শ্রদ্ধাঞ্জলি কমরেড নীলাঞ্জন

 

com nilu

আচমকা বিনা মেঘে বজ্রপাত ঘটিয়ে অকালেই চলে গেলেন নীলাঞ্জন ভট্টাচার্য, নীলু হিসাবেই যিনি সর্বাধিক পরিচিত। লকডাউন ঘোষিত হওয়ার কিছুদিন আগে তিনি তাঁর উত্তর ২৪ পরগনার বাড়িতে এসেছিলেন, কিন্তু  নিজ কর্মক্ষেত্রে তার আর ফিরে যাওয়া হল না। উচ্চ ডায়বেটিস তার কিডনিকে ক্ষতিগ্রস্থ করে। পাশাপাশি শ্বাসকষ্ট জনিত রোগেও তিনি ভুগছিলেন। উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পার্টি কমিটির তরফ থেকে তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সংক্রান্ত সাহায্য করা হয়। মাত্র ৪৭ বছর বয়সে, হাবরা হাসপাতালে ১১ অক্টোবর, রাত ১০.৫৫ মিনিটে তার জীবনাবসান হলো। পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য নীলু রেখে গেলেন তার স্ত্রী ও ভাই বোনদের। ওড়িশা রাজ্য কমিটির সদস্য, সারা ভারত কৃষি ও গ্রামীণ শ্রমিক সমিতির জাতীয় কার্যকরী কমিটির সদস্য নীলাঞ্জন বিগত কয়েক দশক ধরে পার্টির সর্বক্ষণের কর্মী ও সংগঠক হিসাবে ওড়িশা রাজ্যে কাজ করে আসছেন। কালাহান্ডিতে জমি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকায় নীলু গ্রেপ্তার হন এবং মানসায় পার্টি কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেননি। প্রচন্ড পরিশ্রমী, একনিষ্ঠ, নীরবে কাজ করে যাওয়া এক কর্মী হিসাবে নীলাঞ্জনের পরিচিতি ছিল। ভূবনেশ্বর পার্টি অফিসের রক্ষাণাবেক্ষণে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। এরকম এক পার্টি কর্মীর অকাল প্রয়াণে গোটা পার্টির অপূরণীয় ক্ষতি হলো।

কমঃ নীলাঞ্জন ভট্টাচার্য অমর রহে।

– অতনু চক্রবর্তী    

খণ্ড-27
সংখ্যা-37