বিবৃতি
রাজ্যের সরকারী ডাক্তারদের সংগঠন ‘অ্যাসোসিয়েশন অব হেলথ সার্ভিস ডক্টর্স, ওয়েস্ট বেঙ্গল’-এর বিবৃতি
bib

রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি বিপজ্জনক জায়গায় পৌঁছে গেছে। যে হারে প্রতিদিন সংক্রমণ এবং মৃত্যু বাড়ছে তাতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। দীর্ঘ লকডাউনে প্রস্তুতি না নিয়ে, বেসামাল সরকার আবার দুঃসহ লকডাউনের রাস্তায় হেঁটে দায় এড়াতে চাইছে।

কোভিড পরীক্ষা....

করোনা নিয়ন্ত্রনের মূল চালিকা শক্তি “পরীক্ষা-আরও পরীক্ষা-রোগ নির্ণয়-আইসোলেশন” এই পদক্ষেপে গুরুতর ঘাটতি আছে। পরীক্ষার হার আরও অনেক বাড়ানো দরকার। সংক্রমিত এলাকা গুলোতে বাড়ি বাড়ি সার্ভে করার দরকার।

সরকারী ক্ষেত্রে নমুনা পরীক্ষা কোথায় হবে, কিভাবে হবে সাধারণ মানুষ জানে না। যে হাসপাতালগুলোতে নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে সেখানেও প্রতিদিনের পরীক্ষার সংখ্যা বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। ফলে অসংখ্য সাধারণ মানুষকে বেসরকারী ক্ষেত্রে দৌড়তে হচ্ছে। হাজার হাজার টাকা খরচ করতে হচ্ছে। নমুনা পরীক্ষায় কোভিড ধরা পড়লে শুরু হচ্ছে আরেক ভয়ঙ্কর হয়রানি। শুধু জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে তিনি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু এরপর তার কি করনীয় জানানো হচ্ছে না। তার ভর্তি হওয়া দরকার কিনা, দরকার হলে কোথায় ভর্তি হবে, কিভাবে ভর্তি হবে সেটা সাধারণ মানুষকে সামাজিক প্রচারের মাধ্যমে জানানো হচ্ছে না। এখনই করোনা রুগী ভর্তি হতে চূড়ান্ত হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন। কিছুদিনের মধ্যেই এই হয়রানি দুঃসহ হবে। সরকারী বেসরকারী সব ক্ষেত্রেই শয্যার অভাব দেখা দিয়েছে। স্বাস্থ্যভবনে কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেলে ফোন করলেও কেউ ফোন ধরছে না। সরকারী ওয়েবসাইটের সঙ্গে বাস্তবে ফাঁকা থাকা শয্যার হিসাবে বিস্তর ফারাক থাকছে। বেশির ভাগ কোভিড হাসপাতালে সরকার ঘোষিত শয্যা চালু হয়নি। মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি বাড়ছে। দুঃখজনক মৃত্যু ঘটছে। মনিটরিং সেলের নাম্বারও পাড়া, মহল্লার মানুষ জানে না। স্থানীয় প্রশাসন এই বিষয়ে সাহায্যে এগিয়ে আসছে না। সংক্রমণ হয়েছে জানার পর অসহায় অবস্থায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। সেফ হোম অবৈজ্ঞানিকভাবে তৈরি হচ্ছে। চাহিদার তুলনায় খুবই কম। কর্পোরেট হাসপাতালগুলোর স্যাটেলাইট সেন্টার ব্যবসার কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।

কোভিড হাসপাতাল ......

ঘোষিত কোভিড হাসপাতালগুলোর পরিষেবা সব জায়গায় এখনো চালু হয়নি। ঘোষিত শয্যা সংখ্যার সঙ্গে বাস্তবের বিস্তর ফারাক আছে। বহু জায়গায় পরিষেবার মান খুবই খারাপ। মানুষ ভর্তি হতে চাইছেন না। বেশিরভাগ লেভেল ৩/৪ কোভিড হাসপাতাল উপসর্গহীন বা অল্প উপসর্গ যুক্ত রুগীতে ভর্তি হয়ে আছে, যাদের বড় বড় মেকশিফট হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করা যেত। ক্রিটিকাল চিকিৎসার শয্যা অতি অল্প। কলকাতার সরকারী কোভিড হাসপাতালগুলোতে সব মিলিয়ে ১০০র কম। জেলাতে প্রায় কোথাও কোভিড রুগীর জন্যে ক্রিটিকাল কেয়ার চালু নেই। পৃথক হাই-ফ্লো অক্সিজেন শয্যার ব্যবস্থা করা হয়নি। স্বাভাবিক কারণে ক্রিটিকাল কোভিড রুগীর ভর্তি/ চিকিৎসা না পেয়ে মারা যাওয়ার একাধিক খবর আসছে। দ্রুত হারে এই ঘটনা বাড়বে বলেই আমাদের আশংকা। এই পরিস্থিতিতে যখন প্রতিদিন কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে সেখানে উপসর্গযুক্ত ও ক্রিটিকাল রুগী যাতে বেড পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। উপসর্গহীন ও স্বল্প উপসর্গ রুগী যাদের পক্ষে বাড়িতে থেকে চিকিৎসা সম্ভব তাদের যাতে বাড়িতে রাখা যায় তারজন্য প্রচার করতে হবে যাতে এই নিয়ে সাধারণের মধ্যে ভীতি দূর হয়। পাড়ার লোক যাতে এই ব্যবস্থাকে গ্রহণ করে।

ste

 

স্টিগমা দূরীকরণ .… স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী .....

মানুষের স্টিগমা কাটানোর কোনো সংগঠিত উদ্যোগ নেই প্রশাসনের। পুলিশের সাহায্যে রুগী ভর্তি করা এই স্টিগমা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। মানুষ উপসর্গ লুকিয়ে রাখছে। রোগ গোপন রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে। যে কোনো ওষুধের দোকানে নজর রাখলে বোঝা যাবে কত মানুষের মধ্যে উপসর্গ আছে। এবং তারাই সংক্রমণ বাড়িয়ে চলছে। স্টিগমা কাটানো এবং কোভিড রুগীর চিকিৎসা সহায়তায় পাড়ায় পাড়ায়, মহল্লায় স্বল্প দিনের ট্রেনিং দিয়ে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গড়া হয়নি। সরকারী অনুদান প্রাপ্ত/ অপ্রাপ্ত ক্লাব গুলোর যুব অংশকে এই কাজে লাগানো যেত।

নন কোভিড চিকিৎসা ....

একই সঙ্গে সঙ্কটে নন কোভিড চিকিৎসা .... বিশেষ করে স্পেশালিটি/সুপার স্পেশালিটি চিকিৎসা এবং মেডিক্যাল কলেজগুলোর পড়াশুনা, প্রশিক্ষণ। আদেশনামা দিয়েই সরকার দায় সারছে। নন কোভিড রুগীর চিকিৎসায় সরকারী হাসপাতাল গুলোয় কোনো সুসংহত পরিকল্পনা/পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। ক্যান্সার চিকিৎসা/ডায়ালিসিস, হার্ট, ব্রেন, ফুসফুসের রোগের চিকিৎসা না পেয়ে অসংখ্য রুগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। জরুরি অপারেশনও অনেক হাসপাতালে হচ্ছে না।

চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সমস্যা ...

চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মীরা ভয়ঙ্কর ঝুঁকির মধ্যে কাজ করছে। পরিস্থিতি যা তাতে গোষ্ঠী সংক্রমণ হচ্ছে বলেই আমাদের ধারণা। উপসর্গহীন নন-কোভিড রুগীর চিকিৎসা করা বেশি ঝুঁকির হয়ে যাচ্ছে। বেশিরভাগ সরকারী হাসপাতালে এই ঝুঁকি কমানোর জন্য কোনো বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। রুগী/পরিজন ভিড় করে থাকছেন আউটডোর গুলোতে। তাদের হাত ধুয়ে, হাত স্যানিটাইজ করে, মাস্ক পরে হাসপাতালের আউটডোরে/ ক্যাম্পাসে/ ইনডোরে ঢোকানোর বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেই। ইনডোরে ভর্তি থাকা অন্যান্য রুগীদের মধ্যেও এক বড় অংশ উপসর্গহীন কোভিড আক্রান্ত। তাদের পরীক্ষা হলেই ধরা পড়ছে। ভর্তি থাকা রুগীর কোভিড পরীক্ষা/ ভর্তির আগে কোভিড পরীক্ষা বেশিরভাগ সরকারী হাসপাতালে করা হচ্ছে না। ফলে প্ৰতিটি চিকিৎসককে অসুরক্ষিত অবস্থায়, ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে নন-কোভিড রুগীর চিকিৎসা দিতে।

dddec

 

এই সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে সরকারের কাছে আমাদের দাবি, প্রস্তাব, পরামর্শ ....

১) কোভিড টেস্ট আরও অনেক বাড়াতে হবে, বিশেষ করে রেড জোনে, কন্টেনমেন্ট এরিয়ায়। গ্রীন জোনে, রিপিট টেস্ট বেশি করে নমুনা পরীক্ষা অনেক করা হচ্ছে বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী জেলায় নমুনা সংগ্রহের অলিখিত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করতে হবে। সংক্রমিত এলাকায় বাড়ি বাড়ি সার্ভেইল্যান্স করতে হবে। “পরীক্ষা-আরও পরীক্ষা-রোগ নির্ণয়-আইসোলেশন-সার্ভিলেন্স” নিশ্চিত করতে হবে। রাপিড আন্টিজেন পরীক্ষা দ্রুত চালু করে, সমস্ত স্তরে, পরীক্ষার সংখ্যা বাড়াতে হবে।

যে কোনো স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে গত আইএলআই উপসর্গ যুক্ত সমস্ত রুগী যাতে বহির্বিভাগ থেকেই একই দিনে নমুনা জমা করতে পারেন তার ব্যবস্থা করতে হবে।

২) কোভিড পরীক্ষা করানোর জন্যে মানুষ কোথায় যাবেন সেটা প্রতিটি পাড়া/মহল্লা/গ্রামে জানানোর ব্যবস্থা করতে হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রের হয়রানি বন্ধ করতে হবে। মোবাইল নমুনা সংগ্রহ ভ্যান এবং মেডিক্যাল কলেজ/জেলা হাসপাতাল গুলোতে নমুনা সংগ্রহের কীয়স্ক বানাতে হবে।

৩) রুগী ভর্তির হয়রানি কমাতে প্রতিটি পাড়ায়, মহল্লায় মনিটরিং শেলের নাম্বার জানিয়ে দিতে হবে। মনিটরিং সেলকে ৭x২৪ কার্যকরী থাকতে হবে। যে কোনো মানুষ, যে কোনো সময় ফোন করলে যেন সহায়তা পায় সেটা সুনিশ্চিত করতে হবে। জেলার সঙ্গে প্রতি মুহূর্তে সমন্বয় রাখতে হবে।

৪) প্রতিটি পাড়া মহল্লায়, গ্রামে সরকারী অনুদান প্রাপ্ত/অপ্রাপ্ত ক্লাবের যুব অংশ, এলাকার যুব অংশ, কোভিড থেকে সেরে ওঠা মানুষকে অল্পদিনের ট্রেনিং দিয়ে, সাম্মানিক দিয়ে, স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গড়ে তুলতে হবে। যারা কোভিড রুগী চিকিৎসা/পরিবহন এবং সার্ভিলেন্সে সাহায্য করবে। হোম আইসোলেশন, সেফ হোমে থাকা রুগীদের খাবার/প্রয়োজনীয় পৌঁছানো, খোঁজ রাখার কাজ করবে। এলাকার স্টিগমা কাটাতে সাহায্য করবে। মনিটরিং সেলের সাথে যোগাযোগ সাহায্য করবে।

৫) কোভিড রুগী পরিবহনের সমস্যা (১০২ এম্বুলেন্সের ঘাটতি) মেটাতে বিভিন্ন ক্লাব/প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় থাকা এম্বুলেন্স প্রয়োজন অনুযায়ী অধিগ্রহণ করে কোভিড রুগী পরিবহনের ডেডিকেটেড ব্যবস্থা করতে হবে। নন্-কোভিড পরিষেবায় যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সেটাও নজরে রাখতে হবে।

dec

 

৬) ক্রিটিকাল কোভিড রুগীর চিকিৎসার জন্যে, প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে লেভেল ৩/৪ কোভিড ব্লক তৈরি করতে হবে। জেলাতেও একইভাবে ক্রিটিকাল কোভিড চিকিৎসার পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হবে।

৭) প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজ ও জেলা হাসপাতালগুলোতে নন-কোভিড চিকিৎসা যতটা সম্ভব স্বাভাবিক করতে হবে। বিশেষ করে স্পেশালিটি/সুপার স্পেশালিটি চিকিৎসা।

৮) প্রতিটি হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজে ইনফেকশন কন্ট্রোল মেকানিজম শক্তিশালী করতে হবে। হাসপাতালগুলো যেন করোনা সংক্রমণের উৎসকেন্দ্রে পরিণত না হয় তার ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে হবে। অযথা ভিড় কমাতে হবে। কোভিড/নন-কোভিড রুগীর ঢোকা বেরোনোর রাস্তা আলাদা করতে হবে। হাসপাতালে ঢোকার আগে প্রতিটি রুগী/পরিজনের হাত ধোয়া, হাত স্যানিটাইজ করা, মাস্ক পরা সুনিশ্চিত করেই ঢোকাতে হবে। ভর্তি থাকা রুগীদের ২৪ ঘণ্টা মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। দরকারে সরকারকেই প্ৰতিটি ভর্তি রুগীকে মাস্ক সরবরাহের দায়িত্ব নিতে হবে। দরকারে প্রতিটি চিকিৎসক/স্বাস্থ্যকর্মীকে পিপিই দিতে হবে।

৯) প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজের পড়াশোনা, প্রশিক্ষণ স্বাভাবিক করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

১০) প্রতিটি কর্পোরেট হাসপাতালে নুন্যতম ২৫ শতাংশ শয্যা কোভিড চিকিৎসার জন্যে সংরক্ষিত করতে হবে। প্রয়োজনে অধিগ্রহণ করতে হবে। প্রাইভেট/কর্পোরেট হাসলাতালের চিকিৎসা ব্যয়ে স্বচ্ছতা আনতে কঠিনতম নজরদারী রাখতে হবে।

১১) প্রত্যেক সরকারী বেসরকারী স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ফার্মেসি, ওষুধের দোকান, ল্যাবরেটরি সার্ভেইল্যান্সের আওতায় আনতে হবে। যাতে দ্রুত ইনফ্লুয়েঞ্জা উপসর্গযুক্ত রুগী চিহ্নিত/আইসোলেশন/পরীক্ষিত/চিকিৎসিত হতে পারেন।

১২) উপসর্গহীন, অল্প উপসর্গযুক্ত রুগীর জন্যে, কলকাতা, জেলার স্টেডিয়াম, স্কুলবাড়ি, সরকারী ভবনে বৃহদাকার “মেক শিফট” হাসলাতাল গড়ে তুলতে হবে। স্যাটেলাইট কেন্দ্রের চিকিৎসা খরচ সরকারকে বহন করতে হবে।

ঘন ঘন সেফ হোম না বানিয়ে, মানুষের চাহিদা মেটাতে কেস লোডের সাথে সাযুজ্য রেখে ২৪x৭ মেক শিফট আইসোলেশন সেন্টার গড়তে হবে। তাতে লোকবলের সুরাহা হবে এবং মানুষের নিরাপত্তা বোধ বৃদ্ধি পাবে।

vac

 

এছাড়া, কেন্দ্রীয় ওয়েবসাইটে কার্যকরী শয্যা ও ভ্যাকেন্সি প্রশ্নে কোনো রকম অস্বচ্ছতা থাকা চলবে না। মানুষের বিভ্রান্তি বাড়ছে। চিকিৎসকদের সাথে মানুষের ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হচ্ছে।

স্কুল, কলেজ বাড়ি, কমিউনিটি হল গুলোকে সেফ হোম/ কোভিড আইসোলেশন সেন্টারে পরিণত করা যেতে পারে।

ব্লক স্তর পর্যন্ত প্রতিটি হাসপাতালে ইনফ্লুয়েঞ্জা লাইক ইলনেস ক্লিনিক চালু করতে হবে। আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু করতে হবে। নমুনা সংগ্রহের ব্যবস্থা করতে হবে।

১৩) প্রতিটি চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশকর্মী, সাফাইকর্মী, স্যানিটাইজেসন কর্মীদের আইসিএমআর গাইডলাইন অনুযায়ী অন্যান্যদের, নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে আন্টিবডি টেস্ট চালু করতে হবে। এতে অহেতুক ভীতি কাটতে পারে। পরিষেবার মান উন্নত হতে পারে। সার্ভেইল্যান্সেও সাহায্য করবে।

১৪) রেশনের মাধ্যমে প্রতিটি মানুষকে মাস্ক, স্যানিটাইজার, সাবান সরবরাহ করতে হবে।

১৫) সরকারের ব্যর্থতার দায় কোনোভাবেই চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মীদের ঘাড়ে চাপানো যাবে না।

১৬) প্রতিটি পাড়া, মহল্লা, ওয়ার্ড, গ্রাম প্ৰতিদিন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, স্যানিটাইজ করার ব্যবস্থা করতে হবে।

১৭) পরিবহনের সমস্যা মেটাতে বেসরকারী বাস অধিগ্রহণ করতে হবে। প্ৰতিটি বাস প্রতিদিন স্যানিটাইজ করা সুনিশ্চিত করতে হবে।

(অ্যাসোসিয়েশন অব হেলথ সার্ভিস ডক্টর্স, ওয়েস্ট বেঙ্গল)  

১৩/০৭/২০২০  

খণ্ড-27