মইদুল হত্যার প্রতিবাদে ধিক্কার ও শাস্তির দাবি
Maidul's murder

সিপিআই(এমএল) বিবৃত

সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে কার্তিক পাল এক প্রেস বিবৃতিতে বলেন, ১১ ফেব্রুয়ারী কয়েকটি বামপন্থী ছাত্র-যুব সংগঠনের ডাকে যে ‘নবান্ন অভিযান’ ছিল সেখানে পুলিশের লাঠিচার্জ ও দমনকে আমাদের পার্টি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। বর্তমান সময়ে মোদী সরকার যেভাবে কৃষক আন্দোলন সহ বিভিন্ন আন্দোলনে হীন কায়দায় দমন নামানোর বাতাবরণ তৈরি করেছে সেই পরিস্থিতিতে বিরোধী দল শাসিত একটি রাজ্যে এই পুলিশি দমন বিশেষভাবে অনভিপ্রেত। আহত ছাত্রযুবদের সুচিকিৎসার বন্দোবস্ত সরকারকে করতে হবে।

এছাড়া বিবৃতিতে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা সহ ১২ ফেব্রুয়ারী আহুত ১২ ঘন্টার হরতালকে নৈতিক সমর্থন জানানো হয়।

আইসা-আরওয়াইএ-র প্রতিবাদ

কাজের দাবিতে পথে নামা এসএফআই-ডিওয়াইএফ ছাত্র-যুবদের উপর ন্যক্কারজনক পুলিশি বর্বরতা ঘটিয়ে বিজেপিকে মোকাবিলার কোন মডেল তৈরি হবে? রাজ্যের তৃণমূল সরকারের কাছে সরাসরি এই প্রশ্ন তুলে সোচ্চার হয় ছাত্র-যুব সংগঠন এআইএসএ-আরওয়াইএ। ছাত্র-যুবদের নবান্ন অভিযানে পুলিশের নিন্দনীয় দমনপীড়নের বিরুদ্ধে ঘটনার দিনেই তীব্র প্রতিবাদ জানায় সিপিআই(এমএল) লিবারেশন, আইসা-আরওয়াইএ। ইতিমধ্যে হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে পুলিশী নিপীড়নে গুরুতর জখম বাম যুব কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্যার। এই ঘটনায় তীব্র ধিক্কার জানিয়ে ১৭ ফেব্রুয়ারী গোটা রাজ্য জুড়েই প্রতিবাদ দিবসের ডাক দিয়েছিল আইসা-আরওয়াইএ। তারা অবিলম্বে এই ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত করে দোষী পুলিশকর্তাদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছে।

শিলিগুড়িতে বিক্ষোভ মিছিল

সকলের জন্য শিক্ষা ও কাজের দাবিতে দশটি ছাত্র যুব সংগঠনের নবান্ন অভিযানে পুলিশের নৃশংস লাঠিচার্জে ডিওয়াইএফ কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্যার রাষ্ট্রীয় হত্যার প্রতিবাদে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে এবং বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবিতে এক বিক্ষোভ মিছিল সিপিআই(এমএল) লিবারেশানের শিলিগুড়ি অফিস থেকে শুরু হয়ে হিলকার্ট রোড ঘুরে হাশমিচকে এসে শেষ হয়, সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন অন্যতম রাজ্য নেতা বাসুদেব বোস। মিছিলে নেতৃত্ব দেন দলের জেলা সম্পাদক অভিজিৎ মজুমদার, রাজ্য কমিটির, পবিত্র সিংহ প্রমুখ। প্রতিবাদ-বিক্ষোভ সংগঠিত হয় ব্যাণ্ডেল, বেলঘরিয়া, বারাসাত ইত্যাদি অনেক আরোও অনেক জায়গায়।

খণ্ড-28
সংখ্যা-6