বিবৃতি
ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার নিচ্ছে আউটসোর্সিং পলিসি
outsourcing policy in Tripura

ত্রিপুরায় আউটসোর্সিং-এর মাধ্যমে সরকারি দপ্তরে কর্মী নিয়োগে বেসরকারি এজেন্সি নিযুক্ত করে সরকারি চাকরির দরজা বন্ধ করে দিল রাজ্যের বিজেপি সরকার। এই সর্বনাশা সিদ্ধান্ত প্রত্যহারের দাবিতে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করবে সিপিআই(এমএল), ত্রিপুরা রাজ্য কমিটি। ত্রিপুরায় বিজেপি-র নেতৃত্বে পরিচালিত রাজ্য সরকার গত ২৬ ফেব্রুয়ারি এক আদেশমূলে সরকারি দপ্তরে নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য দিল্লী সহ রাজ্যের পাঁচটি বেসরকারী এজেন্সিকে নিযুক্ত করেছে। এখন থেকে এই এজেন্সির মাধ্যমে সরকারি দপ্তরে কর্মী নিয়োগ হবে। সরকার সরাসরি আর কাউকে চাকরি দেবে না। এর ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়া হবে অস্বচ্ছ। যারা চাকরি পাবেন বেতন মিলবে কম। যে কোনো মুহূর্তে চাকরি হারানোর আশঙ্কা থাকবে। অর্থাৎ রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীদের কাছে সরকারিভাবে চাকুরি পাওয়ার দরজা একেবারে বন্ধ হয়ে গেল। সরকারি দপ্তরে আর কোনোদিন স্থায়ী চাকুরি হবে না। বেসরকারী কোম্পানির মতো করে চাকরি হবে। এর মাধ্যমে বেকারদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিতভাবে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিল সরকার। বছরে পঞ্চাশ হাজার চাকরি, মিসড্ কলে চাকরি, ঘরে ঘরে রোজগার দিতে ভিশন ডকুমেন্টে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি মিথ্যায় পর্যবসিত হয়েছে। ইতিমধ্যে কৃষি দপ্তরে ৯২ জন চুক্তিবদ্ধ কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। এছাড়া ছাঁটাই করা হয় তথ্য দপ্তর ও সচিবালয়ে কর্মরত চুক্তিবদ্ধ কর্মীদের। এর আগে জাইকা, ক্ষুদ্র সেচ দপ্তরে কর্মরত চুক্তিবদ্ধ পাম্প অপারেটর, পৌর সংস্থাতে সাফাই কর্মী, শিক্ষায় মিড ডে মিল কর্মী, সরকারি অতিথিশালাতে অনিয়মিত চুক্তিবদ্ধ কর্মীদের অমানবিকভাবে ছাঁটাই করা হয়। এই আউটসোর্সিং-এর মাধ্যমে নিয়োগ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বেসরকারিকরন নীতির অঙ্গ। সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়ার বেসরকারীকরণ। তাই এই লড়াই আসলে সরকারের বেসরকারীকরণ নীতির বিরুদ্ধে লড়াই। এই কর্পোরেটমুখী আগ্রাসী বেসরকারিকরণ নীতির বিরুদ্ধে পথে নেমে প্রতিরোধে সামিল হতে আহ্বান জানান সিপিআই(এমএল) এর রাজ্য সম্পাদক পার্থ কর্মকার।

খণ্ড-28
সংখ্যা-10