পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের শ্রমিকদের দুটো ট্যাগ আছে যেমন এরা খুব পরিশ্রমী ও দক্ষ। তাই সারা ভারতবর্ষে এখানকার নির্মাণ শ্রমিকরা ছড়িয়ে আছে। দেশ বিদেশের বড় পুঁজি মুনাফার স্বার্থে সরকারকে সাথে নিয়ে যতটা সংগঠিত, কৃষির পর সবচেয়ে বৃহৎ শ্রমশক্তি নির্মাণ শিল্পে যুক্ত আর এই নির্মাণ শ্রমিকরা ততটাই অসংগঠিত। নির্মাণ শ্রমিকদের বহু লড়াই করার মধ্য দিয়ে নিজেদের সুরক্ষা ও সংগঠিত হওয়ার জন্য ১৯৯৬ সালে একটি কেন্দ্রীয় আইন পাস হয়। কিন্তু বর্তমান কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার ৪টি লেবার কোড মারফত নির্মাণ শ্রমিকদের সমস্ত অধিকার হরণের লক্ষ্যে নীলনকশা রচনা করেছে। এমতাবস্থায় মুর্শিদাবাদ জেলার নির্মাণ কর্মী ও সংগঠকদের লাগাতার প্রচেষ্টায় শ্রমিকরা নিজেদের সুরক্ষা ও সংগঠিত হওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করায় গত ১২ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গ গৃহ ও অন্যান্য নির্মাণ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের ১ম মুর্শিদিবাদ জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল। ইউনিয়নের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কিশোর সরকার বর্তমান পরিস্থিতিতে ২৭ সেপ্টেম্বর ভারত বনধে্র গুরুত্ব তুলে ধরেন। সভাপতি প্রবীর দাস নির্মাণ শ্রমিকদের নথিভুক্তিকরণ ও সামাজিক সুরক্ষা বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং সংগঠনের গুরুত্ব তুলে ধরেন। সাথী আবুল কাশেম আজকের শ্রমিক আন্দোলনে অসংগঠিত শ্রমিকদের ক্ষমতা কতটা তা তুলে ধরেন। উদ্বোধনী বক্তব্য সহ সমগ্র সম্মেলনটি সুষ্টভাবে পরিচালনা করেন অপূর্ব লাহিড়ী। সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ১৭ জনের কার্যকরি কমিটি তৈরি হয়। সর্বসম্মতিতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন অপূর্ব লাহিড়ী, সহ-সভাপতি রবিউল হোসেন, সম্পাদক আনাই সেখ, সহ-সম্পাদক আবুল কাশেম, বাবু সেখ ও কার্তিক দাস। কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হন রবি মন্ডল।