গ্রামীণ জনগণের পাশে থাকার লড়াইয়ে থাকছে লড়াকু বামেরা
left

পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর দাবিতে দেশ আবার উত্তাল হওয়ার পরিস্থিতি। এই দিকে নজর রেখেই এরাজ্যের গ্রাম-গ্রামান্তর এখন আরো কী কী নিয়ে আলোড়িত তা নিয়ে কিছু কথা।

চলমান করোনা পরিস্থিতির বেশ কিছুটা আগে লোকসভা নির্বাচনের সময় এরাজ্যে তৃণমূলের অপশাসনের বিরুদ্ধে জনমনে যে তীব্র অসন্তোষ জমা হয়েছিল, তাকে সুকৌশলে কাজে লাগিয়েছিল বিজেপি। সরকারে থাকার সুবাদে ধীরে ধীরে কাজে লাগিয়ে বিশেষত ‘পিকে’-র পেশাদারিত্ব, মমতার উদ্যোগ ও ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি, সর্বোপরি পুলিশকে কাজে লাগিয়ে (মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো,জেলে পাঠানো) পরিস্থিতি অনেকটাই সামলে নিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। গ্রামেগঞ্জে মূলত বিজেপির পতাকার তলায় থাকা বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মীদের প্রায় আগের মতোই ঘরে ঢুকিয়ে দিয়েছিল টিএমসি। কিন্তু এই লকডাউন পর্বে খাদ্য-রেশন অব্যবস্থা সহ রেশন দুর্নীতি, কাজ (মূলত ১০০ দিনের কাজ), নগদ অর্থের যোগান না থাকা ইত্যাদি কারণে শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের অসন্তোষ তীব্র হয়ে উঠছে।

এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগাতে আবারো দ্রুত পথে নেমেছে বিজেপি। বহু জায়গায়, বিশেষত দলটির কেন্দ্রীভূত কাজের গ্রামগুলি থেকে এই পর্যায়ে মূলত ত্রাণের খাদ্য নিয়ে আশপাশের এলাকায় গ্রামীণ দরিদ্রদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে (মধ্যবর্তীতে কোণঠাসা অবস্হায় থাকা) বিজেপির কর্মীবাহিনী। এই কর্মীরা বেশিরভাগই নতুন, পশ্চাদপদ শ্রেণীর। ত্রাণের জন্য উপরিস্তর থেকে বুথ স্তরে প্রচুর অর্থ ও খাদ্য পাঠাচ্ছে বিজেপি ও তার শাখা সংগঠনগুলি। ত্রাণ যোগান দিয়ে বিতরণ করে রেশন-খাদ্য-কাজ নিয়ে জমে ওঠা মানুষের অসন্তোষকে প্রভবিত করছে।

এই পরিস্থিতিতে জনসাধারণের পাশে থাকতে যথাসাধ্য সমস্ত রকমের উদ্যোগ সক্রিয়তা চালাচ্ছে সিপিআই(এমএল) লিবারেশান ও তার গ্রামীণ শাখা সংগঠনগুলি। অসহায় মানুষের পাশে থাকা হচ্ছে খাদ্য নিয়ে। স্থানীয়দের মাধ্যমে চিহ্নিত করে অনেক দূরবর্তী স্থানেও পাড়া ভিত্তিক সবচেয়ে অসহায় পরিবারের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। কখনো পার্টি অফিস ও পার্টির পরিচিত সেন্টারগুলি থেকে পার্টির সদস্য পরিবারগুলিকেও যুক্ত করে ত্রাণ শিবির করে জনগণের হাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হচ্ছে।

খণ্ড-27