বিবৃতি
দিল্লী যেন শ্রমিকদের ক্রীতদাস রূপে ধরে নেওয়া বন্ধ করে
del

সিপিআই(এম-এল)-এর দিল্লী সম্পাদক রবি রাই জানিয়েছেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে কোন ট্রেন দিল্লী থেকে যাত্রা করেনি। তিনি আরও বলেছেন, কর্ণাটক থেকে খবর পাওয়া গেল যে, শ্রমিকদের নিয়ে যে ট্রেনের আসার কথা ছিল তা বাতিল করা হয়েছে। একই পরিস্থতি গুজরাটেরও। কর্পোরেট লবির চাপেই এটা করা হচ্ছে, লকডাউন বিধি শিথিল হলে যাতে সস্তায় শ্রমিক পাওয়া যায়। সংকটের সময় এই শ্রমিকদের দুর্দশার মধ্যে ফেলে রাখা হয়েছিল, আর আজ যখন সেই অসহায় শ্রমিকরা বাড়ি ফিরতে চাইছে তখন তাদের জোর করে আটকে রাখা হচ্ছে।

অপরিকল্পিত ভাবে নামানো লকডাউনের পরিণামে সৃষ্টি হওয়া অর্থনৈতিক সংকট শ্রমিকদের ক্রীতদাসত্বের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সিপিআই(এম-এল)-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুচেতা দে এটাকে ক্রীতদাসে পরিণত করা বলে অভিহিত করেন এবং শ্রমিকদের অধিকারের পক্ষে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

সিপিআই(এম-এল), সিপিআই, সিপিএম, ফরোয়ার্ড ব্লক ও আরএসপি -- এই পাঁচ বাম দল গত ৫ মে মার্ক্সের-এর ২০২তম জন্ম বার্ষিকীতে বিহারে রাজ্যব্যাপী ধর্ণা সংগঠিত করে। শ্রমিকদের থেকে ভাড়া আদায়ের সরকারি নির্দেশিকাকে ধিক্কার জানিয়ে বাম দলগুলো এটাকে মানবতা বিরোধী বলে অভিহিত করে। সমস্ত লকডাউন বিধি মেনে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত এই ইস্যুতে প্রতিবাদ জানানো হয়।

বাম দলগুলো হাসপাতালগুলোতে যথেষ্ট সংখ্যায় পিপিই সরবরাহের দাবি জানায় এবং সেনাবাহিনীর দ্বারা হেলিকপ্টার থেকে হাসপাতালগুলোতে পুষ্পবৃষ্টির মতো অনর্থক দেখনদারি কাজে জনগণের অর্থের অপচয়ের নিন্দা করেন। এই সংকটের সময় ৬,৮০০ কোটি টাকা দিয়ে সরকার যে দুটো বিশেষ বিমান কিনছে, বাম দলগুলো সেই পদক্ষেপকেও ধিক্কার জানায়।‌

খণ্ড-27