২৫ সেপ্টেম্বর পূর্ব বর্ধমান জেলার অবরোধ কর্মসূচী
dwee

পুর্ব বর্ধমান জেলার এআইকেএসসিসি’র জেলা যৌথ বৈঠকে পরিকল্পনা হয় জেলার গুরুত্বপূর্ণ ৭টি জায়গায় জাতীয় ও রাজ্য সড়ক অবরোধ করা হবে। মুলত সময় সকাল ১১টা থেকে ১২টা ঠিক হলেও এলাকার পরিস্থিতি অনুযায়ী সময় কিছুটা পরিবর্তন করে নবদ্বীপ-বর্ধমান ও কালনা কাটোয়া রাজ্য সড়কের সংযোগ স্থল পুর্বস্থলী ১নং ব্লকের হেমতপুর মোড়ে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে জমায়েত হতে শুরু হয়ে অবস্থান বিক্ষোভ চলতে থাকে। ১১টার সময় তিন দিকের রাস্তা অবরোধ করে দেওয়া হয়। ফলে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন দাঁড়িয়ে পরে। এআইকেএম ও আয়ারলার পক্ষ থেকে কেন্দ্রের কৃষক বিরোধী কৃষি-বাণিজ্য-আইন অত্যাবশ্যকীয়-পণ্য-আইনের সংশোধনী বিল ও কর্পোরেট স্বার্থবাহী চুক্তিচাষের আইনের কপি পোড়ানো হয়। নরেন্দ্র মোদীর কুশপুত্তলিকা দাহ করার মাধ্যমে ১২টার পর অবরোধ সমাপ্ত করা হয়।

২নং জাতীয় সড়কের সদর ২নং ব্লক-এর পালসীট মোড়ে জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ অবরোধ সংগঠিত হয়। ব্যাপক মানুষের অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিক্ষোভ প্রদর্শনে জাতীয় সড়ক অচল হয়ে যায়। সমস্ত যানবাহন দাঁড়িয়ে পড়ে। বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। কৃষকদের জঙ্গী বিক্ষোভের সামনে পুলিশ পিছু হঠে। ১২টার সময় আগামীদিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়ে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।

ভাতার থানার আমারুন বাসস্যান্ডে বর্ধমান-কাটোয়া রাজ্য সড়কের উপর সকাল ১১টার সময় প্রচুর মানুষের উপস্থিতিতে অবরোধ আন্দোলন শুরু হয়। শ্লোগান বক্তব্য মানুষের মধ্যে সাড়া জাগিয়ে তোলে। দীর্ঘ সময় অবরোধের পর কৃষক বিরোধী আইন বাতিল হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহবান জানিয়ে অবরোধ সমাপ্ত হয়।

বিকাল ৩টার সময় কালনা-বর্ধমান ও কুসুমগ্রাম-মেমারী রোডের সংযোগস্থল মন্তেশ্বর বিধানসভার অন্তর্গত মেমারী ২নং ব্লক-এর সাতগাছিয়া বাজারে ব্যাপক সমাবেশের মধ্যে দিয়েই বিক্ষোভ ও অবরোধ শুরু হয়। চৌরাস্তায় অবরোধের ফলে সমস্ত বাজার অচল হয়ে যায়। বাজারের উপস্থিত কৃষকরা উৎসাহ নিয়ে আন্দোলনকারী নেতৃবৃন্দের বক্তব্য শোনেন। বিক্ষোভ ও বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে অবরোধ চলার পর ৪টার সময় কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষক বিরোধী আইন বাতিল না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহবান জানিয়ে অবরোধ সমাপ্ত হয়।

বিকাল ৪টার সময় কালনা-বৈঁচি রোড ও কালনা-গুপ্তীপাড়াগামী রাস্তার সংযোগ স্থল কালনা শহরের বৈদ্যিপুর মোড়ে বিশাল সমাবেশের মাধ্যমে বিক্ষোভ অবরোধ শুরু হয়। চলতে থাকে বক্তাদের ভাষন ও শ্লোগান। শহরের মানুষ বক্তব্য শোনার জন্য দাঁড়িয়ে পরে। ৫টা পর্যন্ত অবরোধ চলতে থাকে। আন্দোলন বৃহত্তর পরিধিতে এগিয়ে নেওয়ার আহবান জানিয়ে কর্মসূচীর সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।তাছাড়া বর্ধমান-আরামবাগ রোডের সগরাই মোড় ও কাটোয়া-সালার রোডের সিপাই দীঘির মোড়ে অবরোধ সংগঠিত হয়।

সমস্ত জায়গা এআইকেএম, আয়ারলা, আরওয়াইএ, এআইসিসিটিইউ, এআইপিডব্লিউএ ও সিপিআই(এম)-এর কৃষক সংগঠন ও বিভিন্ন গণসংগঠনের ব্যানার, পতাকা ও চাইনিজ ব্যানারে সুসজ্জিত ছিল। সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের লোকজনও উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য রাখেন। তিনটি কৃষক বিরোধী আইন বাতিল ও বিদ্যুৎ বিল ২০২০ বাতিলের শ্লোগানের সাথে সাথেই “মোদী হঠাও, দেশ বাঁচাও, কর্পোরেট হঠাও, কৃষক বাঁচাও” শ্লোগান ওঠে। বিধানসভায় এই আইন বিরোধী প্রস্তাব পাশ করার দাবি ওঠানো হয়।

খণ্ড-27
সংখ্যা-35