খবরা-খবর
কৃষ্ণনগরে মিছিল
kn

কেন্দ্রের সরকারের শ্রম আইন সংশোধন ও নয়া কৃষিআইন প্রণয়নের বিরোধীতা করে ও ২৬ নভেম্বর কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকা দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়ে মিছিল করলো সিপিআই (এমএল) লিবারেশন। কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রম আইনের সংশোধন ও কৃষি আইন প্রণয়নের বিরোধীতা করে কৃষ্ণনগরে মিছিল করলো সিপিআই (এমএল) লিবারেশন। কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রমআইন সংশোধন ও নয়া কৃষিআইন প্রনয়নের বিরোধিতা করে মিছিল শহরের বাসষ্ট্যান্ড থেকে শুরু করে সদর হাসপাতাল মোড় পর্যন্ত যায়। শতাধিক কর্মীর অংশগ্রহণে মিছিলের থেকে আওয়াজ ওঠে মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধেও । অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন সংশোধন করে খাদ্যদ্রব্যর মজুতদারীকে কেন্দ্রীয় সরকার বৈধ করে দিয়েছে। রাজ্য সরকার দাম বেঁধে দেওয়ার কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। এর ফলেই বাজারে আলু পেঁয়াজ সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যর দাম আকাশছোঁয়া হয়ে উঠেছে বলে সিপিআই (এমএল) নেতৃত্বের দাবি। মিছিলের শেষে সদর মোড়ে এক প্রচার সভা বক্তব্য রাখেন সিপিআই (এমএল) লিবারেশনের নদীয়া জেলা সম্পাদক সুবিমল সেনগুপ্ত,দলের রাজ্য নেতা ও কৃষক সংগঠন কিষাণ মহাসভার জয়তু দেশমুখ, শ্রমিক সংগঠন এআইসিসিটিইউ নেতা জীবন কবিরাজ, অমল তরফদার প্রমুখ। মিছিল ও সভা থেকেই ‘আগামী ২৬ নভেম্বর কেন্দ্রীয় ট্রেডইউনিয়নগুলির ডাকা দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘট সফল করে তোলার আহ্বান জানানো হয়।

ধর্মঘটের দাবিগুলি হল—

  • আয়করের আওতা বহির্ভূত নেই প্রতিটি পরিবারকে জন্য প্রতি মাসে নগদ ৭৫০০ টাকা দিতে হবে।
  • প্রতিটি অভাবগ্রস্ত পরিবারের জন্য মাসে ১০ কেজি বিনামূল্যে রেশন দিতে হবে।
  • এমজিএনআরইজিএ প্রকল্পের পরিসর বৃদ্ধি করে গ্রামীণ এলাকায় বছরে ২০০ দিনের কাজ দিতে হবে, শহর এলাকায় কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা দিতে হবে।
  • সমস্ত কৃষক-বিরোধী আইন এবং শ্রমিকবিরোধী সকল শ্রম কোড সমুহ বাতিল করতে হবে।
  • রাষ্ট্রায়ত্ব শিল্প/ক্ষেত্রসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি বেসরকারিকরণ করা বন্ধ করতে হবে এবং সরকারি উৎপাদন কেন্দ্রগুলি যেমন রেলওয়ে, অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি এবং বন্দর ইত্যাদি কর্পোরেটদের হাতে তুলে দেওয়া চলবে না।
খণ্ড-27
সংখ্যা-41