প্রতিবেদন
কোভিড-১৯ অতিমারী এবং অসংগঠিত শ্রমিক
vod

কোভিড মহামারী এবং তার পরবর্তী সময়ে লকডাউন হওয়ার ফলে শ্রমের বাজারের যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে। অনেক মানুষ কাজ হারিয়েছেন অর্থনৈতিক কাজ থেমে যাওয়ার জন্য। অসংগঠিত ক্ষেত্র সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, স্বাভাবিক অবস্থাতেই অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকরা কোনোভাবে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। লকডাউনে অর্থনৈতিক কাজকর্ম বন্ধ হওয়ার ফলে অবস্থা খুব খারাপ জায়গাতে পৌঁছেছে। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি হিসেব অনুযায়ী শুধু সংগঠিত ক্ষেত্রেই জুলাই মাসেই ৬ লক্ষের বেশি মানুষ কাজ হারিয়েছেন। অসংগঠিত ক্ষেত্রের জন্য পরিসংখ্যান পাওয়া কঠিন। তাও যা পরিসংখ্যান পাওয়া যাচ্ছে তাদের ১২ কোটির মতো শ্রমিক কোভিড পরবর্তী সময়ে নানাভাবে অর্থনৈতিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এই অসংগঠিত শ্রমিকদের মধ্যে স্বনিযুক্তি পেশার সাথে জড়িত। পূর্ণ লকডাউন এবং পরবর্তী সময়ে এই শ্রমিকরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

কোভিড পরবর্তী সময়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুরবস্থার কথা কারও অজানা নয়। পরিযায়ী শ্রমিকরা আমাদের মধ্যেই কাজ করতেন। কিন্তু মধ্যবিত্ত ভারতবাসী কোভিড পরবর্তী লকডাউনের সময় পরিযায়ী শ্রমিকে উপস্থিতি অনুভব করলেন। জাতীয় সড়ক ধরে তাদের হাঁটতে দেখা গেল। কিছু মানুষ রেল লাইন ধরে হাঁটতে গিয়ে প্রাণ হারালেন। ছড়িয়ে থাকা বাসি রুটি, মৃতদেহের ছবি সব ধরনের গণমাধ্যমে প্রকাশিত হল। সরকার মে-জুন মাসে কিছু ট্রেন চালালেন। তাতেও দুর্গতির শেষ ছিল না। খাবার বা পানীয় জল না পাওয়া, এক গন্তব্যের বদলে অন্য গন্তব্যে চলে যাওয়া, ট্রেনে জায়গা না পাওয়া এইরকম অনেক সমস্যার মধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের পড়তে হয়েছে। এরপরেও যারা গন্তব্যে পৌঁছেছেন তাদের কাউকে অ্যাসিড জল দিয়ে ধোয়ানো হয়েছে।

নিজের গ্রামে বা শহরে ফিরেও পরিযায়ী শ্রমিকরা কোনো জীবিকার ব্যবস্থা করতে পারেননি। এক্ষেত্রে ১০০ দিনের কাজ বা মনরেগা কিছু সাহায্য করেছে, সব জেলাতেই মনরেগা-তে যে কাজের ব্যবস্থা হয়, সেটা বাড়ানো হয়েছে। কিছু পরিযায়ী শ্রমিক তাতে কাজ পেয়েছেন। তবে এটা দীর্ঘস্থায়ী সমাধান নয়। পরিযায়ী শ্রমিকরা আবার কখন তাদের পুরানো কাজের জায়গাতে ফিরে যাবেন সেটা অনিশ্চিত। তারা যে কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, সেগুলো অনেক ক্ষেত্রে পুনরায় শুরু হয়নি। অনেক ক্ষেত্রে শুরু হলেও পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরে যেতে চান না কয়েক মাস আগে হওয়া তিক্ত অভিজ্ঞতার জন্য। এই অবস্থায় পরিযায়ী শ্রমিক এবং তাদের পরিবারের আর্থিক সংকটের মধ্যে আছে।

সরকারী সাহায্য কিছুটা পাওয়া গেলেও কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় তা নিতান্তই কম। বিনামূল্যে রেশন বা ঐ জাতীয় কিছু সুবিধা পাওয়া গেলেও বিকল্প জীবিকার ব্যাপারে কিছু সুবিধা হয়নি। জীবিকার সুরাহা ছাড়া দীর্ঘস্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়। কোভিডের ছায়া দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে আর এই অবস্থায় অর্থনৈতিক কাজকর্ম খুব তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক হবে সেই আশা করা ভুল হবে। স্থানীয় অর্থনীতিতে জীবিকার সন্ধান করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। স্থানীয়ভাবে কৃষিভিত্তিক শিল্প, গ্রামাঞ্চলের অর্থনৈতিক পরিকাঠামো তৈরি এইরকম কাজে কর্মস্থানের সন্ধান করা ছাড়া তেমন কোনো সুযোগ দেখা যাচ্ছে না। কৃষিকাজে এমনিতেই প্রয়োজনের তুলনায় বেশি শ্রমিক রয়েছেন। ফলে কৃষির পক্ষে সম্ভব নয় আগের থেকে বেশি শ্রমিকে কর্মস্থান করা। এই অবস্থায় কৃষিভিত্তিক শিল্প, গ্রামাঞ্চলের অর্থনৈতিক সম্পদ তৈরি করা, ছোট ছোট স্টার্ট-আপ, কৃষি বিপণনে ভূমিকা, শিক্ষা-স্বাস্থ্য এইসব ক্ষেত্রে আগের থেকে বেশি করে কর্মস্থানের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

অসংগঠিত শ্রমিকদের প্রায় কোনোরকম সামাজিক সুরক্ষা নেই। বেশিরভাগ শ্রম আইন তাদের জন্য লাগু হয় না। ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রে তারা ন্যূনতম মজুরিও পান না। বেশিরভাগেরই দিন আনি দিন খাই অবস্থা। এই অবস্থাতে প্রায় ছ-মাস অর্থনৈতিক কাজে মন্দা থাকলে আর লকডাউন হতে থাকলেও এই শ্রমিকদের বেঁচে থাকাই দুষ্কর হয়ে দাঁড়ায়। কোনোরকম সামাজিক সুরক্ষা না থাকাটা এই ক্ষেত্রে সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তার উপর সামাজিক সুরক্ষার উপর নতুন যে বিল আনতে চলেছে তাতেও সামাজিক সুরক্ষাকে সার্বজনীন করা হয়নি। বেশিরভাগ অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক সামাজিক সুরক্ষা বলয়ের বাইরে থাকবেন এই নতুন বিল আসার পরও। সেই সমস্ত সংস্থা ১০ বা তার বেশি শ্রমিক নিযুক্ত করেন। তাদের ক্ষেত্রেই সামাজিক সুরক্ষা আইনগুলি লাগু হয়। নতুন বিলের এই শ্রমিকের সংখ্যার সীমাবদ্ধতা আছে।

কিছুদিন আগে সংসদীয় অধিবেশন চলাকালীন কয়েকটি প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী জানান তাদের কাছে মৃত পরিযায়ী শ্রমিকদের সংখ্যা নিয়ে কোনো পরিসংখ্যান নেই। আর যেহেতু পরিসংখ্যান নেই, তাই মৃতের পরিবারদের আর্থিক অনুদান দেওয়ারও কোনো সুযোগ নেই। সরকারের এহেন মন্তব্য কিছু মানুষকে অবাক করেছে। কিন্তু বিষয়টির দিকে ভালো করে দেখলে বোঝা যায় সরকারের কাছে পরিযায়ী শ্রমিকদে সংখ্যা না থাকাটা খুব একটা আশ্চর্যের নয়! আমাদের দেশে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য একটি আইন আছে যা ১৯৭৯ সালে প্রণয়ন করা হয়। সেই আইনে ধরে নেওয়া হয়েছিল যে পরিযায়ী শ্রমিকরা শুধুমাত্র কনট্রাক্ট্ররদের দ্বারাই নিযুক্ত হয়। তাই ১৯৭৯ সালের এই আইনে নিজ রাজ্যে এবং যে রাজ্যে শ্রমিক কাজ করতে যাচ্ছে এই দুই জায়গাতেই নথিভুক্তিকরণ করতে হয়। যে সময় এই পরিযায়ী শ্রমিকদের আইন করা হয়, সেই পরিপ্রেক্ষিতে এই আইন ঠিকই ছিল। কারণ তখন পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা কম ছিল এবং যারা ছিলেন তাদের প্রায় সবাই কনট্রাক্ট্রদের মাধ্যমেই নিযুক্ত হতেন। ফলে ১৯৭৯ বা তার পরবর্তী কিছু সময় এই আইন ভালোভাবেই পালন করা হয়েছিল। কিন্তু ’৮০-র দশকের শেষ দিক থেকেই মাইগ্রেশনের চরিত্রের আমূল পরিবর্তন হতে শুরু করে। শ্রমিকরা নিজেরাই নিজেদের তাগিদে অন্য রাজ্যে কর্মসংস্থানের আশায় যেতে শুরু করেন। ১৯৯১ সালের উদারীকরণের পর এই ধরনের মাইগ্রেশন আরও বৃদ্ধি পায়।

জাতীয় আয়ে কৃষিক্ষেত্রের গুরুত্ব ধীরে ধীরে কমলেও অধিকাংশ শ্রমিক এখনও কৃষি ক্ষেত্রেই আটকে আছেন। ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে জাতীয় উৎপাদনে কৃষিক্ষেত্রের অবদান ছিল ১৪.৮ শতাংশ। কিন্তু জীবিকার বন্টন পর্যালোচনা করলে দেখা যায় এখনও ৪২ শতাংশ শ্রমিক কৃষিক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত। এর থেকে বোঝা যায় কৃষিক্ষেত্রে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি শ্রমিক রয়েছেন। স্বাভাবিক অবস্থাতে শিল্পক্ষেত্রে এই শ্রমিকদের কর্মসংস্থান হওয়া উচিত ছিল, কিন্তু সেটা হয়ে ওঠেনি। শিল্পক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের হার এত কম যে কৃষিক্ষেত্রে উদ্বৃত্ত শ্রমিকদের শিল্পক্ষেত্রে জীবিকার সুযোগ হয়নি। এই শ্রমিকদের অনেকেই কাজের খোঁজে বড়, মাঝারি বা ছোট শহরগুলোতে আসেন। শিল্পে না হলেও শহুরে পরিষেবা ক্ষেত্রে কোনো না কোনো অসংগঠিত কাজে যুক্ত হয়ে পড়েন। এই সমস্ত অসংগঠিত পরিযায়ী শ্রমিক হঠাৎ লকডাউন ঘোষণা হওয়ার জন্য জীবিকা হারান এবং সমূহ বিপদে পড়েন। সেই সংকট এখনো চলছে।

পরিযায়ী শ্রমিকদের বাইরে কাজ করতে যাওয়া অনেকটাই দুর্দশাজনিত কারণে। গুণগতভাবে এই ধরনের মাইগ্রেশন অন্য মাইগ্রেশন যেখানে একজন কর্মচারি ভালো জীবিকার খোঁজে বাইরে যাচ্ছেন তার থেকে আলাদা। অসংগঠিত পরিযায়ী শ্রমিকদের জীবিকা বাছাই বা স্থান নির্ধারণের তেমন কোনো সুযোগ নেই। যে কোনো ধরনের জীবিকাই তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য। এই অবস্থায় যে ধরনের মাইগ্রেশন হয় তা মধ্যস্বত্বভোগীরা নিয়ন্ত্রণ করেন না। শ্রমিক অনেকখানি নিজের কারণে নিজের মূল নিবাস ছেড়ে অন্য কোনো জায়গা বিশেষত বড় শহরে কাজের খোঁজে হাজির হন। অনেক ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই একসাথে কাজের খোঁজে বাড়ি ছাড়েন। এক্ষেত্রে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য নির্দিষ্ট আইন সেভাবে প্রণয়ন করা যায় না কারণ এক্ষেত্রে শ্রমিকরা কনট্রাক্ট্রদের মাধ্যমে বাইরে যান না, নিজেরাই যান নিন্তাতই জীবিকার তাগিদে।

এখানে এটা আশ্চর্যের নয় যে সরকারীভাবে পরিযায়ী শ্রমিকদের কোনো পরিসংখ্যান নেই। এখানে শ্রমিকের পরিচয় নিয়ে মাইগ্রেশন হয় না বা পরিযায়ী শ্রমিক আইন ১৯৭৯-এ পরিযায়ী শ্রমিকদের ভিন রাজ্যে যাওয়া যেভাবে ভাবা হয়েছিল সেভাবেও মাইগ্রেশন হয় না। গত তিন দশকে মাইগ্রেশনের চরিত্রটা অনেকটাই বদলে গেছে। কয়েকটি রাজ্য থেকে বিশেষত উত্তরপ্রদেশ, বিহার, উড়িষ্যা, ঝাড়খণ্ড, ছত্রিশগড়, পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ জীবিকার খোঁজে ট্রেন ভর্তি করে অন্য রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গ থেকে অনেক নির্মাণ শ্রমিক জীবিকার খোঁজে দিল্লী, আমেদাবাদ বা ব্যাঙ্গালোরে পাড়ি দিচ্ছেন। এ যাত্রা নাগরিক হিসেবে মূলত, ফলে এই পরিসংখ্যান রাখার কোনো সরকারী পদ্ধতি নেই। আর পাঁচটা যাত্রার মতো সাধারণ নাগরিক হিসাবে এই যাত্রা জীবিকার খোঁজে। ভারতের নাগরিক হিসাবে দেশের যে কোনো জায়গাতেই একজন নাগরিক জীবিকার কারণে যেতে পারেন। থাকতে পারেন। এখন মাইগ্রেশন সেইভাবেই দেখা হয়ে থাকে। আলাদা করে পরিসংখ্যান নেই।

নিজের জায়গাতে কাজ না পেয়ে, মানুষ বাইরে কাজের খোঁজ করেন। বন্ধু, আত্মীয়-স্বজন, পরিচিত এদের মাধ্যমে কিছু বার্তা বা খবর আসে। সেইমতো তারা কাজের খোঁজে বেরিয়ে পড়েন। কনট্রাক্ট্ররা নিয়ে যাচ্ছেন অন্য জায়গাতে কাজের সূত্রে এটা বহুলাংশে কমে আসছে। ভিন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের সরকারীভাবে সবসময় পরিযায়ী দেখানো হয় না। স্থানীয় শ্রমিক হিসাবেই দেখা হয়। পরিযায়ী শ্রমিকরাও অবস্থার সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নেয় বা নেওয়া ছাড়া কোনো উপায়ও নেই।

বিভিন্ন সূত্র এবং তথ্য থেকে বলা যায় আমাদের দেশে প্রায় ৫ কোটির মতো পরিযায়ী শ্রমিক আছেন। তাদের মধ্যে ৭৫ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক লকডাউনের সময়ে নিজের জায়গাতে ফিরে গেছেন। তারা আবার অবস্থা স্বাভাবিক হলে নিজেদের কাজের জায়গাতে ফিরে যাবেন বা যাওয়ার কথা ভাববে কিনা সেই প্রশ্নের উত্তর জানা নেই। অর্থনীতি নিজের নিয়মে আপন ছন্দ অনুসারে পুননির্মিত হবে। তবে পরিযায়ী শ্রমিক কোভিড পূর্ববর্তী সময়েও মোটেই ভালো ছিলেন না। পুরো অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকরাই শ্রমের বাজারে যথেষ্ট শোষিত হন বিভিন্ন দিক থেকে দেখলে। কোভিড পরবর্তী সময়ে জনগোচরে শ্রমিকদের দুর্দশা অনেক বেশি করে প্রথিত হয়েছে। তবে এই সংকটের কোনো আশু সমাধান চোখে পড়ছে না। সরকারের অনেকখানি দায়িত্ব থেকে যায়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য দীর্ঘমেয়াদী সরকারী হস্তক্ষেপ দেখা যায়নি।

কোভিড পরবর্তী সময়ে অনেক কিছুই পাল্টে গেছে। ভারতের শ্রমের বাজার স্বাভাবিক সময়েই বেশ ভঙ্গুর। মহামারী জনিত কারণে সেই অবস্থাটা আরও খারাপ হয়েছে। অনেক মানুষ কাজ হারিয়েছেন অসংগঠিত ক্ষেত্রে এবং সংগঠিত ক্ষেত্রেও। তবে অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকরা মোট শ্রমিক সংখ্যার ৯০ শতাংশের চেয়েও বেশি। তাই সংকটের মাত্রাটা অনুমেয়। অসংগঠিত ক্ষেত্রের মধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের অবস্থাটা তুলনামূলকভাবে খারাপ। কিছু ছোট ছোট ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। কোভিড পূর্ববর্তী সময়েই বেকারের হার যথেষ্ট বেশি ছিল, কোভিডের জন্য সেটা বহুগুণ বেড়েছে, জাতীয় আয়ের বৃদ্ধি কোভিড পূর্ববর্তী সময়ে বেশ ভালো ছিল (৬.৭ শতাংশ), কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে জাতীয় আয়ের বৃদ্ধি অনেকখানি কমে যাবে এবং কর্মসংস্থানের জায়গাও অনেক সংকুচিত হবে। এখন বেশ স্পষ্টভাবেই এই পরিস্থিতির আঁচ পাওয়া যাচ্ছে। এমতাবস্থায় অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের ন্যূনতম জীবনধারণের সুযোগ করে দেওয়া একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শ্রমিক শুধুমাত্র উৎপাদনের সামগ্রী নয়, তার থেকে অনেক কিছু বেশি।

- কিংশুক সরকার  

খণ্ড-27
সংখ্যা-36