গৃ্হস্থালির রান্নাঘরে আগুন ধরাচ্ছে মোদী সরকার
fire to the kitchen

মোদী সরকার এই অতিমারী সময়কে কাজে লাগিয়ে সবথেকে প্রয়োজনীয় রান্নার গ্যাসের মূল্য বার বার বৃদ্ধি করে এবং ভর্তুকি তুলে দিয়ে মোট ২০ হাজার কোটি টাকা আয় করেছে।

  • ১ সেপ্টেম্বর রান্নার গ্যাসের মূল্য ২৫ টাকা বেড়ে দেশের রাজধানীতে হয় প্রতি ১৪.২ কেজিতে ৮৮৫ টাকা, পশ্চিমবঙ্গে দাম ৯৩৬ টাকা।
  • মে ২০২০ থেকে সারাদেশে এলপিজি’র দাম ৩০০ টাকার বেশি বেড়েছে।
  • এতদিন, ভারত সরকারের ভর্তুকি পাচ্ছিল গ্রাহকেরা। রান্নার গ্যাসের উপরে কয়েক দশক ধরে বহাল ছিল এই ভর্তুকি। মোদী সেই ভর্তুকির তহবিল চুরি করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ঢুকিয়েছেন।
  • মে ২০২০ থেকে ২৯ কোটি এলপিজি গ্রাহক কোন ভর্তুকি পায়নি।
  • অতিমারীর পর্যায়ে মোদী সরকার গ্যাসের দামও কমায়নি, উপরন্তু সমস্ত জিনিসের দাম অগ্নিমূল্য করে দিয়েছে। অতিমারী অগুন্তি মানুষের রোজগার কেড়ে নিয়ে চরম দারিদ্রে নিক্ষিপ্ত করলেও মোদী সরকারের কোনও হেলদোল নেই। সমস্ত জিনিষের দাম এই আমলে এখন আকাশছোঁয়া।
  • গ্যাসের বাজার দর যখন ছিল ৮৮৫ টাকা, তখন ভর্তুকি মিলছিল ২৩৫ টাকা।
  • এই সময়ে মোদী সরকার বিনামূল্যে ১৪ কোটি ১০ লাখ দরিদ্রতম মানুষকে এলপিজি সিলিন্ডার দিয়েছিল। এই খাতে সরকারের খরচ হয়েছে ৯ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু তারপর ভর্তুকি বন্ধ করে দেয়।

ভারতবর্ষে মোট ২৯ কোটি এলপিজি গ্রাহকদের মধ্যে, কেন্দ্রীয় সরকারের হিসেবে ‘প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা’য় ৮ কোটি দরিদ্রতম মানুষকে এই প্রকল্পের আওতায় এনেছে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এই চরম দরিদ্র মানুষগুলি আর ভর্তুকি পাচ্ছেন না। ফলে বিপুল সংখ্যক মানুষ আবার রান্নার জন্য কাঠ, কয়লায় ফিরে গেছেন। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পেট্রোপণ্যের দাম কম থাকলেও এলপিজি’র দাম কমল না। কেন্দ্রীয় সরকার আলু, পেঁয়াজ, ডাল, ভোজ্য তেল ইত্যাদি নিত্য প্রয়োজনীয় তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার পর সমস্ত জিনিসপত্রের দাম হু-হু করে বাড়ছে। কিছুদিন আগে রাজ্যসভায় পেশ করা এক রিপোর্টে জানা গেল যে, গত একবছরে ভোজ্য তেলের দাম ৫২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

মোদী তার হাতেগোনা কর্পোরেট বন্ধুদের বিপুল কর ছাড় দিচ্ছে, কিন্তু সাধারণ মানুষের উপরে নামিয়ে এনেছে বিরাট হামলা।

আসন্ন ২৭ সেপ্টেম্বর ভারত বনধ্ সফল করে এই লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে যোগ্য জবাব দিতে হবে।

(তথ্যসূত্রঃ বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড)

- স্বপ্না চক্রবর্তী 

খণ্ড-28
সংখ্যা-33