স্মরণসভা : রাধাবল্লভ মুখার্জি
radd

বাঁকুড়া জেলার খেমুয়ার স্কুল মাঠে প্রয়াত রাধাবল্লভ মুখার্জির স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয় গত ২৭ সেপ্টেম্বর। সভায় উপস্থিত ছিলেন সিপিআই(এমএল) জেলা সম্পাদক বাবলু ব্যানার্জি সহ জেলা কমিটি সদস্য বৈদ্যনাথ চীনা, আদিত্য ধবল এবং আশেপাশের গ্রামের ৪০-৪৫ জন কৃষি মজুর সদস্য, যাদের নিয়ে প্রয়াত কমরেড রাজনীতি শুরু করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে  ছিলেন প্রথম দিকের সাথী গাজু বাউরি, গোপাল বাউরি, শ্যাম বাউরি। প্রয়াত কমরেডের স্মৃতির সরণী বেয়ে জেলা সম্পাদক বলেন, ১৯৮০র দশকের শুরুতেই পাটির নেতৃত্বে যখন মহাজনদের ঘর থেকে বন্ধকী মাল-জমির দলিল উদ্ধার আন্দোলন শুরু হয়েছিল তখন একেবারে সামনের সারিতে ছিলেন রাধাবল্লভ ওরফে হনু ঠাকুর। আজ যখন আবার দেশজুড়ে ঋণমুক্তির আন্দোলন শুরু হয়েছে তা হনু ঠাকুরদের সেই পুরোনো আন্দোলনকে মনে করিয়ে দিচ্ছে। ১৯৮৭ সালে পার্টি যখন প্রথম বিধানসভা নির্বাচনে অংশ নেয় তখন সারা ওন্দা কেন্দ্রে নাওয়া-খাওয়া ভুলে একটিমাত্র সাইকেল অবলম্বন করে ছুটে বেড়িয়েছেন। ১৯৮৮ সালের প্রথম দিকে পার্টির আজকের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জয়তু দেশমুখের নেতৃত্বে রতনপুর অঞ্চলের তখনকার এক ত্রাসসৃষ্টিকারী নেতার বাড়ি অভিযানের মিছিল হয়েছিল, সেই মিছিলের একেবারে সামনের সারিতে ছিলেন এই হনু ঠাকুর। যদিও ওই ত্রাসসৃষ্টিকারী ওই নেতা ঐ সময় গ্রামের বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। ১৯৮৮ সালেই তখনকার বামফ্রন্টের সমস্ত সন্ত্রাস-ভয়-ভ্রান্তি উপেক্ষা করে আইপিএফ-এর হয়ে পঞ্চায়েত ভোটে লড়াই করেছিলেন। আজকে যে পাড়ার বস্তির মানুষদের বাস্তু পাট্টার জন্য আন্দোলন হচ্ছে পার্টির নেতৃত্বে সেই বস্তি স্থাপনেও বড় ভুমিকা নিয়েছিলেন এই হনু ঠাকুর। এইরকম কমরেডকে স্মরণ করা মানে কৃষক-কৃষি মজুরদের মজুরি আদায় ও তাকে রক্ষা করার নতুন করে শপথ নেওয়ার।

খণ্ড-27
সংখ্যা-35