২৮ সেপ্টেম্বরশঙ্কর গুহনিয়োগীর শহিদ দিবস
gujha

“সমাজ ব্যবস্থা পরিবর্তনের জন্য ও অধিকার অর্জনের জন্য সংগ্রাম আর ছোট ছোট নির্মাণ। যা বিকল্প গড়ার ক্ষেত্রে নতুন দিক খুলে দেবে।” প্রায় তিন দশক আগে ছত্তীশগড়ে দাঁড়িয়ে এই কথাগুলো বলেছিলেন শ্রমিক নেতা শঙ্কর গুহনিয়োগী। ছত্তিসগড় খনি শ্রমিক সঙ্ঘের এই নেতার আন্দোলন থেকে এই কথাগুলোর ভিত্তিতে তৈরি হয়েছিল সংঘর্ষ ও নির্মাণের তত্ত্ব।

১৯৮৩ সালে ছত্তীসগড়ের দল্লি-রাজহরায় গড়ে উঠেছিল শহিদ হাসপাতাল। শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য একদিকে সংগ্রাম অন্যদিকে শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নৈতিক মানের উন্নতিতে ছোট ছোট নির্মাণ। শঙ্কর গুহ নিয়োগী ভেবেছিলেন শ্রমিক ও তাদের পরিবারের জন্য স্কুল, হাসপাতালের মতো ছোট ছোট নির্মাণ যা বৃহত্তর সংগ্রামকে পুষ্ট করবে।

১৯৭৭ সালে ছত্তীশগড় শ্রমিক সঙ্ঘের আন্দোলনরত শ্রমিকদের উপর তৎকালীন জনতা সরকারের পুলিশ গুলি চালিয়েছিল। পুলিশের গুলিতে ১১জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। তাঁদের নামেই গড়ে উঠেছিল এই শহিদ হাসপাতাল। শ্রমিকদের স্বেচ্ছাশ্রম ও অর্থেই এই হাসপাতালের পথ চলা শুরু হয়। এর পাশাপাশি শ্রমিক মহল্লায় স্কুল তৈরি করা এবং মদ্যপান বিরোধী আন্দোলনে শ্রমিক পরিবারের নারীদেরও সংগঠিত করে সংঘর্ষ ও নির্মাণের কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন গুহনিয়োগী।

নয়ের দশকে আততায়ীদের গুলিতে নিহত হন শঙ্কর। নিহত শ্রমিক নেতার সমর্থকদের অভিযোগ ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের একাংশের রোষে পড়েই খুন হয়েছিলেন শঙ্কর গুহনিয়োগী। তাঁর সংঘর্ষ ও নির্মাণের অভিজ্ঞতা দেশের বিপ্লবী শ্রমিক আন্দোলনের অভ্যন্তরে এক আলোকবর্তিকা হিসেবে বহমান।

খণ্ড-27
সংখ্যা-35