কোভিড সংক্রান্ত সহায়তা কর্মসূচী অব্যাহত আছে
Covid-related support programs

বেলঘরিয়ার রিপোর্ট
 

টেলিভিশনের আলো ঝলমল প্রচার বা খবরের কাগজের অতি প্রচার নেই, নেই ক্যামেরার ফ্লাশের ঝলকানি। বেলঘরিয়া এআইএসএ ‘কোভিড ভলেন্টিয়ার্স’ টিম নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগকে উপেক্ষা করে, বৃষ্টিতে ভিজে সায়ন্তন, অয়ন এবং বিশ্ব তিন ‘করোনা যোদ্ধা’ পৌঁছে গেল ৯নং, বিটি রোড, গভঃ কোয়ার্টার। সেখান থেকে করোনা রোগী নিয়ে গিয়ে সাগর দত্ত হাসপাতালে পৌঁছে দিল এবং রোগীর অবস্থা দেখে চিকিৎসকরা ভর্তি করে নিলেন। ভলেন্টিয়াররাও খুশি রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে পেরে। এই ছাত্র যুবরা শুধুমাত্র দলের নয়, সমাজের সম্পদ। এদের লাল সেলাম। সাথে সাথে তাদের মা ও বাবা এইসব ছেলেদের যে ভাবে এই ঝুঁকিপূর্ণ কাজে যাওয়ার জন্যে উৎসাহিত করছেন, তাদেরও শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

-- নবেন্দু দাশগুপ্ত 

বিষ্ণুপুরের রিপোর্ট

বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন চলাকালীন ১৬ই মে থেকেই বিষ্ণুপুর মিউনিসিপ্যালিটি অঞ্চলের মধ্যেই করোনা আক্রান্ত পরিবার গলির নিকট রান্নাকরা খাবার, ঔষুধ ও প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বিষ্ণুপুরেরই কিছু তরুণ প্রজন্মের ছাত্রদল। আইসা কোভিড ভলেন্টিয়ার এই উদ্যোগ শুরু করেছে লকডাউনের প্রথম দিন থেকেই। একইসাথে তারা খ্রিস্টান কলেজের অধ্যাপক এবং ‘উত্তরণ’ নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহযোগিতায় বাঁকুড়া মিউনিসিপ্যালিটির ভিতরেও রান্নাকরা খাবার সহ ঔষুধপত্র বা প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সামগ্রী প্রদানের কাজ শুরু করেছে ১৮ মে থেকে। সন্ধ্যাকালীন ঝড়-বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেও এই কাজ অনবরত চলছে শুধুমাত্র সংকট ও দুরবস্থায় থাকা সহনাগরিকদের সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার জন্যই। একটি ফোনে যোগাযোগ করা যাচ্ছে ভলেন্টিয়ার টিমের হেল্প ডেস্কে। কোভিড ও নন-কোভিড পেশেন্টদের অক্সিজেন, হাসপাতালে বেড, অ্যাম্বুলেন্সের খোঁজ, ডাক্তার মারফত ফোনে যোগাযোগ করে দেওয়া, টেস্টিং সংক্রান্ত তথ্য প্রদানের কাজ বিগত ৫ই মে থেকেই সারা বাঁকুড়া জেলা জুড়ে শুরু করেছে ‘কোভিড ভলেন্টিয়ার্স AISA (বাঁকুড়া wing)’। ইতিমধ্যে (১৮ মে পর্যন্ত) ৪০’র অধিক রোগীর সহযোগিতা করা গেছে ফোন মারফত। একইসাথে নতুন উদ্যোগে কোভিড আক্রান্ত পরিবারের কাছে খাবার ও আনুসাঙ্গিক দ্রব্য পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করে আরো মানুষকে সাহায্য পৌঁছানোর চেষ্টা আমরা করছি।

-- তিতাস গুপ্ত

খণ্ড-28
সংখ্যা-19