কোভিড আক্রান্তদের পাশে ছাত্র যুবরা
Student youth with the help of Covid victims

‘কোভিড ভলান্টিয়ার্স’ ঠিকানা ক্রিক রো, কলকাতা। অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (এআইএসএ) এবং বিপ্লবী যুব অ্যাসোসিয়েশন (আরওয়াইএ) করোনাকালে জীবন বাজি রেখে আর্তের কাছে ছুটে চলেছে - বিশ্বজিৎ, অয়ন, নীলাশিস, অমিতাভ, অঙ্কিত, তীর্থ, অন্বেষা, বর্ষা, রুমেলা, আমন, সুরত্ন, আবীর, তিয়াসা, শুভ, সঞ্জয়, কৌস্তভ, অনির্বাণ, পিকু, পরিচয়, জয়ন্ত, দেবাশিস, তমোস, ইন্দ্রনীল, প্রীতম, রুদ্র, বাপন, অভিজিৎ, সৌরভ, গুড্ডু, দীপ সহ আরও অনেকে। ওরা খুলেছে হোয়াটস এ্যপ গ্রুপ এবং ফেসবুক পেজ, ওখানে প্রতিদিন আপডেট দিয়ে চলেছে। কোন হাসপাতালে বেড আছে, কোথায় অক্সিজেন পাওয়া যাবে, স্বাস্থ্যদপ্তরে নাম নথিভুক্তির জন্য কোন নাম্বারে ফোন করতে হবে সব জানিয়ে দিচ্ছে। টেলিমেডিসিনে কোন ডাক্তারবাবু কখন সময় দিচ্ছেন তাও জানাচ্ছে। সরকারী ও বেসরকারী ডাক্তারদের নাম্বার সংগ্রহ করে সর্বসাধারণকে জানিয়ে দিচ্ছে। এরকম নানাবিধ কাজ করে চলেছে।

ওরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংক্রমিতের বাড়িতে সাহায্যের জন্য পৌঁছে যাচ্ছে। হন্যে হয়ে খুঁজে যদি অক্সিজেন পাওয়া যায় তো রোগীর বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া। খবর এলো অক্সি-৯৯ ওষুধ চাই, রোগীর বাড়িতে খাবার চাই, বাড়ি স্যানিটাইজ করতে হবে, ওরা পৌঁছে গেল। এই কাজ করতে গিয়ে ওদের মধ্যেও কয়েকজন সংক্রমিত হল, অন্য ব্যাচ দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিল।

লোকবল অর্থবলের সমস্যা নিয়েই ওরা ছুটে চলেছে - বেলঘরিয়া, আগরপাড়া, ডানলপ, বরানগর, নিউব্যারাকপুর, নৈহাটি, শ্যামনগর, বারাসাত, অশোকনগর, বালি, কোন্নগর, যাদবপুর, বেহালা সহ কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চলে। অতিমারীর সময়ে ‘মানুষের পাশে দাঁড়াও’ এই আদর্শবোধে তারা উদীপ্ত হয়ে অসুস্থ সহনাগরিকদের পাশে আছে। তাদের নতুন ভাবনা শুরু হয়েছে আংশিক লকডাউনে কর্মচ্যুত শ্রমজীবী মানুষকে কিভাবে সাহায্য করা যায়। এরা অন লাইনে ভলেন্টিয়ার নিয়োগের আবেদন করেছে, সেখানে কিছু কিছু সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। ওরা বুঝেছে লড়াইটা অনেক দিন চালাতে হবে, তার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বাংলার এই নতুন প্রজন্মকে কুর্নিশ।

-- নবেন্দু দাশগুপ্ত

খণ্ড-28
সংখ্যা-17