গত ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ দুই দলের সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিবৃতিতে এই ঘোষণা দিয়ে বলা হয়, গণতন্ত্র, জীবন ও জীবিকা এবং সংবিধানের ওপর তীব্র আক্রমণের মুখে রয়েছে ভারত। স্বাধীনতা পরবর্তী পর্বে সমগ্র অস্তিত্বের ওপর এরকম আক্রমণ আর কখনও আসেনি। একদিকে বিধ্বস্ত অর্থনীতি, বিপুল বেকারত্বের সংকট, ভেঙে পড়া জনস্বাস্থ্য ও গণশিক্ষা, দেশের সব অমূল্য সম্পদ বেবাক বেচে দেওয়া, কর্পোরেট কোম্পানিগুলির লুঠতরাজ, আর অন্যদিকে মুসলমানদের ওপর নিত্যদিন মব-হামলা, নারীর অধিকারের ওপর নতুন নতুন আক্রমণ, নিপীড়িত জাত ও আদিবাসীদের ওপর নিরন্তর হামলা, বিরোধী নেতা, বিচারক ও সাংবাদিকদের জীবনে আড়ি পাতা এবং বিভিন্ন দমন আইন ব্যবহার করে ও বাইরে থেকে সাজানো তথ্য আরোপ করে আন্দোলন কর্মীদের জেলে পোরা — এ সবই বর্তমান বিপদের গভীরতা প্রকাশ করে।
কৃষক শ্রমিক দলিত আদিবাসী নারী ছাত্রছাত্রী ও যুব আন্দোলন অবশ্য ফ্যাসিস্ট শক্তিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছে। বামপন্থীদের প্রধান কর্তব্য হল এই সমস্ত আন্দোলনকে শক্তিশালী করা, এবং সেইলক্ষ্যে লাল নিশান পার্টি ও সিপিআই(এমএল) লিবারেশন পুণা শহরের ‘শ্রমিক ভবনে’ এক বৈঠকে মিলিত হয়। বৈঠকে অংশ নেন সিপিআই(এমএল) লিবারেশন সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য ও এলএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ভীমরাও বনসোড় ও সভাপতি সুভাষ কাকুশ্তে সহ সিপিআই(এমএল) পলিটব্যুরোর দুই সদস্য প্রভাত কুমার ও কবিতা কৃষ্ণান, এলএনপি’র অন্যান্যদের মধ্যে উদয় ভাট, বিজয় কুলকার্নি, অতুল দিঘে, রাজেন্দ্র বাওয়াকে, মেধা থাটে, বিকাশ আলওয়ানি, জীবন শুরুড়ে ও পালেকর এবং সিপিআই(এমএল)’এর মহারাষ্ট্র শাখার শ্যাম গোহিল ও অজিত পাটিল।
উভয় দলের নেতারা সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, মহারাষ্ট্র ও সারা দেশে চলমান গণআন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে এক জোরালো প্রতিরোধ হিসেবে বামপন্থী উত্থান ও ব্যাপক বিস্তৃত গণতান্ত্রিক শক্তিগুলির মধ্যে ক্রমবর্ধমান সংযোগ ঘটাতে দুই দল ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় কাজ করবে।
কৃষক আন্দোলনের ডাকা ২৭ সেপ্টেম্বরের ভারত বনধ্কে এলএনপি ও সিপিআই(এমএল) পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছে এবং এই বনধ্কে সর্বাত্মক করতে জনগণের মাঝে প্রচারাভিযান গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।