গণসচেতনতা বাড়াতে ১৬ দলের গৃহীত কর্মসূচী
kdar

১৬ জুলাই সিপিআই(এম) রাজ্য দপ্তরে বাম ও সহযোগী দলগুলির এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি দলের পক্ষে একজন করে প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের মূল আলোচ্য ছিল দেশ ও রাজ্যে যেভাবে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বাড়ছে, মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, এমনকি বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর খবর আসছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে কী কী উদ্যোগ নেওয়া যায়। আলোচনার দুটি অংশ ছিল। প্রথমত জনগণের সক্রিয়তা বৃদ্ধির জন্য গণসচেতনতা প্রচার অভিযান সংগঠিত করা। দ্বিতীয়ত বেহাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া। ১৮-১৯ জুলাই কলকাতায় বিভিন্ন বসতি অঞ্চলে, বাজার-হাটের সামনে ছোট ছোট প্রচার সভা, পোস্টার প্রদর্শনী ইত্যাদির মাধ্যমে এই গণসচেতনতা বৃদ্ধির প্রচার চালাতে হবে। অন্যান্য জেলাগুলিতে পারস্পরিক আলোচনার ভিত্তিতে এই সচেতনতা কর্মসূচী কিভাবে রূপায়িত করা যায় দেখতে হবে। নিছক নির্দেশাত্বক ঢঙে নয়, কোভিড১৯ রোগটি সম্পর্কে এবং সংক্রমণ কিভাবে ছড়ায় সে সম্পর্কে একটা বৈজ্ঞানিক ধারণা মানুষের মধ্যে নিয়ে যেতে হবে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বিকল্প ধারণাগুলো এবং কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা, দায়হীনতা তুলে ধরতে হবে। একটা প্রচেষ্টা চালাতে হবে এলাকার চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী, বিভিন্ন বিজ্ঞানমঞ্চের কর্মীদের এই প্রচারে সামিল করানোর। পরিচিত বিভিন্ন প্যাথ ল্যাবের সাথে কথা বলে অল্প খরচে টেষ্ট করানোর একটা উদ্যোগ নেওয়ার জন্য প্রচেষ্টা চালানো হবে। কোথায় গেলে টেষ্ট হবে, সংক্রামিত হলে কী করবেন, সেসম্পর্কে মানুষকে একটা ধারণা দিতে হবে। আতঙ্ক মুক্ত করার পাশাপাশি কুসংস্কার মুক্ত করতে হবে – বোঝাতে হবে রোগকে প্রতিরোধ কর, রোগীকে সারিয়ে তোল। কোভিড সংক্রমণের সঙ্গে ডেঙ্গি প্রতিরোধের কথাও তুলে ধরতে হবে। এই অভিযান এক-দুদিনে শেষ হবে না। একটা বড় সময় ধরে চালাতে হবে। জুলাই মাসের শেষ দিকে কলকাতায় গণঅবস্থানের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের ব্যর্থতার বিরুদ্ধে প্রচার চালোনোর পাশাপাশি আমাদের দাবিগুলি তুলে ধরা হবে। জেলাগুলিও এই ধরনের কর্মসূচী নিলে ভাল হয়।

- পার্থ ঘোষ, রাজ্য সম্পাদক, সিপিআই (এম-এল) লিবারেশন 

খণ্ড-27