আসন্ন নির্বাচনে শ্রমিকদের দাবি নিয়ে সোচ্চার হোন
AICCTU's Call

এআইসিসিটিইউ-র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি ১৫ ফেব্রুয়ারী এক আহ্বান পত্রে বলে, “যতই রাজ্যে নির্বাচন এগিয়ে আসছে,ততই বাড়ছে দলবদল, নোংরা রাজনৈতিক প্রচার। রাজ্যের শ্রমজীবী মানুষের হাজারো সমস্যা, জীবন্ত দাবি নিয়ে কেউ ভাবিত নয়। যে বিজেপি এ রাজ্যে শিল্প স্থাপনের নানা গালগল্প শোনাচ্ছে, সেই মোদি সরকার দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রগুলোকে বেচে দিচ্ছে আদানি-আম্বানিদের হাতে। এদের হাত ধরে আবার ফিরে আসছে কোম্পানিরাজ। আর “দুয়ারে সরকারের” কান ফাটানো বিজ্ঞাপন এখনো লকডাউন পর্যায়ে সব খোয়ানো নির্মাণ শ্রমিকদের জন্য বরাদ্দ করতে পারলো না এক কানাকড়িও। শ্রমিক শ্রেণীকেই বুঝে নিতে হবে তার আপন অধিকার। নির্বাচনী হট্টগোলের মধ্যে যখন শ্রেণীর দাবিগুলোকে ঠেলে দূরে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে,তখন জোরালো কন্ঠে উচ্চারণ করতে হবে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় দাবিগুলোকে, যা রাষ্ট্রের কানে ঢুকেও ঢোকে না। তাই এই দাবিগুলো নিয়ে আসুন, আমরা সোচ্চার হই —

১) রেল, বীমা, ব্যাংক, প্রতিরক্ষা, বিএসএনএল, তেল ও কয়লা খনি সহ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বেসরকারীকরণ চলবে না।

২) লকডাউন পর্যায়ে চা-চটকল সহ অন্য ক্ষেত্রে মজুরি/বেতন দিতে মালিকপক্ষকে বাধ্য করাতে রাজ্য সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে।

৩) এসএসওয়াই প্রকল্প চালু রাখতে হবে। নির্মাণ শ্রমিকদের কল্যাণ তহবিল থেকে নথিভুক্ত সমস্ত নির্মাণ শ্রমিকদের ন্যূনতম ৫০০০ টাকা দিতে হবে। নির্মাণ শ্রমিকদের কল্যাণ বোর্ডকে কার্যকরী করতে হবে।

৪) রাজ্য রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রে সমস্ত ক্যাজুয়াল, ফ্র্যাঞ্চাইজি, কন্ট্রাক্ট শ্রমিকদের স্থায়ীকরণ করতে হবে ও সমকাজে সমবেতন দিতে হবে।

৫) “ফিক্সড টার্ম এমপ্লয়মেন্টে” এ রাজ্যে কোনো শ্রমিককে নিয়োগ করানো চলবে না। কেন্দ্রীয় শ্রম কোডে রাজ্যে কার্যকর না করতে রাজ্য সরকারকে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।

৬) স্কীম কর্মীদের ভাতা নয়, মজুরি ও সরকারী কর্মীর স্বীকৃতি ও উৎসব ভাতা দিতে হবে।

৭) লকডাউন পর্বে ছাঁটাই হওয়া সমস্ত শ্রমিকদের পুনর্বহাল করতে হবে।

৮) চা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি লাগু করতে হবে।

৯) সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের তালিকা রাজ্য সরকারকে নির্দিষ্ট এক সময়সীমার মধ্যে করতে হবে।

এই সমস্ত দাবি নিয়ে আসুন, আমরা রাজ্য জুড়ে এক প্রচার অভিযান সংগঠিত করি, জেলায় জেলায় ও রাজ্য স্তরে পেশ করি শ্রমিকশ্রেণীর এই সমস্ত জীবন্ত দাবিসমূহ।”

খণ্ড-28
সংখ্যা-6