সিদ্ধান্ত
সুপ্রীম কোর্টের স্থগিতাদেশ সম্পর্কে এআইকেএসসিসি
aiii

সারা ভারত কৃষক সংগ্রাম সমন্বয় সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী গ্রুপ ১২ জানুয়ারী প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছে –

আমরা এখনো সুপ্রীম কোর্টের সম্পূর্ণ রায়টি হাতে পাইনি, তাই বিভিন্ন কোর্টের বিভিন্ন কার্যক্রমের রিপোর্টিং এর উপর ভিত্তি করে আমাদের মতামত নিম্নলিখিত।  আমরা দেখলাম যে, মহামান্য আদালত দিল্লির বর্ডার থেকে সংগ্রামী কৃষকদের জমায়েত তুলে নেওয়ার বিষয়ে কোনো রায় দিতে রাজি হয়নি। আমরা এই বিষয়টিকে স্বাগত জানাই।একটি অন্তর্বর্তী পদক্ষেপ হিসেবে এই আইনগুলোর উপর স্থগিতাদেশ জারি করাকে আমরা স্বাগত জানালেও এটা কোনো স্থায়ী সমাধান নয়, এবং কৃষকদের ও বিভিন্ন কৃষক সংগঠনগুলির দাবি সরকারকে এই আইনগুলি প্রত্যাহার করতে হবে। সরকারকে বুঝতে হবে ভারতের জনগণ এবং কৃষকরা এই আইনগুলির বিরোধিতা করছেন।

কৃষক সংগঠনগুলি খুব জোরের সাথেই বলছে যে, তারা আদালত দ্বারা গঠিত কোনো কমিটির সাথে আলোচনা করতে চায় না, কারণ এই কমিটির গঠন এবং সদস্যদের সম্পর্কে তাদের সন্দেহ আছে। এটা খুবই পরিষ্কার যে, আন্দোলনবিরোধী বিভিন্ন শক্তিগুলি, কমিটি গঠনের বিষয়ে আদালতকে ভুলভাবে প্রভাবিত করছে। কমিটিতে এমন লোক থাকছেন যারা এই তিনটি আইনের সপক্ষে সক্রিয়ভাবে সওয়াল করেছেন।

কৃষকরা সরকারকে বারবার বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করে বলেছেন  কিভাবে এই তিনটি আইন কৃষিজাত পণ্যের প্রক্রিয়াকরণ ও বাজারকে সরাসরি কর্পোরেটদের হাতে তুলে দেবে। এটি উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে দেবে, কৃষকরা ঋণের জালে জর্জরিত হবে, ফসলের দাম কমিয়ে দেবে, কৃষকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, সরকারের দ্বারা কৃষকদের কাছ থেকে ফসল সংগ্রহ কমিয়ে দেবে, গণবন্টণ ব্যবস্থাকে শেষ করে দেবে, খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি ঘটাবে, কৃষকদের অনাহারে মৃত্যু ও আত্মহত্যার ঘটনা বাড়িয়ে তুলবে, কৃষকরা জমি থেকে উৎখাত হবেন। সরকার জনগণের কাছ থেকে এবং সর্বোপরি কোর্টের কাছ থেকে এই সত্যগুলো চেপে রাখতে চাইছে।

প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন পূর্বনির্ধারিত কিষাণ প্যারেড দিল্লিতে এবং সারা দেশে বড় মাত্রায় সংগঠিত হবে। সরকার এই বিষয়েও কোর্টকে বিপথে চালিত করতে চাইছে।

মূল দাবিগুলো নিয়ে কৃষকদের সংগ্রাম চলবে এবং পূর্ব নির্ধারিত সূচী অনুযায়ী ১৩, ১৮ ও ২৩ জানুয়ারী কর্মসূচী সংগঠিত হবে।

 

======================================================================================
দেশের শীর্ষ আদালত তিন কৃষি আইন পর্যালোচনা করে বিচার করার জন্য চারজনের যে নিরেপক্ষ কমিটি গঠন করেছিল তার মধ্যে ভূপেন্দ্র সিং মান ফুঁসে ওঠা কৃষক আন্দোলনের বিক্ষোভের মুখে পড়ে সেই কমিটি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। ফলে কৃষক আন্দোলন ভেঙে দেওয়ার সরকারি চক্রান্তের আইনি পথ অনেকটা ধাক্কা খেয়ে গেল। যদিও এই কমিটির চারজন সদস্যকেই ইতিপূর্বে মোদি সরকারের কৃষি আইনের গুণকীর্তন করতে শোনা গেছে।

==================================================================================

খণ্ড-28
সংখ্যা-2