্বানি, আদানি সহ সব বৃহৎ পুঁজির মুনাফা বজায় রাখতে যতটা সক্রিয় তার সিকিভাগ সহানুভূতিও যদি প্রান্তিক মানুষরা পেত! আর, উগ্র মেকি জাতীয়তাবাদ ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতির কারিগর এই মোদী সরকারের সময়ে ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া শিল্পপতিদের ঋণ মকুব করে দেওয়ার পরিমাণ পূর্বতন জমানার থেকে অনেক বেশি। এই সংকটের সময়েও শ্রম আইন সংশোধন করা হয় মালিকের মুনাফা বাড়ানোর জন্য। আর লক ডাউনকে ব্যবহার করে এনআরসি-সিএএ-বিরোধী আন্দোলনকারীদের, বা আনন্দ তেলতুম্বড়ে, কাফিল খানদের জেলে পোরা এবং দীর্ঘমেয়াদী সাম্প্রদায়িক প্রচার মোদী সরকারের আমানবিক, ফ্যাসিবাদী চরিত্র দেখিয়ে দেয়। করোনা এবং রাষ্ট্রের আক্রমণের বিরুদ্ধে তাই আজকের জয় - কর্ণাটক সরকারের ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত লাগু করা -- সামান্য হলেও মালিকী জুলুমের বিরুদ্ধে শ্রমিক শ্রেণীর জয়। আগামী দিনগুলিতে জারি থাকুক এই লড়াই।

-- সংগ্রাম সরকার

খণ্ড-27