বিবৃতি
রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআই(এমএল) লিবারেশান মনোনীত প্রার্থী
CPI (ML) Liberation Nominated Candidate

সংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত থাকছেন পলিটব্যুরো সদস্য কার্তিক পাল, কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য, জয়তু দেশমুখ এবং কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য তথা জেএনইউএসইউ-র প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট সুচেতা দে।

১) নমিনেশন জমা দেওয়ার অব্যবহিত পরেই মুখ্যমন্ত্রীর আহত হওয়া উদ্বেগজনক। আমরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে হতে পারে তা নির্বাচন কমিশন নিশ্চিত করুক।

২) আমরা রাজ্যে মোট ১২টি আসনে আমাদের নির্বাচনী প্রতীক “পতাকায় তিন তারা” নিয়ে  প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে ধারাবাহিক আন্দোলন চালিয়ে আসছেন এরকম কয়েকজন কমরেডকে সেই সেই কেন্দ্রে প্রার্থী করেছি আমরা। আমাদের প্রার্থী তালিকা সাথে  দেওয়া হল।

১৬-ময়নাগুড়ি(এসসি) : উদয়শঙ্কর অধিকারী,
২৭-ফাঁসিদেওয়া(এসটি) : সুমন্তি এক্কা,
৫২-মোথাবাড়ি : মহম্মদ এব্রাহিম শেখ,
৬৬-খড়গ্রাম(এসসি) : টুলুবালা দাস,
৮১-নাকাশিপাড়া : কৃষ্ণপদ প্রামাণিক,
৮৫-কৃষ্ণনগর দক্ষিণ : সন্তু ভট্টাচার্য,
১৮৫-উত্তরপাড়া : সৌরভ রায়,
১৯৭-ধনেখালি(এসসি) : সজল কুমার দে,
২৪৯-রানীবাঁধ(এসটি) : সুধীর মুর্মু,
২৫৪-ওন্দা : নির্মল ব্যানার্জী,
২৬২-জামালপুর(এসসি) : তরুণকান্তি মাঝি,
২৬৩-মন্তেশ্বর : আনসারুল আমান মণ্ডল।

৩) সারা দেশের সাথে সাথে পশ্চিমবঙ্গেও আমরা বিজেপিকে জনগণের প্রধান শত্রু হিসাবে চিহ্নিত করে লাগাতার প্রচার করে আসছি। বিজেপির বিগ্রেড সমাবেশের মঞ্চ থেকে “বিষাক্ত ছোবলের” যে বার্তা সামনে এসেছে তার মোকাবিলা করার জন্য জনমত গড়ে তোলা বাংলার সকলের দায়িত্ব। যারা এখনো সে ব্যাপারে গুরুত্ব দিচ্ছেননা তাঁদের কাছে, বিশেষ করে সমস্ত বামপন্থী দল ও শক্তির কাছে আবারও অনুরোধ জানাচ্ছি।

৪) আমরা যেসব আসনে লড়ছি, সেগুলি ছাড়া এবং জামালপুর আসনটি বাদে অন্যত্র এখনো পর্যন্ত বামফ্রন্টের দখলে থাকা আসনগুলিতে আমরা বামফ্রন্টের প্রার্থিদের সমর্থন জানাচ্ছি। এর সাথে জেএনইউ-তে বিজেপি বিরোধী সংগ্রামের আরেক মুখ ঐশী ঘোষকে আমরা সমর্থন দিচ্ছি।

৫) নাগরিকত্ব সুরক্ষা আন্দোলনের অন্যতম মুখ তথা সাহিত্যিক কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরকে আমরা গাইঘাটা আসনে সমর্থন দিচ্ছি।

৬) অন্যান্য বামপন্থীদের সমর্থন দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনাধীন আছে।

৭) বিজেপিকে হারানোর বার্তা নিয়ে বাংলায় কৃষক জনগণের কাছে দিল্লি ঘিরে আন্দোলনরত যে কৃষক নেতারা আসছেন এবং ১২-১৪ মার্চ বিভিন্ন স্থানে “কৃষক-শ্রমিক পঞ্চায়েত” সংগঠিত করবেন তাঁদের আমরা স্বাগত জানাই।

খণ্ড-28
সংখ্যা-9