খবরা-খবর
পুর্ব বর্ধমান জেলার পুর্বস্থলী ২নং ব্লকের বিডিও ডেপুটেশন
pur

৯ সেপ্টেম্বর পুর্বস্থলী ২নং ব্লক অফিসে গণডেপুটেশন সংগঠিত করা হল। গত ১ সেপ্টেম্বর ডেপুটেশন স্থগিত থাকার ফলেই এদিনের ডেপুটেশন। ব্লকের ৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ৩০০ শতাধিক মানুষ বিক্ষোভ ডেপুটেশনে অংশগ্রহণ করেন। মহিলাদের উপস্থিতির পরিমাণ ছিল সংখ্যাধিক। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মহিলাদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য। পরিযায়ী শ্রমিকদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য। আয়ারলার জেলা কমিটির সদস্য শিবু সাঁতরার নেতৃত্বে ২ জন মহিলা সহ ৫ জনের প্রতিনিধি দল জয়েন্ট বিডিওকে ডেপুটেশন জমা দেন। অন্যান্য দাবির সাথে ঋণ ও ১০০ দিনের কাজের উপর জোর দেওয়া হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন অশোক চৌধুরী ও শিবু সাঁতরা। তারপর মিছিল করে গিয়ে পাটুলী বন্ধন ব্যাংকের শাখার সামনে বিক্ষোভ দেখানো হল। শাখা ম্যানেজার মারফত বন্ধন ব্যাংক জেনারেল ম্যানেজারের কাছে স্মারকলিপি পাঠানো হল। সমগ্র কর্মসূচি সংগঠিত হয় সারা ভারত কৃষি ও গ্রামীণ মজুর সমিতি, ঋণমুক্তি কমিটি ও সারা ভারত কৃষক মহাসভার পরিচলনায়। ডেপুটেশন এলাকার মানুষের মধ্যে ভাল উৎসাহ সৃষ্টি করে।

পঞ্চায়েতে যৌথ ডেপুটেশন

গত ৮ সেপ্টেম্বর মেড়তলাগ্রাম পঞ্চায়েতে সিপিআই(এম) ও সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের উদ্যোগে গনডেপুটেশন সংগঠিত করা হল। শিবু সাঁতরার নেতৃত্বে এলাকার কমরেডদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিক্ষোভ প্রদর্শন হয়। সিপিএমের বিধায়কও ডেপুটেশনে উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ব বর্ধমান জেলায় খাদ্য আন্দোলন দিবস

(গত সংখ্যায় রাজ্যের অন্যান্য জেলার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে)

১৯৫৯ সালের ৩১ আগষ্ট কলকাতায় লক্ষ লক্ষ ভুখা মানুষের খাদ্যের দাবির মিছিলে মার্কিন  সাম্রাজ্যবাদের অঙ্গুলি হেলনে তৎকালীন শাসক দলের নির্দেশে শান্তিপূর্ণ জনতার উপর পুলিশের লাঠি-বেয়নেট ৮০ জন মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল। হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। তার পরের ইতিহাস হল বাংলার বাম-গণতান্ত্রিক আন্দোলনের উত্থানের ইতিহাস। সেই সময় ফসল ওঠার মরসুমে সস্তা দরে ধান ক্রয় করে অথবা মহাজনী সুদের দায়ে কৃষকদের থেকে সমস্ত ধান মজুতদার মহাজনরা হস্তগত করে মুনাফার জন্য শহরে পাচার করত। ফলে তৈরি হয় আকাল। কৃষকদের ফলানো খাদ্যের অভাই গ্রামের মানুষের অনাহার-অর্ধাহার অখাদ্য কুখাদ্য নিত্য সঙ্গী হয়ে উঠেছিল। গরিব মানুষের ঘটিবাটি মহাজনের কাছে বন্ধক চলে গিয়েছিল। জমি হারিয়ে কাতারে কাতারে মানুষ শহরের ফুটপাত বাসিন্দা হতে হয়েছ। বাম-গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চাপেই শাসকদের পিছু হঠতে হয়েছিল। অনেক কিছুই পাল্টাতে হয়েছ। বহু কিছু জাতীয়করণ করতে হয়েছে। ভুমিসংস্কার পদক্ষেপ। কৃষি উৎপাদন বাড়াতে উদ্যোগ, মজুতদারী নিয়ন্ত্রণ, অত্যাবশ্যক পণ্যের নিয়ন্ত্রণ, রেশন ব্যবস্থার উপর জোর দেওয়া। আজকের ফ্যাসিস্ট শাসক দল জাতীয় সম্পত্তির বিলগ্নীকরণ বেসরকারীকরণ করছে। কৃষিকে কর্পোরেট নিয়ন্ত্রণে নিতে চাইছে, মজুতদারীকে উৎসাহিত করতে চাইছে। রেশন ব্যবস্থা তুলে দিতে চাইছেন। কর্পোরেটদের হাতে কৃষকদের জমিও তুলে দিতে চাইছেন। মহাজনী সংস্থার ঋণ ফাঁদ গ্রামীণ মজুরের শ্রম লুঠ করছে। তাই আজকের ঐতিহাসিক খাদ্য আন্দোলন দিবসে শহীদদের স্মরণে শপথ নিতে হবে। কর্পোরেট হঠাও কৃষক বাঁচাও। সংবিধান বাঁচাও, স্বাধীনতা বাঁচাও, গনতন্ত্র বাঁচাও। শ্রমিক কৃষক মেহনতী জনগণের জীবন-জীবিকার দায়িত্ব সরকাকে নিতে হবে। ফ্যাসিস্ট রাজ ধ্বংস হোক। ঐতিহাসিক খাদ্য আন্দোলনের অমর শহীদের লাল সেলাম।

কালনা ২নং ব্লকের অকালপোষ অঞ্চলের আগ্রাদহ বাস স্ট্যান্ডে, পুর্বস্থলী ১নং ব্লকের নাদনঘাট পঞ্চায়েতের ইসলামপুর গ্রামের চৌরাস্তায়, বর্ধমান সদর ১নং ব্লকের বন্ডুল বাজারে কর্মসূচী সংগঠিত হয়। এছাড়া মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর শহরের সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের জেলা অফিসে কর্মসূচী সংগঠিত হয়।

খণ্ড-27
সংখ্যা-32