কৃষি সংস্কার অধ্যাদেশ কৃষি অর্থনীতির ওপর তীব্র ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে
gagri

কেন্দ্রীয় সরকার একটা “ঐতিহাসিক পদক্ষেপ” নিয়েছে, যদিও একমাত্র ভবিষ্যতই বলতে পারবে যে এই পদক্ষেপ ঐতিহাসিক ছিল কিনা। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, তাদের জারি করা তিনটে অধ্যাদেশের মধ্যে দিয়ে তারা যে সংস্কারের সূচনা ঘটিয়েছে তার ফলে কৃষিকাজে নিযুক্ত মানুষজনের অবস্থায় বিপ্লবী পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রথম অধ্যাদেশটা হল ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য (সংশোধনী) অধ্যাদেশ ২০২০’। এর ঘোষিত লক্ষ্য হল কৃষি ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া; কৃষকদের আয়ের বৃদ্ধি ঘটানো; নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থার উদারিকরণ ঘটানোর সাথে ক্রেতাদের স্বার্থের প্রতিও নজর দেওয়া। দ্বিতীয় অধ্যাদেশটা হল ‘কৃষকদের উৎপাদিত পণ্যের ব্যবসাবাণিজ্যকে (উন্নত ও সুবিধাজনক করা) অধ্যাদেশ ২০২০’। এর ঘোষিত উদ্দেশ্য হল, নিজেদের পণ্য বিক্রয়ে ক্রেতা বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে কৃষকদের স্বাধীনতা জোগানো, যা কৃষি বাণিজ্যে প্রতিযোগিতাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মধ্যে দিয়ে কৃষকদের ফসলের লাভজনক দাম এনে দেবে। তৃতীয় অধ্যাদেশটার নাম দেওয়া হয়েছে ‘দাম পাওয়া বিষয়ে সুনিশ্চয়তা ও ফার্ম পরিষেবা সম্পর্কে কৃষকদের (ক্ষমতায়ন ও সুরক্ষা) অধ্যাদেশ ২০২০’। এই অধ্যাদেশটির ঘোষিত লক্ষ্য হল জাতীয় স্তরের একটা ব্যবস্থাপনা যুগিয়ে কৃষকদের ক্ষমতাশালী করা যাতে তারা কর্পোরেট সংস্থা, প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে নিযুক্ত উৎপাদক, পাইকারি ব্যবসায়ী, রপ্তানিকারক ও কৃষি-পরিষেবা প্রদানকারীদের সাপেক্ষে নিজেদের স্বার্থকে সুরক্ষিত করতে পারে।

ঘটনা হল, প্রথম অধ্যাদেশটা ১৯৫৫ সালের অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনকে খারিজ করছে এবং তা মজুতদারির প্রকোপ বৃদ্ধি করবে এবং কৃষিপণ্য কিনতে গিয়ে ক্রেতাদের বেশি দাম দিতে হবে। এটা যদিও দাবি করা হচ্ছে যে, অন্য অধ্যাদেশগুলো উৎপাদিত পণ্য যেখানে খুশি যাকে খুশি বিক্রি করতে কৃষকদের স্বাধীনতা দেবে, বাস্তবে কিন্তু কৃষিপণ্যের ব্যবসায়ে নিযুক্ত কোম্পানিগুলোর ওপরই তাদের নির্ভর করতে হবে। কৃষিপণ্য বাজার কমিটি (এপিএমসি) বিলোপের অর্থ হবে বিধিসম্মত বাজার ব্যবস্থা এবং মাণ্ডি বোর্ডের আয় বিলুপ্ত করা। এই ক্ষতি গুরুতর প্রভাব ফেলবে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের ওপর, এবং শহরাঞ্চলে অবস্থিত মাণ্ডিগুলোর সঙ্গে গ্ৰামসমূহের সংযোগকারী রাস্তার নেটওয়ার্ক গড়ে তোলাটাও ক্ষতিগ্ৰস্ত হবে। এইভাবে গ্ৰামোন্নয়নের গোটা ব্যবস্থাটাই চরম ক্ষতির মুখে পড়বে। এই অধ্যাদেশগুলোর মধ্যে দিয়ে দেশের কৃষি বা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ধ্বংসসাধন তো হবেই, সেই সাথে রাজ্যের কয়েকটি সাংবিধানিক অধিকারেরও ক্ষয় ঘটাবে।

দেশের জনগণের একটা বড় অংশকে কৃষি কাজ থেকে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে শহর ভিত্তিক কাজে যুক্ত করাতে পারলে তবেই দেশের উন্নতি সম্ভব — দীর্ঘদিন ধরে চর্চায় নিয়ে আসা এই ভুল ধারনাকে ধরেই এই অধ্যাদেশগুলোকে সমর্থন করার চেষ্টা হচ্ছে। তবে এর পিছনে থাকা গোপন এজেন্ডাটা হল কৃষিক্ষেত্র এবং কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াকরণ, আগাম বাণিজ্য এবং বৈদেশিক বাণিজ্যের মতো কৃষির আনুষঙ্গিক উদ্যোগগুলোর ওপর কর্পোরেট ক্ষেত্রকে এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে দেওয়া যাতে তাদের স্বার্থ সম্পূর্ণ চরিতার্থ হয়।

drt

 

অধ্যাদেশগুলো কৃষি বিপণনের সঙ্গে যুক্ত কৃষি পণ্যের খরচ ও মূল্য নির্ধারণ কমিশন (সিএসিপি), ফুড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া এবং রাজ্য মাণ্ডি বোর্ডসমূহের মতো কালোত্তীর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোর মৃত্যু ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে তৈরি করা হয়েছিল কেন সে কথা প্রথমে স্মরণে আনা দরকার। সবুজ বিপ্লবের মডেলে কৃষি পণ্যের উৎপাদন বেড়ে যাওয়ার পরিণামে সেগুলোর বিপণন ও সংরক্ষণের মতো বিষয়গুলোর মোকাবিলায় প্রাতিষ্ঠানিক পদক্ষেপ নেওয়ার আগে কৃষক ও ক্রেতাদের মাণ্ডিগুলোতে শোষণ করা হত। এই অবাধ শোষণ ব্যবস্থা থেকে কৃষক এবং ক্রেতাদের রক্ষার্থেই সিএসিপি, এফসিআই এবং রাজ্যে-রাজ্যে এই মাণ্ডিগুলোর মতো প্রতিষ্ঠানসমূহ তৈরি হয়েছিল। এপিএমসি আইন বলবৎ হওয়ায় কৃষি পণ্যগুলোর ক্রয় বিধিসম্মত মাণ্ডিগুলো থেকেই হতে লাগল। পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় সরকারী সংস্থাগুলো ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে গম ও চাল সংগ্ৰহ করতে লাগল। এই কারণেই অন্যান্য রাজ্যের কৃষকদের তুলনায় এই দুই রাজ্যের কৃষকদের আয় বেশি। অপরদিকে বিহার ইতিমধ্যেই মাণ্ডি ব্যবস্থার ওপর নিয়ন্ত্রণকে তুলে দিয়ে একটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে যাতে বেসরকারী ব্যবসাদাররা দরকষাকষি করে ইচ্ছেমতো দামে ক্রয় করতে পারে। কৃষকদের কাছে এর পরিণাম ভয়ংকর রূপের বিপর্যয়করই হয়েছে। স্বতন্ত্র কৃষকদের সাপেক্ষে ব্যবসায়ীরা সর্বদাই অনেক বেশি দর কষাকষির ক্ষমতা প্রয়োগ করে কম দামে জিনিস বেচতে কৃষকদের বাধ্য করেছে।

age

 

ঘটনা হল, বহুজাতিক সংস্থাগুলো ভারতীয় কৃষির ওপর ওদের কব্জাকে শক্তিশালী করে তুলতে চায়। এই কারণেই গোটা ১৯৯০-এর দশক জুড়ে বিশ্বায়ন ও বেসরকারীকরণের নীতিমালার মধ্যে দিয়ে অবাধ বাণিজ্যকে আগ্ৰাসীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়। আর তখন থেকেই বিভিন্ন মহল কৃষিক্ষেত্রে ভর্তুকিকে নিয়ন্ত্রিত করার কথা বলে আসছে। ২০১৩ সালে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে শান্তি ধারা অনুসারে কৃষিক্ষেত্রে কেবলমাত্র ২০১৭ সাল পর্যন্ত বাজারের সাপেক্ষে সহায়তা দেওয়াটাকে অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর থেকে ভারত সরকার বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার চাপানো নিয়ন্ত্রণকে মেনে চলার চেষ্টা করছে। আর তাই বাজারের সাপেক্ষে সহায়তাকে এড়াতে সরকার পিএম-কিসান, পিএম-আশা, ভাবান্তরভোগতান যোজনা, কালিয়া ইত্যাদির মতো অনেক বিকল্প পদক্ষেপ নিয়েছে।

এরসাথে সঙ্গতি রেখে বিভিন্ন কমিশন ও কমিটির সুপারিশ মেনে শস্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের বৃদ্ধি ঘটানো হচ্ছে না। শান্তা কুমার কমিটি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে ভারতে মাত্র ৬ শতাংশ কৃষক ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের সুবিধা পায়। ওই কমিটি এফসিআই-কে তুলে দেওয়ার সুপারিশও করে। কৃষকদের সম্পর্কে জাতীয় কমিশনের রিপোর্টেও, যাকে স্বামিনাথন কমিশনের রিপোর্ট বলেই সবাই জানে, সুপারিশ করা হয়েছে যে, কৃষকদের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দেওয়ার ভিত্তি হবে উৎপাদনের সম্পূর্ণ খরচ (সি২) এবং এর ওপর আরও ৫০ শতাংশ। পরবর্তীতে রমেশ চাঁদ কমিটির সুপারিশেও ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে অন্যান্য খরচকে অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়, যথা কৃষক পরিবারের প্রধানকে দক্ষ শ্রমিক ধরে তার মজুরি; পুঁজির ওপর বর্তমানে কেবল আধা মরশুমের সুদ দেওয়ার যে চল আছে তার পরিবর্তে পুরো মরশুমের জন্য সুদ; জমির প্রকৃত খাজনা, খামার থেকে মাণ্ডি পর্যন্ত পরিবহণ ব্যয় সহ মাণ্ডির খরচ সমূহ এবং তার সাথে ব্যবস্থাপনার খরচ। কিন্তু কেন্দ্রের একের পর এক সরকার তাদের নিজেদেরই বসানো কমিশন/কমিটির সুপারিশকে অগ্ৰাহ্য করে। সি২-এর পরিবর্তে সরকার কম ব্যয়ের হিসাবকেই (এ২+এফএল) বিবেচনায় নেয় এবং তারপর থেকে তারা দেখানোর চেষ্টা করছে যে উৎপাদিত পণ্যের জন্য কৃষকদের ইতিমধ্যেই বেশি দাম দেওয়া হচ্ছে। বর্তমান ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের নির্ধারণের ক্ষেত্রেও সেই একই অভিপ্রায় সুস্পষ্ট হয়ে দেখা দিচ্ছে।

aggge

কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, তা পূরণের মাধ্যমে কৃষকদের অবস্থার উন্নতিতে এই অধ্যাদেশগুলো কি আদৌ সহায়ক হবে?

বর্তমানে চালু বিপণন ব্যবস্থাকে আরও নিপুণ না করে তার বিপরীতটাই করা হয়েছে। এই বিষয়টার উল্লেখ না করলেও চলবে যে, পাঞ্জাবের কৃষি বিপণন ব্যবস্থা বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ব্যবস্থাগুলোর অন্যতম। ন্যূনতম সহায়ক মূল্যকে সুনিশ্চিত করা এবং সমস্ত শস্য সংগ্ৰহ করার মধ্যে দিয়ে একে আরও উন্নত করারই প্রয়োজন ছিল। সারা দেশে প্রায় ৭,০০০ বিধিসম্মত মাণ্ডি রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সংখ্যাটাকে বাড়িয়ে ৪২,০০০ করতে হবে। কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হল, তাদের সংখ্যাকে বৃদ্ধি করা এবং নৈপুণ্যকে আরও শাণিত করার পরিবর্তে দুঃসময়ে এবং অবিবেচনাপ্রসূত পরামর্শের ভিত্তিতে বিদ্যমান মাণ্ডিগুলোকেও উঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

এই অধ্যাদেশগুলোর মধ্যে দিয়ে কৃষি সংস্কারের যে ধারণা সামনে আসছে তা কোনো নতুন ধারণা নয়। অনেক উন্নত দেশেই সংস্কারের এই পথ কৃষক সম্প্রদায়ের বিপর্যয় ঘটিয়ে তাদের মজুরি শ্রমিক হিসাবে শ্রম বাজারে ঠেলে দিয়েছে। এই অধ্যাদেশগুলো মুনাফা-তাড়িত বড় বড় কর্পোরেট সংস্থাকে আমাদের কৃষি ক্ষেত্রে ঢোকার প্রশস্ত পথ তৈরি করবে। উন্নত দেশগুলোতে কৃষিক্ষেত্রের ওপর জোরালো কব্জা কায়েম করে এই ধরনের ব্যবসায়ী সংস্থাগুলো ইতিমধ্যেই কৃষক স্বার্থের প্রভূত ক্ষতিসাধন করেছে। এই দেশগুলোতে কৃষকদের বিপুল ভর্তুকি দেওয়ার ঘটনা সত্ত্বেও কৃষকরা ঋণ জর্জরিত হয়ে পড়ে আত্মহত্যা করছেন। বহু সংখ্যক কৃষককে এমন পরিস্থিতিতে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে যে কৃষির পেশাকে ত্যাগ করা ছাড়া তাদের কাছে কোনো বিকল্প আর থাকছে না।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অষ্ট্রেলিয়া এবং অন্যান্য উন্নত দেশের কৃষকদের সঙ্গে সাক্ষাতের অভিজ্ঞতা আমার আছে এবং তাদের অবস্থার অধ্যয়নও আমি করেছি। এর ভিত্তিতে আমার পর্যবেক্ষণ হল, খেয়ে পরে কোন রকমে বেঁচে থাকার মতোই তাঁদের উপার্জনের স্তর; কৃষি থেকে লাভের বড় অংশটাই আত্মসাৎ করে কৃষি পণ্যের ব্যবসায়ে জড়িত কোম্পানিগুলো। চুক্তি চাষই এই কোম্পানিগুলোর কাছে বেশি লাভজনক হয়ে দেখা দেয়, কেননা, জমির খাজনা কম হওয়ার ফলে জমি কেনার চেয়ে লিজে নেওয়াই অনেক সস্তা পড়ে।

vaj

 

এই ধরনের কোম্পানিগুলো দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের কৃষি ক্ষেত্রের ওপর আধিপত্য কায়েম করতে চাইছে, কেননা, এখানে খাজনা অনেক কম, মজুরির হার সস্তা এবং এ দেশে রয়েছে ক্রেতাদের এক বিশাল বাজার। দীর্ঘ মেয়াদে বৃহদাকারের চাষ থেকে অনেক বেশি মুনাফার লক্ষ্যে ওরা আপাতত মজুরি এবং জমির খাজনা কিছু বেশি দিতেও রাজি থাকবে। কৃষি ব্যবসায়ের ওপর দৃঢ় নিয়ন্ত্রণ কায়েম করে এই কোম্পানিগুলো ভারতে ক্রেতাদের বিশাল বাজারে ঢুকে পড়তে পারবে। সারা বিশ্বে ওষুধের ব্যবসার পর কৃষি পণ্যের ব্যবসাতেই মুনাফা সবচেয়ে বেশি  বলে গণ্য হয়ে থাকে।

মূল ব্যাপারটা এখানে সংস্কারের নয়, প্রকৃত ইস্যুটা হল কৃষিক্ষেত্রকে বেসরকারী কোম্পানিগুলোর হাতে তুলে দেওয়ার। শুরুতে এসবের মধ্যে দিয়ে কৃষকদের এবং কৃষি শ্রমিকদের আয় বাড়ার কিছু সম্ভাবনা রয়েছে, কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে এসবই সম্ভবত কৃষকদের নিজস্ব সামাজিক কাঠামো এবং আর্থিক নেটওয়ার্ক ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে। এখন কিন্তু ঋণ-জর্জরিত, কৃষক-বৈশিষ্ট্য-চ্যুত এবং আত্মহত্যাকারী কৃষকদের রক্ষা করাটাই প্রথম দরকার। রাশিয়ায় ও চীনে হওয়া কৃষক কেন্দ্রিক কৃষি সংস্কারের গোড়ার দিকের যে সমস্ত দৃষ্টান্ত আমাদের সামনে রয়েছে সেগুলো দেখায় যে কৃষকদের গ্ৰামাঞ্চল থেকে শহরে বা বিদেশে যেতে হয়নি, এ সত্ত্বেও কৃষকদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হয় এবং গ্ৰামাঞ্চলেই তাদের সম্মানজনক ও ভালো মানের জীবন যাপনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

দেশের সম্পদ, দক্ষতা, সংস্কৃতি এবং অর্থনীতির সামঞ্জস্যপূর্ণ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপর ভিত্তি করে ‘নিজস্ব দেশীয় মডেল’-এর বিকাশ আমাদের ঘটাতে হবে।

ডঃ সুখপাল সিং 
লেখক কৃষি বিপণন অর্থনীতির বিশেষজ্ঞ এবং পাঞ্জাব কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ও সমাজতত্ত্ব বিভাগের পূর্বতন প্রধান)
লিবারেশন, জুলাই ২০২০ সংখ্যা থেকে অনুদিত 

খণ্ড-27