প্রতিবেদন
সংরক্ষণ : কিছু মিথ্যা, কিছু সত্যি
ssa

প্রথমেই যেটা বলা দরকার সেটা হল - এই সংরক্ষণ (reservation)  শব্দটি ভুল; এটা হওয়া উচিৎ ‘প্রতিনিধিত্ব’ (representation)। SC/ST/OBC (এবং মাইনোরিটি) নাগরিকেরা স্বাধীন ভারতে নানা রকম বঞ্চনা-অবিচার-নিপীড়নের শিকার, অথচ তারাই এদেশে জনসংখ্যার মেজরিটি। কিন্তু দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে-দপ্তরে তাদের প্রতিনিধিত্ব অত্যন্ত কম। উচ্চবর্ণের হিন্দুরাই সর্বত্র হর্তাকর্তা হয়ে গেঁড়ে বসে থাকে, যদিও তারা জনসংখ্যার ৩%। দক্ষিণ আফ্রিকার স্থানীয় মেজরিটির ওপর মুস্টিমেয় ইউরোপিয়দের শাসন যদি অন্যায্য হয়, কোটি কোটি ভারতবাসীর ওপর গোটাকতক ইংরেজের কর্তৃত্ব যদি অন্যায্য হয়, তাহলে স্বাধীন ভারতে এই উচ্চবর্ণের আধিপত্য অন্যায্য। এটা হচ্ছে বর্ণহিন্দুদের একচেটিয়া অধিকার সংরক্ষণ – হ্যা, তারাই বাস্তবে নিজেদের রিজার্ভেশন সিস্টেম কায়েম করেছে।

এটা কোনো মনগড়া কথা নয়। স্বয়ং রাষ্ট্রপতি খেদ জানিয়ে বলেছিলেন “The low representation of traditionanally weaker section in the higher judiciary is unacceptable”। তিনি বিচার বিভাগে বর্ণহিন্দুদের আধিপত্য দেখেই এই মন্তব্য করেছেন। ২০১৮-তে India for Diversity Institute-এর প্রধান ডঃ সুরাজ ইয়েংদে (হার্ভার্ড) দেখিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের ২৮ জন জাজের মধ্যে ৯ জন (৩৩%) জাজেদের আত্মীয়স্বজন অথবা কোনো ডাকসাইটে আইনজ্ঞের কাছের লোক। এলাহাবাদ হাইকোর্টের ৩৩ জন বিচারকের ১১ জনই (সেই ৩৩%!) বিচারবর্গের কাছের লোক – এই খবরটা জানাজানি হওয়ার পর বেশ শোরগোল উঠেছিল, বছর দুয়েক আগে।

তাহলে আমরা দেখছি আমাদের হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টেও একধরনের ‘উচ্চবর্ণ-সংরক্ষণ ব্যবস্থা’ চলছে, অথচ তা নিয়ে সংরক্ষণ-বিরোধীরা টুঁশব্দও করে না।

উচ্চবর্ণের একটা বিরাট অংশের বদ্ধমূল ধারণা – SC/ST/OBC ‘সংরক্ষণ’ সরকারী নানা প্রতিষ্ঠানে-দপ্তরে অদক্ষতা (inefficiency) নিয়ে এসেছে, কারণ ওইখানে রিসার্ভড ক্যাটেগরির কর্মচারিরা সকলেই নাকি অদক্ষ, অযোগ্য। আমরা তাহলে দেশের প্রাইভেট কর্পোরেট সেক্টরের দিকে একবার নজর ফেলি; সেখানেতো রিজার্ভেশনের বালাই নেই। শুধু তাই নয়, কর্পোরেট ম্যানেজার স্তরে SC/ST প্রায় নেই বললেই চলে, তাদের সংখ্যা সাত পারসেন্টের কম (টাইমস্ অফ ইন্ডিয়া, ২২ ডিসেম্বর ২০১৮ রিপোর্ট), তেমন ‘বিশুদ্ধ’ কর্পোরেট সেক্টরের দক্ষতা কেমন? তাদের পারফর্মেন্স কেমন? দেখা যাক।

দুনিয়ার যত দেশ আছে তাদের কর্পোরেট সেক্টরের ‘profitability’ নিয়ে যদি একটা তালিকা করা হয় তাহলে ভারতীয় কোম্পানিগুলো তালিকার অনেক নিচের দিকে ঠাঁই পাবে। দেশের সেরা ৫০০টি কোম্পানির মোট লাভ ৬৩ বিলিয়ন ডলার মতো, অর্থাৎ জিডিপি’র ২.৩১%, যেখানে মার্কিন মুলুকের ক্ষেত্রে সেটা জিডিপি’র ৬.১%। পৃথিবীর সপ্তম বৃহত্তম দেশ ভারত, অথচ বিশ্ববাজারে তার তৈরি পণ্যের যোগান মাত্র ১.৬৭%। বিশ্বের সেরা ৩০০ কোম্পানির মধ্যে মাত্র ৪টি ভারতীয় কোম্পানি, যার তিনটে রাষ্ট্রায়ত্ব – ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন, ওএনজিসি এবং এসবিআই। এটা ২০২০’র ফরচুন ৫০০ তালিকা থেকেই জানা যাচ্ছে।

আরও একটা খবর দেওয়া যাক।

দিল্লী স্কুল অফ ইকোনমিক্সের অধ্যাপক আশ্বিন দেশপান্ডে এবং মিশিগান ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির অধ্যাপক Thomas Weisskoff-এর একটা বড়সড় সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছিল নামজাদা World Development Journal-এ। ১৯৮০ থেকে ২০০২ পর্যন্ত ভারতীয় রেলের গ্রুপ-ডি কর্মীদের ওপর সমীক্ষা করে এনারা দেখিয়েছিলেন দক্ষতা এবং উৎপাদনশীলতায় কোনো অবনতি বা ঘাটতি কোথাও দেখা যায়নি, বরং অনেক জায়গাতেই উন্নতি লক্ষ্য করা গেছে।

আরও কিছু তথ্য আর খবর লেখার আগে একটা শব্দকে একটু বদলে নিতে চাইব। এই শব্দটা (বা শব্দগুচ্ছ) বহুবার নানা মঞ্চে নানা রচনায় ব্যবহৃত হয়; হিন্দিতে এটা হল ‘পিছড়ে বর্গ’, বাংলায় ‘পিছিয়ে পড়া শ্রেণী’, অর্থাৎ SC/ST/OBC। সংবিধানে যে এদের জন্য সংরক্ষণের (প্রতিনিধিত্বের) ব্যবস্থা চালু করার নির্দেশ রয়েছে তার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল এদের সামাজিক প্রতিষ্ঠা দেওয়া। বহুকাল ধরে যাদেরকে অচ্ছুৎ বলে, ছোটলোক বলে হেয় করা হয়েছে, যাদের ওপর অকথ্য নির্যাতন চালান হয়েছে, যাদেরকে জোর করে ঠেলে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাদেরকে স্বাধীন ভারতের সমাজে সম্মান ও প্রতিষ্ঠা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেছিলেন সংবিধান প্রণেতারা।

কিন্তু আজ স্বাধীনতার এত বছর পরেও কি তাদের সামাজিক অবস্থানের উন্নতি হয়েছে? তাদের প্রতি ঘৃণ্য বৈষম্যমূলক আচরণ করা থেকে কি বিরত হয়েছে বর্ণহিন্দুরা? বাস্তবের ছবিটা কেমন? দেখা যাক।

২০১৭-১৮ জাতীয় নমুনা সমীক্ষা (NSS) জানাছে বর্ণহিন্দু এবং ‘পিছিয়ে পড়া বর্গ’-এর মধ্যে ‘access to employment’-এর বিস্তর ফারাক আছে, অর্থাৎ SC/ST/OBC নাগরিকেরা বঞ্চিত হচ্ছেন। কারণ NSS বলছে ‘due to discrimination in hiring’। নিয়গের ধাপ থেকেই হঠিয়ে দেওয়ার চক্রান্তের শিকার হচ্ছে অসংখ্য যোগ্য, দক্ষ ভারতীয়। NSS বলছে ৭১% কেসেই এই ধরনের ‘discrimination’ দেখা গেছে।

EPW পত্রিকার পক্ষ থেকে ওঙ্কার যোগী এবং অমিত থরাত একটা সার্ভে করেন সম্প্রতি। জানা যাচ্ছে অস্পৃশ্যতার ভাইরাস ভারতে এখন গ্যাঁট হয়ে বসে আছে। উত্তর ভারতে ৪৯% বর্ণ হিন্দু অস্পৃশ্যতা মানে, মধ্য ভারতে ৪০% এবং দক্ষিণ ভারতে ২০%।

গুজরাত অবশ্য এই ব্যাপারে অনেক এগিয়ে! জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের একটি বেঞ্চ ২০১৮’র ৩০ এপ্রিল জানাচ্ছেন গুজরাতে ৭৫% গ্রামাঞ্চলে এখনও ‘caste-based atrocity’ এবং ‘Untouchability’ দৌরাত্ম্য চলছে।

গুজরাত-মডেলের আরও একটা ছবি দেখাই। আমেদাবাদ-এর ‘Council for Social Justice’ একটা বিশদ সমীক্ষা করে দেখাচ্ছে “95% of cases under the SC/ST (PoA) Act have resulted in acquittal due to technical lapses on account of negligent police investigation and hostile public prosecutors.” সেখানে দলিত ও জনজাতি নাগরিকদের ওপর উৎপীড়নে প্রশাসন-বিচারবিভাগ-সরকার সকলেই সামিল।

২০১৯ অক্টোবরে SC/ST (PoA) Act সংক্রান্ত ঐতিহাসিক রায় দেওয়ার আগে সুপ্রিম কোর্ট  বলেছে “... they are still forced to bonded labour…. and women are not treated with dignity and are sexually abused in various forms.”

সংরক্ষণ-বিরোধীদের শ্রেণী-চরিত্র আমাদের জানা। তারা ক্ষমতালোভী সুবিধাভোগী উচ্চবিত্ত ও উচ্চ মধ্যবিত্ত। পিছিয়ে দেওয়া; হটিয়ে দেওয়া ভারতীয়রা ঘাম-ঝরানো শ্রমিক শ্রেণীতে পড়েন। তাদেরকে বঞ্চনা করে, তাদেরকে নিঙরে নিয়েই উচ্চবর্গ ফুলে ফেঁপে উঠে। এই জ্বলজ্বলে সত্যিটাকে ঢেকে চেপে রাখার ধান্দাতেই তারা হরেক্ রকম মিথ্যাকে বারবার শুনিয়ে সকলের মগজে গেঁথে দিতে চায়।

এই যে বঞ্চনার কথা তুললাম তার ভয়াবহ রূপটা খুলে দেখাতে হলে একটা মোটা বই লিখতে হবে। এখানে আমি শুধু দুটো চমকে দেওয়া খবর শোনাবো। বর্তমানে যে হীন মনুবাদী দলটা দেশটাকে বিপর্যস্ত করে দিচ্ছে তাদের আরও দুটো কুকর্মের কথা জানা যাবে এই খবর থেকে।

SC/ST নাগরিকদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার উদ্দেশে দুটো প্রকল্প চালু করা হয়েছিল চার দশকেরও আগে। একটার নাম TSP (Tribal SubPlan) শুরু হয় ১৯৭৪এ। অন্যটা হল SCP (Social Component Plan) চালু হয় ১৯৭৯এ। এই দুটি প্রকল্প অনুসারে SC এবং ST জনসংখ্যার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিবছর কেন্দ্রীয় সরকার অর্থ বরাদ্দ করে। এটা বাধ্যতামূলক। কিন্তু এই ধনীর-দালাল গরিবের-শত্রু মোদী সরকার গত পাঁচটি আর্থিক বছরে এই খাতে ৫ লক্ষ্য কোটি টাকা মঞ্জুর করেনি। শুধু ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষেই SC/ST ভারতীয়দের ন্যায্য প্রাপ্য ১,৬৯,৩৯৩ কোটি টাকা দেওয়া হয়নি। (অবাক লাগে যখন দেখি এই এতবড় কেলেংকারী নিয়ে কোনো মহল থেকে, কোনো মঞ্চ থেকে ধিক্কার শোনা যায় না।)

যে সমস্ত পরিবারের বার্ষিক আয় ২.৫ লাখ টাকার কম, তাদের ঘরের পড়ুয়াদের জন্য স্কলারশিপের বন্দবস্ত করে দিয়েছিল পুর্বতন সরকার। এই স্কলারশিপের খাতেও টাকা দিচ্ছেনা ক্ষমতাসীন মনুবাদী সরকার। ২০১৪ থেকে ২০১৭ এই তিন বছরেই ১১,১৫৬ কোটি টাকা দেওয়া হয়নি, এখনও দেওয়া হচ্ছেনা। এর কুফলে ৭১,৩৬,৯৩৪  জন ছাত্রছাত্রীর লেখাপড়া বন্ধ হতে বসেছে, অনেকেই আত্মাহত্যা করছে, যদিও খবরওয়ালারা সেগুলো চেপে যায়। একজন ফিল্মি তারকার আত্মহত্যার পরে মিডিয়া তারস্বরে কল্পিত অপরাধিদের জাত তুলে গালাগালি দিতে থাকে, কিন্তু লক্ষ্য লক্ষ্য বালক-বালিকাকে যারা অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে তাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলছেনা। অবশ্য সেটা আশা করাও মূর্খতা; মিডিয়াও তো মানুবাদী আর বরপুঞ্জির চাকরদের কব্জায়।

ভারতের প্রাইভেট সেক্টরের বড় বড় কোম্পানিগুলোর অদক্ষতার প্রমাণ করতে আমি উপরে কিছু তথ্য তুলে দিয়েছিলাম; একটু ভুল হয়ে গেছে। এরা কয়েকটা কাজে খুব দক্ষ। করফাঁকি দেওয়া, বাঙ্ক লুট করা, আর নানানরকম জালিয়াতি জোচ্চুরিতে আমাদের বিগ বিজনেস খুব দক্ষ। আমি এখানে শুধু তিন চারটে খবরের উল্লেখ করব।

প্রতি বছর ভারতের বড় বড় কোম্পানিগুলো আমদানি রপ্তানির নথিপত্রে কারচুপি করে হাজার হাজার কোটি টাকা চুরি করে ছলেছে। এই সত্যিটা ফাঁস করে দিয়েছে ‘Global Financial Integrity’র একটা সমীক্ষা। শুধু ২০১৬-তেই এইভাবে ১,৩০০ কোটি ডলার করমাসুল ফাঁকি দিয়েছে এইসব পুঁজিপতিরা। এটা মোট রেভেন্যুর ৫.৫%রও বেশি।

Trans-Union Cibil রিপোর্ট (২০১৯ ডিসেম্বর) দেখাচ্ছে ১১,০০০ কোম্পানি ‘উইলফুল ডিফল্টার’, যারা ইচ্ছাকৃতভাবে নানা বাঙ্কের টাকা মেরে দিয়েছে; লুটের পরিমাণ? এক লক্ষ একষট্টি হাজার কোটি টাকা। সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না, উল্টে বারবার ঋণ মুকুব করে দেওয়া হচ্ছে সরকারী নির্দেশে।

দেশি-বিদেশি আইনের ফাঁকফোকর খুজে নিয়ে ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার কাজটাতে আমদের বড় কোম্পানিগুলো খুব দক্ষ। এই কুকর্মের পোশাকি নাম Corporate Tax Avoidance। UN-এর World Institute of Development Economics Research (WIDER)-এর গণনা অনুযায়ী ভারতে এই করফাঁকির পরিমাণ জিডিপি’র ২.৩৪% প্রতি বছর।

২০১৭-এর এপ্রিলে তখনকার বিত্তমন্ত্রী আরুণ জেটলি রাজ্যসভায় জানিয়েছিলেন ১৩৩টা কোম্পানির কাছে ভারত সরকারের বকেয়া প্রাপ্য ৩,৩৯,৭০৪ কোটি টাকা, যার ২,৪৫,৪৮০ কোটি টাকা ’unrealizable’, অর্থাৎ ও টাকা আর পাওয়াই যাবে না! এই ১৩৩টা কোম্পানির প্রত্যেকে ৫০০ কোটি টাকার উপর ট্যাক্স দেয়নি। চলে আসি ২০১৯-এর অক্টোবরে। লোকসভায় কর্পোরেট-বিষয়ক মন্ত্রকের বিবৃতিতে স্বীকার করা হল এক বিস্ফোরক তত্ত্ব। ২০১৪-১৫ থেকে ২০১৯-২০-তে মোট বকেয়া কর্পোরেট ট্যাক্স ২০,৭৮,২৬৭ কোটি টাকা। না ছাপার ভুল নেই এখানে। ওই অত টাকার মাত্র ১৫% নাকি আদায় করা গেছে; বাকিটা? হ্যাঁ, ওটা ‘unrealizable’ বলেই ধরে নেওয়া যায়।

এর থেকে বড় ‘স্ক্যাম’ কি হতে পারে? জানি না। এ বিষয় কেন যে বিরোধীরা নীরব, সেটাও বোঝা যাচ্ছে না। এসব জেনেও কিন্তু সরকার বিগ বিজনেসকে বিপুল পরিমাণ কর ছাড় দিয়েছে, দিচ্ছে।

আসলে এক অন্য সংরক্ষণ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে ভারতে। দেশি-বিদেশি বৃহৎ পুঁজির জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে যাবতীয় রকমের সুযোগ-সুবিধা, আইনকানুন বানিয়ে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রগুলি, দেশের জঙ্গল-জমি-খনি তাদের জন্যই সংরক্ষিত রাখা হচ্ছে যাতে তারা অবাধে লুটতরাজ চালাতে পারে। যথেষ্ট দূষণ ছড়ানোর অধিকারও তাদেরকে দেওয়া হচ্ছে আইন চালু করে। আজ সময় এসেছে এই সংরক্ষণ চক্রান্তের তুমুল বিরধিতা করার – সর্বত্র, সর্বস্তরে।

- শেখর ভট্টাচার্য    

খণ্ড-27
সংখ্যা-46