কেবল ফুল নয়, আশা কর্মীদের ন্যায্য প্রাপ্য দেওয়া হোক
h12

উত্তরবঙ্গে আশা কর্মীদের ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা বা উৎসাহিত করা হচ্ছে, অথচ এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে তাঁদের যে কাজ করতে হচ্ছে তার জন্য যা যা প্রাপ্য তা দেওয়ার কথা কেউ ভাবছে না!

লক ডাউন যত দীর্ঘায়িত হচ্ছে আশা কর্মীদের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত কাজের চাপও তত বাড়ছে। প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অমানুষিক পরিশ্রম করতে হচ্ছে, প্রতিদিন ৫০-৬০টা বাড়ি ভিজিট করতে হয় তাও আবার পারসোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্টস (পিপিই) ছাড়াই। ইতিমধ্যে কোভিড আক্রান্ত হয়ে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনা এরাজ্যে ঘটেছে। এর ফলে প্রসূতিদের পরিচর্যার ব্যাপারে আশা কর্মীদের ওপর চাপ আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন আবার পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরতে শুরু করেছে। অন্যদিকে কোভিড-১৯-এর কাজে সর্বক্ষণ ব্যস্ত থাকার জন্যে ফরম্যাটে উল্লিখিত অন্যান্য কাজ তাঁরা করতে পারছে না ফলে সে বাবদ টাকা থেকেও তাঁরা বঞ্চিত হচ্ছেন। এক কথায়, আশাদের কাজের চাপ ও ঝুঁকি বেড়েছে কিন্তু আয় অনেক কমেছে।

আশা কর্মীরা প্রায় সকলেই অত্যন্ত গরিব সমাজ থেকে আসে। সকলেরই পরিবারের অন্যান্যরা মূলত দিনমজুর, লক ডাউনে সব ঘরবন্দি। এই অবস্থায় বর্তমান যৎসামান্য ভাতায় সংসার চালানো আশাকর্মীদের পক্ষে মুশকিল হয়ে পড়েছে।

সমস্ত স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য শুধু হাততালি নয়, তাঁদের বাস্তব সমস্যাগুলো সমাধানের ব্যবস্থা করা হোক, যাতে তাঁরা আরো ভালোভাবে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইতে বড় ভূমিকা নিতে পারেন।

* যাঁরা এত ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন তাঁদের শুধু জীবনবীমা নয়, স্বাস্থ্যবীমাও করা হোক।
* কোভিড-১৯-এর কাজে নিযুক্ত আশা কর্মীদের অবিলম্বে সম্পূর্ণ পিপিই কিট দিতে হবে।
* অবিলম্বে ১০ হাজার টাকা লক ডাউন ভাতা দিতে হবে।
* আশা কর্মীদের সম্মান ও সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে হবে।

এই মর্মে ডিএম এবং সিএমওএইচ-কে সারা বাংলা সংগ্রামী আশা কর্মী ইউনিয়ন (এআইসিসিটিইউ-র অন্তর্ভুক্ত)-এর হুগলি জেলা কমিটির পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কাছেও দাবিপত্র পেশ করা হয়।

- চৈতালি সেন, ৮ মে, চন্দননগর

খণ্ড-27