মোদী জমানায় রেল শিল্পের ঢালাও বেসরকারীকরণ – স্বাধীনতা উত্তর পর্বে শ্রমজীবী গরিব জনগণ ও সংগঠিত শ্রমিক শ্রেণীর উপর এক অভূতপূর্ব নগ্ন আক্রমণ
rat

সীমান্তে “দ্রিমিকি দ্রিমিকি, বাজে রণবাদ্য”, অর্থনীতির বেহাল অবস্থা, লকডাউন পর্যায়ে ছাঁটাই, শ্রম সংকোচন, কর্পোরেট পুঁজির স্বার্থে শ্রম আইন সংশোধন, পরিযায়ী শ্রমিকদের হাহাকার – এ সবই এনডিএ সরকারের দেশবিরোধী, জনবিরোধী, শ্রমিক বিরোধী নীতির ই প্রতিফলন। জাতীয় সংকট ক্রমশ গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে। উগ্র জাতীয়তাবাদের জিগির তুলেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। ভারতীয় শ্রমিক শ্রেণীর ঘামে ও রক্তে গড়ে তোলা রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থাকে জলের দরে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। কয়লা শিল্প থেকে শুরু করে প্রতিরক্ষা, এলআইসি, বিপিসিএল, এয়ার ইন্ডিয়া সহ সমস্ত রাষ্ট্রীয় শিল্পকে ঢালাও বেসরকারীকরণের বিরুদ্ধে দেশের শ্রমিকশ্রেণী প্রতিদিন ঐক্যবদ্ধ লড়াইতে সমাবেশিত হচ্ছে। করোনা মহামারীতে দেশ যখন বিপর্যস্ত তখনই দেশী-বিদেশী কর্পোরেটদের কাছে ভারতীয় রেলকে বেচে দেওয়ার চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করা হল। ভারতীয় রেলে কর্মরত দক্ষ শ্রমিক দেশের অর্থনীতি কে সচল রাখতে রাতদিন কাজ করে চলেছে। রুটি রুজির জন্য প্রতিদিন প্রায় দুকোটি সাধারণ জনগণ প্রত্যহ রেলে যাতায়াত করেন এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে, গ্রাম থেকে শহরে। রেল বেসরকারীকরণ হলে শুধু ভাড়া বৃদ্ধিই নয় রেল সুরক্ষা ও পরিষেবা বিরাট প্রশ্নের মুখে দাঁড়াবে।

রেল বেসরকারীকরণের প্রেক্ষাপট:

পরিকল্পনা কমিশন সামাজিক দায়বদ্ধতার দৃষ্টিকোণ থেকে প্রত্যন্ত এলাকায় রেললাইন সম্প্রসারনের কাজে সক্রিয় থেকেছে, যদিও প্রয়োজনের তুলনায় পর্যাপ্ত নয়। এমনকি উদারিকরণের যুগেও কেন্দ্রে আসীন বিভিন্ন সরকার জনপ্রিয় জাতীয় পরিবহন ব্যবস্থা রেল কে বেসরকারী পূঁজির হাতে তুলে দিতে পারেনি এবং ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মুখে যাত্রীভাড়ায় ভর্তুকি তুলে দেওয়ার পদক্ষেপ ও গ্রহণ করতে পারেনি। কিন্তু মূল কাঠামো কে অক্ষুন্ন রেখে নন-কোর কাজগুলো আউটসোর্সিং করতে শুরু করে। আর মোদী সরকার নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরে এসে ফ্যাসিবাদের স্বাভাবিক শত্রু সংগঠিত শ্রমিক শ্রেণী তথা রেল শ্রমিকের ওপর নগ্ন আক্রমণ সংগঠিত করে। প্রথমেই কর্পোরেট পুঁজির স্বার্থে যোজনা কমিশন তুলে দিয়ে নীতি আয়োগ গঠন করে এবং দেবরায় কমিটির সুপারিশে স্বাধীন পৃথক রেল বাজেট তুলে দিয়ে ভারতীয় রেলের স্বায়ত্বতাকে খর্ব করে। মোদী সরকার দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় ফিরে এসে রেলে বেসরকারীকরণ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে ১০০ দিনের এ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করে। প্রথম বেসরকারী ট্রেন তেজস এক্সপ্রেস লক্ষ্ণৌ ও দিল্লির মধ্যে চালু হয়। ভাড়া দ্বিগুণ বৃদ্ধি হয়। তেজস এক্সপ্রেস কে অগ্রাধিকার দিতে বহু ট্রেন উক্ত রুটে বাতিল করা হয় ও গোমতী এক্সপ্রেস কে স্টেশনে দাঁড় করিয়ে রেখে তেজস কে আগে ছাড়া হয়। এই ঘটনা থেকে প্রমানিত যে আগামী দিনে ভারতীয় রেলে বেসরকারী পুঁজিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

trra

 

করোনা মহামারী রুখতে লকডাউন শেষ হতেই ১ জুলাই ২০২০ থেকে মোদী সরকার ১০৯টি লাভজনক ও ব্যস্ততম রুটে ১৫১টি ট্রেনের জন্য আরএফকিউ (Request for Qualification) অর্থাৎ প্রাইভেট অপারেটরের কাছ থেকে টেন্ডারপত্র আহ্বান করেছে।

২০২৩ সাল থেকে ভারতীয় রেলের রেডিমেড পরিকাঠামো কে ব্যবহার করে প্রথম কিস্তিতে উক্ত ট্রেনগুলি চালু হবে। বেসরকারীকরণের পক্ষে মোদী সরকারের যুক্তি হল রাজস্ব ঘাটতি মেটাতে এছাড়া কোন বিকল্প নেই। এর ফলে ৩০ হাজার কোটি টাকার দেশী-বিদেশী পুঁজি (রেলে ১০০% এফডিআই এর অনুমতি দিয়েছে সরকার) বিনিয়োগ হবে। সরকার পরিচালিত ট্রেনের সাথে প্রতিযোগিতা শুরু হবে এবং তারা নিজেদের ইঞ্জিন, কামরা রক্ষণাবেক্ষণ করবে। (১) আধুনিক প্রযুক্তির ট্রেন হওয়ার ফলে রক্ষণাবেক্ষণের সময় কম লাগবে। (২) গন্তব্য স্থলে পৌঁছানোর সময় (Transit Time) ও কম লাগবে। (৩) ব্যাপক কর্মসংস্থান হবে। (৪) নিরাপত্তা সুরক্ষিত হবে ও দুর্ঘটনা হ্রাস পাবে। (৫) চাহিদা ও যোগানের ক্ষেত্রে ঘাটতি কমবে। মোদী সরকারের কোন যুক্তিই ধোপে টেঁকে না। সবচেয়ে মিথ্যাচার হল ‘আচ্ছে দিন’ এর মতো কর্মসংস্থানের গল্প। প্রথমতঃ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ট্রেনে কামরা ও ইঞ্জিনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ মূল কাঠামোর সাথে অন্তর্গ্রথিত থাকে। ফলে প্রতিদিন রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয় না এবং খুব কমসংখ্যক দক্ষ শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। অতি মুনাফার জন্য প্রতিনিয়ত নিরাপত্তা বিধি লঙ্ঘিত হয় ও ট্রেন দূর্ঘটনার কবলে পড়ে। চাহিদা যোগানের সামঞ্জস্য আনতে সরকার নিজেই বিনিয়োগ করে নতুন ট্রেন চালু করতে পারে। গত ছয় বছরে বন্দে ভারত (১৮টি ট্রেন) বা তেজস এক্সপ্রেস এর মতো ট্রেন ছাড়া জনতার স্বার্থে উল্লেখযোগ্য কোন ট্রেন চালু হয়নি।

ইতিমধ্যে ৫০টি বড় বড় লাভজনক স্টেশন বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নির্মাণ শিল্পের হাঙরদের হাতে তুলে দেওয়া হবে রেল কলোনির জমি। ছোট ছোট স্টেশন, ডিজেল শেখ বন্ধ করে দেওয়া হবে, বন্ধ হবে রেলওয়ে স্কুল ও হাসপাতাল।

bas

৭টি রেলওয়ে উৎপাদন কেন্দ্রের কর্পোরেটকরণ:

গত ৩০ শে জুন ২০২০, রাইটস (রেল ইন্ডিয়া টেকনিক্যাল এন্ড ইকোনমিক সার্ভিস) লিমিটেড রেল বোর্ডের কাছে রেলের উৎপাদন কেন্দ্র গুলির কর্পোরেট করণ তথা বেসরকারীকরণের জন্য তার রিপোর্ট পেশ করেছে। উৎপাদন কেন্দ্রগুলির কর্পোরেটকরণ তথা বেসরকারীকরণ এখন মন্ত্রীসভার অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। উৎপাদন কেন্দ্রগুলিতে দেশী-বিদেশী পুঁজির অনুপ্রবেশ ঘটবে এবং সস্তা শ্রমে তৈরি কোচ, ইঞ্জিন, চাকা প্রাইভেট ট্রেন অপারেটর কে সরবরাহ করবে। এ্যালস্থম, বোম্বার্ডিয়ার, সিমেন্স-এর মতো বহুজাতিক সংস্থা নতুন প্রযুক্তি ও পুঁজি বিনিয়োগ করবে। বিপন্ন হবে স্থায়ী কর্মীদের চাকরির নিশ্চয়তা। তৈরি হবে কন্ট্র্যাক্ট শ্রমিকদের এক বিশাল বাহিনী। সামাজিক সুরক্ষা, ন্যূনতম মজুরি বা ৮ ঘণ্টা কাজের নির্দিষ্ট সময়সীমার মতো শ্রম আইনগুলি লঙ্ঘিত হবে।

একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা (RRAI) বা ব্যবস্থার অধীনে দুটি সমান্তরাল পদ্ধতির (সরকারী ও বেসরকারী ট্রেন পরিচালন পদ্ধতি) অন্তর্বিরোধ উক্ত রেগুলেটরের অনেক কাজের মধ্যে অন্যতম হলো বেসরকারী মালিকরা যাতে রেলের পরিকাঠামো ব্যবহার করতে পারে তার তত্ত্বাবধান করা। সুপরিকল্পিতভাবে প্রশাসন বেসরকারী সংস্থাকে বেশি সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দিয়ে সরকারী ব্যবস্থা কে অসম প্রতিযোগিতার মুখে ফেলে দেবে। বেসরকারী ট্রেনগুলি যাতে যথেষ্ঠ যাত্রী পায় ও দ্রুত ছুটতে পারে তার জন্য দেশজুড়ে অন্তত শ’খানেক ধীর গতির ট্রেন বসিয়ে দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। এমনকি বেসরকারী ট্রেন ছাড়ার ১৫ মিনিট আগে ও পরে একই রুটের কোনো ট্রেন যাবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছে সরকার। ক্রমশ বেসরকারী ট্রেনকে জায়গা করে দিতে সরকারী ট্রেনকে ক্রমেই পিছনের সারিতে ঠেলে দেওয়া হবে। এটি একটি জাপানি মডেল। ১৯৬৪ সাল থেকে জাপানি রেলে দুটি ব্যবস্থা চালু হয় ও ক্রমশ এক দশকের মধ্যে সরকারী ট্রেন পরিষেবা ভেঙে পড়ে এবং বেসরকারীকরণের হাত ধরে সেই জায়গায় কর্পোরেট পুঁজি প্রবেশ করে। মোদী সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ভারতীয় রেল ও ১০০% প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের হাত ধরে দেশী-বিদেশী পুঁজিপতিদের হাতে চলে যাবে।

gw

রেল বেসরকারীকরণ কি আদৌ আমজনতার স্বার্থ সুরক্ষিত করবে?

বর্তমানে প্রতি যাত্রী পিছু প্রতি কিলোমিটারে ৪৩ পয়সা ভর্তুকি দেয় রেল। ভাড়া নির্ধারণের ক্ষমতা বেসরকারী হাতে গেলে তাতে ভর্তুকির সুযোগ থাকবে না। ফলে টিকিটের প্রকৃত মূল্য ও বেসরকারী সংস্থার লাভ মিলিয়ে টিকিটের যা দাম হবে তা সাধারণ মানুষের ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যাবে। বয়স্ক নাগরিক, প্রতিবন্ধী, ক্যানসার রোগী প্রভৃতিদের বিশেষ অনুদান বা কনসেশন তুলে দেওয়া হবে। বেসরকারী মালিক নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ, যেমন ঠিকা শ্রমিক, সবজি বিক্রেতা, ছোট দোকানদার, যারা ভেন্ডার ও মাসিক টিকিট কেটে যাতায়াত করেন তাদের ওপর বাড়তি বোঝা চাপাবে। প্রতি বছর প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা যাত্রী ও মাল পরিবহনে ভর্তুকি দেওয়া হয়। কিন্তু এর মাত্র ১০% পায় শ্রমজীবী গরিব জনগণ, বাকিটা ভোগ করে রাষ্ট্র ও পুঁজিপতিরা। এবারে এই দশ শতাংশ ভর্তুকিও উঠে যাবে। লোকাল ট্রেন বেসরকারী মালিকের হাতে চলে গেলে বহু অলাভজনক রুটে ট্রেন বন্ধ হয়ে যাবে। গরিব শ্রমজীবী মানুষ বিপদে পড়বে।

বেসরকারীকরণ ও কর্মীসংকোচন:

যেহেতু রেক রক্ষণাবেক্ষণের কাজ বেসরকারী সংস্থা করবে সেহেতু ব্যাপক রেলকর্মী উদ্বৃত্ত হবে। ইতিমধ্যে ২.৫ লাখ শূণ্যপদ পূরণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে এবং ২০২১-২২ এ অবসরের ফলে আরও ১ লক্ষ পদ খালি হবে। ইতিমধ্যে ১.২৫ লক্ষ (৫০%) শূন্যপদের অবলুপ্তি ঘটেছে। অবসরের পর চুক্তি ভিত্তিক পুনর্বহাল করবে রেল মন্ত্রক। বর্তমানে রেলকর্মী সংখ্যা ১২ লক্ষ ৭৭ হাজার। উক্ত সংখ্যা কে ৫ লক্ষে নামিয়ে আনার নীল নকশা তৈরি হয়েছে। মাল্টি স্কিলিং এর নামে এবং বিভিন্ন বিভাগকে একত্রিত করে কর্মী সংখ্যা কমানো হচ্ছে। যাদের বয়স ৫৫ বছর বা চাকরি ৩০ বছর হয়েছে তাদের কর্মদক্ষতা মূল্যায়ন করে বাধ্যতামূলক অবসরের নির্দেশ জারি করা হয়েছে।

prov

 

এই সমস্ত দেশ বিরোধী, শ্রমিক বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে গত ২২ মে ট্রেড ইউনিয়নগুলি দেশব্যাপী সংযুক্ত প্রতিবাদ দিবস পালন করে। রেল শ্রমিক ও রেলে কর্মরত ঠিকা শ্রমিকরা ঐ কর্মসূচীতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। রেলশিল্পে এআইসিসিটিইউ অনুমোদিত সর্বভারতীয় ফেডারেশন, আইআরইএফ (ইন্ডিয়ান রেলওয়ে এম্প্লয়িজ ফেডারেশন) ১৯ জুন থেকে ২৬ জুন সারা দেশে প্রতিবাদ সপ্তাহ পালন করে। কয়লাখনি নিলাম, রেল বেসরকারীকরণ, প্রতিরক্ষা শিল্পের কর্পোরেটকরণ ইত্যাদির বিরুদ্ধে রেল শ্রমিক সোচ্চার হন। গত ৩ জুলাই সংযুক্ত ট্রেড ইউনিয়নের ডাকা দেশব্যাপী প্রতিবাদ দিবসে রেলশ্রমিকরা সক্রিয় অংশগ্রহণ করে। ধর্মঘটী কয়লা শ্রমিকদের সংহতিতে সারা দেশে আইআরইএফ কর্মসূচী পালন করে। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারীকরণ, শ্রম আইন সংশোধনের বিরুদ্ধে ও অন্যান্য দাবিতে এই প্রতিবাদ দেশজুড়ে অসহযোগ, আইন অমান্য, অবরোধ, অবস্থান ইত্যাদি বিভিন্ন রূপে সংগঠিত হয়। ৫টি বামপন্থী দল ও কৃষক ও ক্ষেতমজুর সংগঠন সমর্থন জানিয়ে উক্ত কর্মসূচীতে সামিল হয়।

মোদী জমানায় কর্পোরেট লুঠ ও মুনাফা, অতি-মুনাফার জন্য ভারতীয় রেলকে প্রস্তুত করা হচ্ছে। রেল সুরক্ষার বদলে মুনাফাই হবে একমাত্র লক্ষ্য। তাই ভারতীয় রেলের জনস্বার্থবাহী কাঠামো কে ধ্বংস করে এক নতুন কর্পোরেট মুখী কাঠামো তৈরি করতে মোদী সরকার বদ্ধপরিকর। এমতাবস্থায় রেলশ্রমিক, শ্রমজীবী যাত্রী সাধারণ, যুব-ছাত্র, কৃষিশ্রমিক-এর সর্বাত্মক ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। মোদী সরকারের এই দেশবিরোধী, জনবিরোধী, শ্রমিক বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে ভারতীয় রেলের ছোট বড়, জেসিএম অন্তর্ভূক্ত, জেসিএম বহির্ভূত সব সংগঠনকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসতে হবে এবং জাতীয় স্তরে সমন্বয়ের মাধ্যমে এক নির্ণায়ক লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। জেসিএম অন্তর্ভুক্ত না হলেও, নতুন ফেডারেশন ইন্ডিয়ান রেলওয়ে এম্প্লয়িজ ফেডারেশন (IREF)-কে উক্ত দিশায় নেতৃত্বকারী ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে।

লেখা : নীরেন্দ্র নাথ ব্যানার্জী 

খণ্ড-27