খবরা-খবর
সংগঠকের ডায়রি : মুর্শিদাবাদ
ggdee


ভরতপুর ব্লকে ঋণমুক্তি কমিটির বিক্ষোভ ডেপুটেশন

গত ১৬ জানুয়ারী মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুর ব্লকের সীজগ্রামে ঋণগ্রস্ত মহিলাদের নিয়ে বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সারা ভারত কৃষি ও গ্রামীণ মজুর সমিতির রাজ্য সভাপতি কমরেড সজল পাল। ৩০ জন ঋণগ্রস্ত মহিলা এই বৈঠকে অংশ গ্রহণ করেন। বৈঠকে এলাকার মাইক্রোফিনান্স সংস্থার এজেন্টদের জুলুম নির্যাতনের বিভিন্ন ঘটনা উঠে আসে। দীর্ঘ লকডাউনের জন্য কাজ বন্ধ হওয়ার কারনে গ্রামের গরিব মেহনতিদের পরিবারের মহিলাদের চরম অর্থনৈতিক সংকট। তার উপর ঋণের বোঝার কারণে জীবন অতিষ্ঠ। বৈঠকে ঠিক হল ১৯ জানুয়ারী ভরতপুর বিডিও অফিসে ডেপুটেশন সংগঠিত করা হবে। সেই মতো ১৭-১৮ জানুয়ারী ২ দিন ধরে ব্লক জুড়ে মাইক নিয়ে গ্রামে গ্রামে প্রচার করা হল এবং ১৯ জানুয়ারী বেলা ১২টার সময় শ’খানেক ঋণগ্রস্ত মহিলাদের উপস্থিতিতে ঋণ মুক্তি কমিটির উদ্যোগে বিক্ষোভ ডেপুটেশন সংগঠিত করা হল। দাবি ছিল –
১) মাইক্রোফিনান্স সংস্থার এজেন্টদের জুলুম নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। মাইক্রোফিনান্স সংস্থার উপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ কায়েম করার জন্য উপযুক্ত আইন প্রণয়ন করতে হবে।
২) ঋণের কিস্তি আদায় দুই বছর স্থগিত রাখতে হবে।
৩) গরিবদের ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সমস্ত ধরনের ঋণ মুকুব করতে হবে।

ডেপুটেশনে প্রতিনিধিত্ব করেন কমরেড গুলশান বেগম ও ফজলে আলম।

বহরমপুরে ট্রেড ইউনিয়নের যৌথ কর্মসূচী

মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর শহরের কুঞ্জ ঘাটা বাজারে ১৩ জানুয়ারী বিকাল ৫টায় এআইসিসিটিইউ ও সিটুর উদ্যোগে দিল্লির কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে ও শ্রমিক-বিরোধী কর্পোরেট-স্বার্থবাহী শ্রম আইন বাতিলের দাবিতে পথসভা সংগঠিত করা হয়। সভায় এআইসিসিটিইউ’র পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন কমরেড আবুল কাসেম সেখ। সভা পরিচালনা করেন কমরেড মনভোলা চৌধুরী। ১৭ জানুয়ারী বহরমপুর শহরের টেক্সটাইল মোড়ে আবার যৌথ উদ্যোগে একই ইস্যুতে আইন অমান্য কর্মসূচী সংগঠিত হয়। তিন শতাধিক মানুষ এই বিক্ষোভ কর্মসূচীতে সামিল হয়ে গ্রেফতার বরণ করেন।

কৃষকদের সমর্থনে পার্টির বিক্ষোভ ও সভা

১৯ জানুয়ারী বেলা ২টার সময় ভরতপুর বিডিও অফিসের সামনে সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের পক্ষ থেকে নয়া কৃষি আইন বাতিল ও বিদ্যুৎ বিল-২০২০ বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভসভা অনুষ্ঠিত হয়। বিকাল ৪টার সময় ভরতপুর নতুন রাস্তার সীজগ্রাম মোড়ে সভা হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের জেলা সম্পাদক কমরেড রাজীব রায়, জেলা কমিটির অন্যতম সদস্য কমরেড অপূর্ব লাহিড়ী, হায়দার সেখ, ফজলে আলম ও যুব নেতা মনভোলা চৌধুরী এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। সভায় ঋণগ্রস্ত মহিলাদের উপস্থিতি ও ব্যাপক সংখ্যক মানুষের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য।

খণ্ড-28
সংখ্যা-3