ত্রিপুরায় বিজেপি’র ফ্যাসিস্ট হিংস্রতা বর্বরতা - প্রতিবাদী প্রতিরোধী উদ্যোগও
violence in Tripura

পিবি-২৪ ও প্রতিবাদী কলম সংবাদ মাধ্যমের কার্যালয়ে রাজ্যের ইতিহাসে এই প্রথম এই ধরনের অভূতপূর্ব সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটে। সিসিটিভি ফুটেজে সম্পূর্ণ ঘটনার রেকর্ড ও সমস্ত তথ্যপ্রমাণ এখন রাজ্য পুলিশের তদন্তকারী সংস্থা ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে। কিন্তু ছয়দিন অতিক্রান্ত। একজন অপরাধীকেও এখনো পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়নি। ঐদিন এই দুটি সংবাদ মাধ্যমের সম্পাদক ও কর্ণধার শ্রী অনল রায় চৌধুরীর ব্যক্তিগত গাড়ি, সংবাদ কর্মীদের কয়েকটি মোটরবাইক পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এই ভয়ঙ্কর তান্ডবের সাক্ষী পোড়া গাড়ি ও মোটর বাইকের কঙ্কালগুলি পড়ে আছে। কার্যালয়ে ভাঙচুর অবস্থায় কাজকর্ম চলছে। ৮ সেপ্টেম্বর চারটি সংবাদ মাধ্যমের কার্যালয়ে বিজেপি’র দুস্কৃতিরা পরিকল্পিতভাবে হামলা করে ও তছনছ করে। উদয়পুরে দুরন্ত টিভি নামে একটি বৈদ্যুতিন সংস্থাকে ভাঙচুর করে ও সমস্ত মূল্যবান যন্ত্রপাতি গুড়িয়ে দেয় দুস্কৃতিরা। টিভি-২৪ সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিক বন্ধু শ্রীযুক্ত প্রসেনজিৎ দাসের মাথায় আঘাত করার ফলে তিনি মারাত্মকভাবে জখম হন, নয়টি সেলাই লাগে। ডেইলী দেশের কথা কার্যালয়ের বাইরের অংশে ভাঙচুর করে ও পেট্রোল বোমা দিয়ে অগ্নিসংযোগ করে। দিনরাত চ্যানেল নামের একটি বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমের কার্যালয় ভাঙচুর করে।

বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব উপস্থিত থেকে ও তাদের নির্দেশে মিছিল থেকে পরিকল্পিতভাবে সিপিএমের রাজ্য কার্যালয় দশরথ দেব ভবনে ভয়ঙ্কর হামলা করা হয় এবং পেট্রোল বোমা মেরে অগ্নিসংযোগ করা হয়। কার্যালয়ের প্রবেশ পথে স্থাপিত বাম আন্দোলনের অবিসংবাদিত জননেতা দশরথ দেবের মূর্তি ভাঙ্গে ফ্যাসিস্ট বিজেপি গুন্ডারা। বাম আন্দোলন জাতি-উপজাতি মৈত্রীর সোপান দশরথ দেববর্মাকে মুছে ফেলতে চায় বিজেপি। ২০১৮ সালের ১০ মার্চ বিলোনীয়াতে লেনিনের মূর্তি বুলডোজার দিয়ে উপরে ফেলা, ৫ মে উদয়পুরে কার্ল মার্কসের জন্মদিনে সিপিআই(এমএল)-এর মিছিলে হামলা, ২০১৯এ কৈলাশহরে বাম আন্দোলনে আদর্শবান জননেতা বৈদ্যনাথ মজুমদারের মূর্তি ভাঙ্গা — একের পর এক মূর্তি ভেঙ্গে প্রমাণ করছে, নব্য ফ্যাসিস্ট দল বিজেপি দেশে ও রাজ্যে প্রগতিশীল বাম আন্দোলনের বিপ্লবী নেতা ও জনগণের সংগ্রামের ইতিহাসকে মুছে ফেলতে চায়। যার বিরুদ্ধে সারা ত্রিপুরায় বিক্ষোভ ধূমায়িত হচ্ছে।

বিজেপি জোট রাজত্বে গত একচল্লিশ মাসে মোট বিশ জনের মতো বামপন্থী নেতা কর্মী খুন হন। এবার লংতরাইভ্যালী মহকুমার মনুঘাটের জামিরছড়া গ্রামে এসএফআই মহকুমা সম্পাদক আশিষ দাসের বাড়িতে হামলা করে দুস্কৃতিরা। ভয়ঙ্কর হিংসার তান্ডবে তার বাবা অমলেশ দাশ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এটি একটি হত্যাকান্ড এবং এটা নিয়ে মোট খুনের সংখ্যা ২১ হল।

১১ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর প্ররোচনায় বিজেপির মিছিল সোনামুড়াতে প্রচণ্ড উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি করে। সিপিএমের পার্টি অফিস ভেঙ্গে ফেলার চেষ্টা করে বিজেপি আশ্রিত দুর্ত্তবৃত্তরা। পুলিশ বাধা দেয়। কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। দিনটি ছিল সাপ্তাহিক হাটবারের। খুব বড় হাট বসে। কিন্তু ক্রেতা বিক্রেতারা ভয়ে মুহূর্তে ঘরমুখী হন, পালিয়ে আত্মরক্ষা করেন। ৬ সেপ্টেম্বর ধনপুর কাঠালিয়া ব্লকে সিপিএমের গণডেপুটেশন কর্মসূচিতে বিরোধী দলনেতা মানিক সরকারকে তাঁর নিজ বিধানসভা কেন্দ্রে যাওয়ার পথে বিজেপি বাধা দেয়। কিন্তু জনগণের প্রতিরোধের মুখে তা ব্যর্থ হয়। উভয়পক্ষের বেশ কয়জন আহত হয়। পুলিশ ও বিজেপি দুর্বৃত্তদের বাধা ভেঙ্গে ফেলে পার্টি কর্মী ও জনগণের ব্লক গণডেপুটেশন কর্মসূচি হয়। ধনপুরে এই প্রতিরোধের বার্তা সারা রাজ্যে সংগ্রামী জনগণের মধ্যে উৎসাহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করে। প্রায় একচল্লিশ মাস পরে বিরোধী দলনেতা এই প্রথম তাঁর কেন্দ্রে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পারলেন। অন্যদিকে, বিপরীত প্রতিক্রিয়া হিসাবে বিজেপি তখন প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে উঠে। কারণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক মহোদয়ার বাড়ি এই ধনপুরে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নেতৃত্বে এই সন্ত্রাসের ব্লুপ্রিন্ট তৈরি হয়। ধনপুরের ঘটনায় একতরফাভাবে কয়েকডজন সিপিএমের কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশকে মামলা নিতে ও গ্রেপ্তার করতে বাধ্য করে। কিন্তু বিজেপির দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে পুলিশ একটি মামলাও নেয়নি। ৬ সেপ্টেম্বরের পর থেকে ধনপুর ও সোনামুড়াতে সন্ত্রাস অব্যাহত আছে।

কাঠালিয়া-ধনপুরে প্রতিরোধের পাল্টা বদলা নিতে বিজেপি পরিকল্পিতভাবে ৮ সেপ্টেম্বর উদয়পুরে কাজের দাবিতে সিপিএমের যুব মিছিল রুখতে আগের দিন রাতে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাস সংঘটিত করে। শালগড়াতে সিপিএমের কর্মী আইনজীবী রনবীর দেবনাথের বাড়িতে হামলা করে। স্বামীকে বাঁচাতে তাঁর স্ত্রী পেশায় পুলিশ কর্মী আপ্রাণ চেষ্টা করেন। দুস্কৃতিরা স্ত্রী মিনতী দেবনাথের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। তাঁর শরীরের ষাট শতাংশ পুড়ে যায়। তিনি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। তাঁকে চিকিৎসার জন্য কলকাতার ডিসান হাসপাতালে পাঠানো হয়। ৮ সেপ্টেম্বরের অপারেশনের পরেও ৯ থেকে ১২ সেপ্টেম্বর প্রতিটা দিন উদয়পুর মহকুমা জুড়ে সন্ত্রাস চলে। টেপানিয়া, গঙ্গাছড়া, হদ্রা, তূলামুড়া, মির্জা, জামজুরি, মুড়াপাড়া, পালাটানা, মহারানী ও বাগমাতে বাড়িঘরে ভাঙচুর, শারীরিক নির্যাতন করা হচ্ছে। মিছিলে অংশগ্রহণ করেছেন এমন কর্মী সমর্থকদের দোকানপাট, ক্ষুদ্র চাষ, ব্যবসা সব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাজারবাগ মুসলিম পাড়া থেকে মিছিলে অংশ নেওয়া কর্মী সমর্থকদের বিজেপি দলে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়েছে। জাজুড়িতে এসএফআই সভাপতি প্রিতম শীলের বাড়ি, টেপানিয়াতে তপশীল জাতি নেতা সঞ্জিব দাসের বাড়িঘর সম্পৃর্ণভাবে আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। শালগড়া অঞ্চল সম্পাদক বাবুল নাহা’র ঘরবাড়ি ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। উদয়পুরে ৮ সেপ্টেম্বরের ঘটনায় পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে সিপিএমের আড়াইশো জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে। এখনো পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। শহরে ও গ্রামেগঞ্জে পরিকল্পিতভাবে বিজেপির বাইক বাহিনীর দুর্বৃত্তরা তীব্র আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। ৮ সেপ্টেম্বরের কর্মসূচি কেন আগের দিন স্থগিত করা বা বাতিল করা হলনা? বিজেপির লক্ষ্য হচ্ছে যাতে ভবিষ্যতে কেউ বামপন্থীদের মিছিল মিটিংয়ে আসতে সাহস না পায়। ৯ সেপ্টেম্বর মুড়াপাড়া গ্রামে অনুপ দাসের বাড়িতে হামলার ঘটনায় তার স্ত্রী শংকরী মজুমদারের মাথা ও হাত জখম হয়, মাথায় নয়টি সেলাই লেগেছে। গোমতী জেলার অমরপুরে রাংকাং ভিলেজে হাকিম মিঞা আহত অবস্থায় জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত হয়। অপরাধ তার পিতা সহ পরিবারের সদস্যরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছে। এরআগে তারা বিজেপিতে ছিল। তাছাড়া নতুনবাজার, যতনবাড়ি, মালবাসা ও অমরপুরে সন্ত্রাস অব্যাহত আছে।

পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জিরানিয়া, রানীরবাজার, খয়েরপুর, পুরাতন আগরতলাতে সন্ত্রাস চালায় দুস্কৃতিরা। সিপাহীজলা জেলার বিশালগড়ে কাঞ্চনমালাতে বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। বিলোনীয়ার ঋষ্যমুখ, নলুয়া, হরিপুর, বড়পাথরিতে হামলার ঘটনা ঘটে। বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

১২ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ ত্রিপুরার সাব্রুমে মুখ্যমন্ত্রী মেলার মাঠে জনসভা করে ফিরে আসার পরে গভীর রাতে বিজেপির দুস্কৃতিরা সিপিএমের মহকুমা অফিস ও সিটু অফিস ভাঙচুর করে। শ্রীনগরে আক্রমণ ও ভাঙচুর করা হয় প্রাক্তন বিচারপতি বাবুল মজুমদারের বাড়ি। মহকুমা পার্টি সদস্য কমরেড চিত্তরঞ্জন বসাকের বাড়িতে হামলা করে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতিরা।

৮ সেপ্টেম্বর অধিক রাতে গোমতী জেলার উদয়পুর মহকুমার রাজারবাগ মোটরস্ট্যান্ডে অবস্থিত সিপিআই(এমএল) লিবারেশন-এর কার্যালয় আক্রমণ করে বিজেপি-আরএসএস সন্ত্রাসী বাহিনী। প্রথমে তালা ভেঙ্গে অফিসে ঢুকে সমস্ত জিনিসপত্র ভাঙচুর ও গুড়িয়ে দেয়। কিছু আসবাবপত্র টেনে হিচড়ে জাতীয় সড়কের পাশে ফুটপাতে ফেলে রাখে এবং তারপর আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুন দেখে প্রতিবেশীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয় এবং সাথে সাথে তারা ফায়ার সার্ভিস ডাকেন। কিন্তু ফায়ার সার্ভিস এসে বিজেপি-আরএসএস আশ্রিত সন্ত্রাসীদের বাধার মুখে ফিরে যেতে বাধ্য হয়। তারপর পুলিশ এসকর্ট করে ফায়ার সার্ভিসকে নিয়ে আসে এবং আগুন নেভানো হয়। এবার ফ্যাসিস্ট তান্ডবলীলার বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যতক্ষণ পর্যন্ত না সমস্ত জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হচ্ছে বা সম্পূর্ণ ধ্বংস হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত দুর্বৃত্তরা দাঁড়িয়ে থেকে তান্ডব চালাচ্ছে। আর পুলিশ দূরে দাঁড়িয়ে থেকে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। একই কায়দায় পার্টির সমস্ত জিনিসপত্র ধ্বংস করে দেওয়া হয়। এরআগে ২০১৮ এবং ২০১৯এ দু’বার এই পার্টি অফিসটি আক্রান্ত হয়েছিল। তখন কিছু জিনিসপত্র অবশিষ্ট পাওয়া গিয়েছিল। এবার কিছুই অবশিষ্ট নেই।

এই অরাজক পরিস্থিতিতে সিপিআই(এমএল) লিবারেশন তার ক্ষুদ্র শক্তি নিয়েও সমস্ত বামপন্থীদের সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করছে। সবকটি বাম দলের সাথে পরিস্থিতির বাস্তবতা নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনা করা হয়েছে। প্রথমত, আক্রান্ত সহকর্মীদের আইনী সুরক্ষা সহ চিকিৎসা ও আর্থিক মদত দেওয়া। লিগ্যাল টিম মারফত সমস্ত সন্ত্রাসের ঘটনাবলী লিপিবদ্ধ করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা। দ্বিতীয়ত, বিপন্ন ত্রিপুরায় ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসের সমস্ত ঘটনাবলী জাতীয় জীবনে সর্বোচ্চস্তরে প্রচারে নিয়ে যাওয়া, উপর থেকে হস্তক্ষেপ ও যৌথ উদ্যোগ বাড়িয়ে তোলা। তৃতীয়ত, ফ্যাসিস্ট বিজেপির হাতে অবরুদ্ধ সংবিধান ও গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে, সামগ্রিকভাবে ত্রিপুরা রাজ্যকে রক্ষা করতে, অন্যান্য বিরোধী দল যেমন তৃণমূল কংগ্রেস ও কংগ্রেসের সাথে সদর্থক অর্থে কথা বলা আজ পরিস্থিতির দাবি বলে সিপিআই(এমএল) মনে করে। কারণ একা বামপন্থীরা ফ্যাসিস্ট বিজেপিকে মোকাবিলা করতে পেরে উঠবে না। ফ্যাসিস্ট বিজেপির বিরুদ্ধে যতটাসম্ভব বৃহত্তর যৌথ রাজনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার। এই প্রশ্নে বামপন্থীদের বড় মনের পরিচয় দিতে হবে। ২৫ বছরের বামফ্রন্ট শাসনে বিরক্ত বিক্ষুব্ধ হয়ে সাধারণ শ্রমজীবী জনগণ যারা বঞ্চনা ও নিপীড়নের শিকার হয়ে এতদিন বিজেপিকে শক্তিশালী করেছেন, আজ তারাও বিজেপির অপশাসনের হাত থেকে বাঁচতে চাইছেন। তাই এখন তাদের জয় করে আনতে হবে। যাতে ফ্যাসিস্ট বিজেপির সন্ত্রাসে ভীত সন্ত্রস্ত সমস্ত বামপন্থী ও অন্যান্য বিরোধী দলের কর্মী, সমর্থক ও সাধারণ জনগণের মনে খুব দ্রুত পুনরায় আস্থা ও বিশ্বাস ফিরিয়ে আনা যায় এবং সাহসের সাথে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক ঐক্যবদ্ধ লড়াই গড়ে তোলা যায়।

- পার্থ কর্মকার

খণ্ড-28
সংখ্যা-33