দীপাঞ্জন
dip

এইতো কয়েকদিন আগে বইটা হাতে পেলাম। লেখক লোরেঞ্জো মিলানি, ‘আপনাকে বলছি স্যার’ পুস্তকের প্রধান উদগাতা। বইটির বিষয় আজকের দুনিয়াতে ন্যায় যুদ্ধ বলে কিছু হয় না। সেই বইতে মিলানি মূলত জোর করে মানুষকে সেনাবাহিনীতে যোগদানে বাধ্য করার বিরোধিতা করেছেন। যে মানুষ বিচারহীন আনুগত্য, যুদ্ধ করা এবং নরহত্যাকে বিবেক বিরোধী মনে করে তাকে জোর করে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে বাধ্য করা যাবে না। তাছাড়া কোনো যুদ্ধকে কি আজকের দিনে ন্যায় যুদ্ধ বলে মনে করা যায়? মিলানি বলছেন, যায় না। এই বক্তব্যের সঙ্গে অনেকেরই হয়তো অমত হবে,  কিন্তু খানিকটা ভেবে দেখলে এই কথাকে মেনে নিতেই হয়। সেই আলোচনা এখন থাক। আমাদের কথায় ফিরে আসা  যাক। এই বইটি অনেকদিন ধরে আমি আর দীপাঞ্জন খুঁজছিলাম। আমার মনে হল আর কটা দিন আগে যদি বইটা পাওয়া যেত তাহলে পড়ে শেষ করার সুযোগ পাক বা না পাক, বইটা  দেখলে কি অসম্ভব খুশি হত দীপাঞ্জন। আমার মনে হয় এ বইয়ের বিষয়বস্তু সম্পর্কে ও দ্বিমত হতো না। কিছুদিন আগে চে গেভার’র একটি জীবনীতে এই বক্তব্যের উপস্থাপনা ছিল অন্য চেহারায়। আমার সঙ্গে আলোচনায় এই মতের সঙ্গে দীপাঞ্জন অনেকটাই একমত ছিল।

কিন্তু কথাটা তা নয়। এখানে আমি যে কথাটা বলতে চাইছি সেটা হলো যে কোনো ধরনের পুস্তকের প্রতি দীপাঞ্জনের কৌতুহল এবং অদম্য আগ্রহের কথা। যদিও আমার সঙ্গে টেলিফোনে নিয়মিত কথা হতো, এমনকি মৃত্যুর আগের দিন সন্ধ্যাবেলাতেও ও আমাকে ফোন করেছিল। ওর জড়িয়ে যাওয়া কথাতেই আমাদের কিছু আলোচনা হয়েছিল। আর যেদিন শেষ বার দেখা হয়েছিল, সেই দেখা হওয়াটাও ছিল পুস্তককেন্দ্রিক।

আবার আমি একথা বলতে চাইছি না যে ওর  বর্তমান জীবনটা পুস্তককেন্দ্রিক ছিল। এই সময়টা ওর চিন্তা ভাবনা জুড়ে ছিল মানুষের মধ্যে শিক্ষা বিস্তারের উপায়, শিক্ষাব্যবসা ছেড়ে মানুষকে শিক্ষাব্রতী হিসেবে গড়ে তোলার উপায়। আর বারেবারে ভাবছিলেন, কেমন করে আমরা শ্রমিক-বুদ্ধিজীবী গড়ার দিকে পা বাড়াতে পারি। তারই পথ খুঁজে পাবার চেষ্টায় ও আবার বারে বারে পড়ছিল আন্তোনিও গ্রামশির লেখা। তেমন মানুষ আমরাই গড়ে তুলতে পারব এত বড় স্পর্ধা ও রাখত না আমি জানি। কিন্তু ভাবনার জায়গায় এমন সৃষ্টি নিয়ে দীপাঞ্জন সচেষ্ট ছিল। একটা ধাপ হিসেবে হয়তো ও শ্রমজীবী বিদ্যালয়ের গঠনকে বর্তমান লক্ষ্য হিসাবে গ্রহণ করতে চেয়েছিল। শ্রমজীবী বিদ্যালয়ে যে ছেলেমেয়েরা পড়তো আমরা চেয়েছিলাম আগামী দিনে তারাই যেন শ্রমজীবী বিদ্যালয়ে শিক্ষক হয়ে উঠতে পারে। অন্যরকম উদ্দেশ্য গড়ে ওঠায় সেই ইচ্ছা আমরা সফল করে তোলার দিকে এগোতে পারিনি। সচল থাকার শেষ দিন অবধি দীপাঞ্জন শ্রমজীবী বিদ্যালয়ে শিক্ষাদানে ব্রতী ছিল।

আমার কথাগুলো কেমন যেন এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে মনে হয়। আমি এখানে দীপাঞ্জনের তথাকথিত অবিচুয়ারি লিখতে বসিনি। আমি লিখছি অল্প কয়েকটা কথায় আমার চেনা দীপাঞ্জনের পরিচয় দিতে।

আমার চাইতে বছর দুয়েকের বড় ছিল দীপাঞ্জন। নানান সূত্রে ওকে আমি জানতাম। ওর কাজকর্ম নিয়ে আমি ওয়াকিবহাল ছিলাম সামনাসামনি পরিচয় না থাকলেও। দুজনের পথ কোথাও মিলেছিল, কোথাও ছিল একেবারেই স্বতন্ত্র। ওর সর্ম্পকে নানান গল্প শোনা যেত। কোনটা বাড়িয়ে বলা, কোনটা সম্যক মিথ্যা। তবে প্রথম দিকে যখন ও লোকজনকে দলে টানার চেষ্টা করছিল তখন শুনেছি ও বড় বেশি ডগমেটিক ছিল। এমন কথা ও নাকি বলেছে সেসময়, চারু মজুমদারের সব কথা যদি না মানো তাহলে তুমি প্রতিবিপ্লবী। যার কাছে শুনেছি তাকে আমি বিশ্বাস করতাম, কিন্তু যে দীপাঞ্জনকে আমি পরবর্তীকালে চিনেছি সেই লোক এইরকম কথা বলবে, এমন মনে হতো না। অবশ্য মানুষ তো পাল্টায়। আজকে খুব স্পষ্ট করে ওর সেই সময়কার জীবন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিতে পারবে এমন মানুষ খুব একটা বেশি নেই। ওর সেই সময়কার বন্ধুদের মধ্যে খুব একটা কেউ আমার পরিচিত নেই। আর সেই সময়কার জীবন নিয়ে আমার সঙ্গেও ওর বিশেষ কথাবার্তা হয়নি।

সত্তরের গোড়ায়, কোন একটা সময় দীপাঞ্জনের তথাকথিত – কবির ভাষায় – বনবাসের শুরু। ১৯৭১-এর শেষে দেওঘরে গ্রেফতার হয়ে ওকে যেতে হয় কারাগারে। ১৯৭২ সালে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পেয়ে ওকে দেশ ছাড়তে হয়। তখন সস্ত্রীক ও চলে যায় ইংল্যান্ড পিএইচডি করতে। ঠিকমতো জানা নেই, কিন্তু শুনেছি বিদেশে পড়াশোনা করতে যাওয়াটা জেল থেকে ছাড়া পাবার একটা শর্ত ছিল। আমি অবশ্য এই ইংল্যান্ড যাওয়াটাকেই বনবাস বলে মনে করি। পিএইচডি করাটা দীপাঞ্জনের পক্ষে বিরাট কিছু কঠিন কাজ ছিল না। ফলে কাজ সম্পূর্ণ হয় সময়ের আগেই। তখন ওরা দুজনে ভারতে ফিরে আসে। জনশ্রুতি, এই তাড়াতাড়ি ফিরে আসাটা পুলিশ খুব ভালো চোখে দেখেনি। কলকাতায় ফিরে শিক্ষক হিসেবে দীপাঞ্জন যোগ দেয় তৎকালীন বিড়লা কলেজে। অল্পদিনের মধ্যেই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দীপাঞ্জনের বিরোধ শুরু হয় এবং দীপাঞ্জনকে সাসপেন্ড করে তারা। ওকে শেষ অবধি চাকুরিচ্যুত করার পরিকল্পনা ছিল কর্তৃপক্ষের। সাসপেনশন তুলে নিতে হবে এই দাবিতে আন্দোলন শুরু হয় আর সেই সময় থেকেই দীপাঞ্জনের সঙ্গে আমার ঘনিষ্ট যোগাযোগের শুরু। তখন পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (ওয়েবকুটা)র  মধ্যে কাজ করত ‘ফোরাম ফর এডুকেশন’। দীপাঞ্জন স্বভাবতই তার সদস্য হয়। সেই আন্দোলনের প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে দীপাঞ্জনের ‘বিচার’ করার জন্য গঠিত কমিটি এবং তার পরিচালকদের বিরুদ্ধে ফোরাম ফর এডুকেশন আন্দোলন শুরু করে। সেই আন্দোলন এবং আরও অন্যান্য চাপের ফলে দীপাঞ্জন তার চাকরি ফিরে পায়। যতদূর মনে পড়ে ওয়েবকুটা যথারীতি প্রায় কিছুই করেনি। এই আন্দোলন যখন শুরু হচ্ছে তখন কলেজ স্ট্রীটের মোড়ে দাঁড়িয়ে  দীপাঞ্জন আমাকে বলেছিল – কেবলমাত্র আমার চাকরি ফিরিয়ে দেবার জন্য আন্দোলন করার কোন মানে হবে না যদি না বৃহত্তর কোনো উদ্দেশ্য তার মধ্যে থাকে।

আমার যতদূর মনে পড়ে, বিড়লা কলেজে পড়াবার সময় নানা কারণে দীপাঞ্জন একেবারেই খুশি ছিল না। তার কিছুদিন পরে দীপাঞ্জন প্রেসিডেন্সি কলেজে পদার্থবিদ্যা বিভাগের যোগ দেয়। সেই সময়কার ছাত্ররা আজও ‘ডিআরসি’র কথা সসম্মানে স্মরণ করে। অবসর গ্রহণের পরেও দীপাঞ্জন শিক্ষক হিসাবে গভীর শ্রদ্ধার পাত্র ছিল।

তখন থেকে দীপাঞ্জনের কর্মকান্ডের এক নতুন দিকের সূত্রপাত ঘটে। এবং আমার সঙ্গে গভীর ব্যক্তিগত বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। পারিবারিক স্তরেও সেই বন্ধুত্ব বিশেষ রকম ঘনিষ্ঠ ছিল। আমরা প্রায়শই পরস্পরের বাড়ি যেতাম।

সেই বন্ধুত্বর সঙ্গে সঙ্গে নানান রকম কাজ আমরা করতাম তার মধ্যে মূল কাজ যেটা ছিল সেটা হল শিক্ষা কেন্দ্র তৈরি। ওই সময়ই আমাদের হাতে এসেছিল ‘লেটার টু এ টিচার : বাই দি স্কুল অফ বারবিয়ানা’। বইটা পড়ে আমাদের সকলেরই দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে যায় এবং তখন থেকেই বলতে গেলে শিক্ষা কেন্দ্র তৈরি করা শুরু করি। বইটা আমি অনুবাদ করে ফেলি। দীপাঞ্জন আর আমি দুজনে মিলে নানান চেষ্টার পরে অনুবাদটি প্রকাশ করেন বাউল মন। প্রকাশ হবার সঙ্গে সঙ্গে বইটা বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে। সেই  সঙ্গে পাউলো ফ্রেইরি-র বইগুলো আমরা পড়ি। পুরো শিক্ষা সম্পর্কে আমাদের ধারণা পাল্টে যায়। যা খুব সামান্য জানতাম তা আমাদের কাছে নতুন চেহারা নিয়ে উপস্থিত হয়। বলাই বাহুল্য পাউলো-র কাজের জটিলতা আমাদের কাছে স্পষ্ট করে তোলে দীপাঞ্জন।

এর পাশাপাশি দীপাঞ্জন বিভিন্ন রাজনৈতিক শক্তির মধ্যে সমন্বয় সাধনের চেষ্টা করছিল। খুব একটা সাফল্য পেয়েছিল বলে আমার মনে হয় না। বিফল হবার কারণ দীপাঞ্জনের কাজের খামতি নয়, কারণ সমস্ত শক্তির মধ্যে বিভেদ এবং একপেশেমী।

আমার সঙ্গে দীপাঞ্জনের মূল কাজের জায়গা ছিল শিক্ষা। ২৪ বছর আমরা সুইনহো স্ট্রীটে শিক্ষা কেন্দ্র চালিয়েছিলাম। শেষের দিকে আমরা নানান কারণে মূল কাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাই। সেই সময়ে দীপাঞ্জন একাই শিক্ষা কেন্দ্রটি চালু রেখেছিল। কারণ সঙ্গে খুব একটা বেশি কেউ ছিলনা। এই সময় দিয়ে আমরা আরো কয়েকটি জায়গায় শিক্ষা কেন্দ্র বানাবার চেষ্টা করেছিলাম, সক্ষম হইনি। তারপর দীর্ঘ দিন অন্যান্য কাজে আমরা সবাই জড়িয়ে পড়েছিলাম। দীপাঞ্জনের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ অনেকটাই ছিন্ন হয়ে যায়। ব্যক্তিগত স্তরে অবশ্য আমাদের যোগাযোগ ছিল।

এর দীর্ঘদিন পরে দু’হাজার দশ সালের শেষে এবং এগারো সালের প্রথমে আমরা কয়েকজন মিলে বর্তমান পরিস্থিতিতে গ্রামাঞ্চলে কি ধরনের কাজ করা যেতে পারে, কিভাবে সরকারকে কিছু পথনির্দেশ আমরা করতে পারি, তাই নিয়ে আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা চালাই। মার্কসের মৌলিক ভাবনাগুলো, মাও সেতুং এর চিন্তা, ফ্রেইরি-র চিন্তা, ভেনেজুয়েলার তথা দক্ষিণ আমেরিকার অভিজ্ঞতা, মারতা হারনেকারের লেখা ইত্যাদি এবং বামফ্রন্ট আমলের কিছু ইতিবাচক দিক নিয়ে আমরা একটি লেখা তৈরি করার চেষ্টা চালাই। লেখাটি ২০১২ সালের ফ্রন্টিয়ার পত্রিকার শারদ সংখ্যায় ছাপা হয়েছিল। বলাই বাহুল্য লেখাটি কেউ পড়েনি। অথবা পড়লেও কেউ আমল দেয়নি। সত্যি কথা বলতে গেলে এখানে আমরা যেসব কথা বলেছিলাম তার সঙ্গে প্রচলিত রাজনৈতিক ধ্যান-ধারণা অনেকটাই অমিল ছিল।

২০১২ সালে নতুন একটি ঘটনা ঘটে। শ্রমজীবী হাসপাতাল থেকে আমাদের কাছে প্রস্তাব আসে একটি শ্রমজীবী বিদ্যালয় গড়ে তোলার। দীপাঞ্জন ও আমি সেই স্কুলে যোগ দিয়েছিলাম। দীর্ঘ পাঁচ বছর সেই স্কুল দীপাঞ্জনের নেতৃত্বে চলেছিল। অসম্ভব অসুস্থ শরীর নিয়ে দীপাঞ্জন আমাদের নিয়ে কাজে লেগেছিল। শেষ অবধি যে উদ্দেশ্য ছিল তা হল একটি এমন শিক্ষার কাঠামো তৈরি করব যেখান থেকে প্রকৃত অর্থে শ্রমজীবী শিক্ষা রূপায়িত হতে পারে। যে শিক্ষা জন্ম দেবে শ্রমিক-বুদ্ধিজীবীর।

নানান কারণে সেই প্রচেষ্টা ছয় বছর পরে বন্ধ হয়ে যায়। এই সময়ে দীপাঞ্জন ক্রমশ চলাফেরার ক্ষমতা হারাচ্ছিল, অনেকগুলো অসুস্থতা একসঙ্গে ওকে গ্রাস করেছিল। একসময় ওকে পুরোপুরি শয্যাশায়ী হয়ে যেতে হয়। কথা বলার ক্ষমতা প্রায় হারিয়ে গেছিল, ও নিজেকে হারিয়ে ফেলছিলো মস্তিষ্কের স্নায়বিক অসুস্থতায়।

কিন্তু তার মধ্যেও শয্যাশায়ী থেকেও ওর ভাবনা থেমে যায়নি। যখনই ওর সঙ্গে কথা হয়েছে তখনি দেখেছি মাথা একেবারে পরিষ্কার। ওর যে মেধার প্রকাশ তার কোনো খামতি চোখে পড়েনি। লিখতে পারতো না, কিন্তু তৎসত্ত্বেও ভাবনা চিন্তাগুলো ছোট ছোট সহজ সরল লেখায় প্রকাশ করতো। আপাত সরল সেই সব চিন্তার মধ্যে অনেক গভীর ভাবনা লুকিয়ে থাকত। সারা জীবন প্রবন্ধ ইংরেজি বাংলা গল্প কবিতা স্মৃতিচারণ সবমিলিয়ে অগুনতি লেখা যে লিখেছিল তাকে যখন দেখতাম কেউ তার কথা শুনে লিখে দিলে তবু কিছু রচনা সে তৈরি করতে পারে – বড্ড মন খারাপ হয়ে যেত। সেই কাজ করে দিত আমাদের একজন তরুণ বন্ধু। তাঁর উপন্যাসের তৃতীয় খন্ড ওই ভাবেই লেখা হয়েছিল।

তার সারা জীবনের সঙ্গী আরতির মৃত্যু ওকে এক গভীর একাকিত্বের মধ্যে নিয়ে যায়। যখন তার অনেক তথাকথিত সঙ্গীই ওকে আর কোনোরকম সাহায্য দিচ্ছিল না। আমার সঙ্গে নিবিড় বন্ধুত্ব থেকে টেলিফোনে যোগাযোগ ছিল। দেবাশিস সরকার নিয়মিত সাহচর্য দিত এই বিরাট ব্যক্তিত্বকে। মন সতেজ ছিল, কিন্তু শরীর আর চলছিল না। ও নাকি একজনকে বলেছিল, আমার যদি মস্তিষ্ক-মৃত্যু হত তাহলে বোধহয় নিষ্কৃতি পেতাম। আমি সাধ্যমত ওর সঙ্গে যোগাযোগ করতাম, ওর কাছে যেতাম। যতটুকু পারতাম।

সেই নিষ্কৃতি এল ২৪ অক্টোবর ভোররাত্রে।

শুনছি কয়েকজন বন্ধু এবং গুণগ্রাহী মিলে একটি সংগ্রহ প্রকাশ করতে চলেছেন। এই প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়ে বলছি, দীপাঞ্জন রায় চৌধুরীর মতো বিশাল ব্যক্তিত্বকে খানিকটাও ধরে রাখতে হলে অনেক বড় লেখায় অনেক মানুষের স্মৃতি একত্র করতে হয়। সে কাজ কেউ কি করবে আদৌ!

- সলিল বিশ্বাস   

খণ্ড-27
সংখ্যা-40