বিবৃতি
কোয়েম্বাটুরের প্রিকল কারখানায় লকডাউন চলার সময় কোয়েম্বাটুরের প্রিকল কারখানায় লকডাউন চলার সময় ৩০ শতাংশ বেতন কাটার প্রতিবাদ করল এআইসিসিটিইউ
pricol

সরকারের নির্দেশিকা ছিল লকডাউন চলা কালে বেতন কাটা যাবে না। এ সত্ত্বেও প্রিকল কারখানার পরিচালকমণ্ডলী একতরফা নির্দেশিকা জারি করে মার্চ থেকে জুলাই পর্যন্ত ৩০ শতাংশ বেতন হ্রাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এআইসিসিটিইউ এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেছে যে, কারখানা কর্তৃপক্ষ ‘কাজ না করলে বেতন নয়’ নীতির আশ্রয় নিতে পারে না। কেন্দ্রীয় সরকারের জারি করা ২৯ মার্চের নির্দেশিকা সুস্পষ্টভাবেই জানিয়েছে যে লকডাউন পর্বে বেতন কাটা হলে তা আইনের চোখে অপরাধ বলেই গণ্য হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই নির্দেশিকা ২০০৫ সালের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের ধারা ১০(২)(১) অনুসারে জারি হয় এবং এই নির্দেশিকা লঙ্ঘন হলে তা ওই আইনের ৫১(বি) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ যাতে জরিমানা এবং জেল দুটোই হতে পারে।

সারা দেশেই শ্রমিকরা যখন চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে তখন সরকারি সংস্থাগুলোর মুখ বুজে থাকাটারও সমালোচনা এআইসিসিটিইউ করেছে। তামিলনাড়ুর রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছে যে তারা যেন ৩০ শতাংশ বেতন কাটার নির্দেশিকা প্রত্যাহার করে নিতে এবং শ্রমিকদের পুরো বেতন দিতে কারখানা কতৃপক্ষকে বাধ্য করে। অবৈধভাবে বেতন কাটার জন্য ২০০৫ সালের বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের ৫১ (বি) ধারা অনুসারে কারখানা কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করার দাবিও সরকারগুলোর কাছে জানানো হয়েছে। অতিমারির নাম নিয়ে কোনো লেঅফ, ছাঁটাই এবং বেতন কাটা চলবে না।

খণ্ড-27