মোদী সরকার এই অতিমারী সময়কে কাজে লাগিয়ে সবথেকে প্রয়োজনীয় রান্নার গ্যাসের মূল্য বার বার বৃদ্ধি করে এবং ভর্তুকি তুলে দিয়ে মোট ২০ হাজার কোটি টাকা আয় করেছে।
ভারতবর্ষে মোট ২৯ কোটি এলপিজি গ্রাহকদের মধ্যে, কেন্দ্রীয় সরকারের হিসেবে ‘প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা’য় ৮ কোটি দরিদ্রতম মানুষকে এই প্রকল্পের আওতায় এনেছে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এই চরম দরিদ্র মানুষগুলি আর ভর্তুকি পাচ্ছেন না। ফলে বিপুল সংখ্যক মানুষ আবার রান্নার জন্য কাঠ, কয়লায় ফিরে গেছেন। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পেট্রোপণ্যের দাম কম থাকলেও এলপিজি’র দাম কমল না। কেন্দ্রীয় সরকার আলু, পেঁয়াজ, ডাল, ভোজ্য তেল ইত্যাদি নিত্য প্রয়োজনীয় তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার পর সমস্ত জিনিসপত্রের দাম হু-হু করে বাড়ছে। কিছুদিন আগে রাজ্যসভায় পেশ করা এক রিপোর্টে জানা গেল যে, গত একবছরে ভোজ্য তেলের দাম ৫২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
মোদী তার হাতেগোনা কর্পোরেট বন্ধুদের বিপুল কর ছাড় দিচ্ছে, কিন্তু সাধারণ মানুষের উপরে নামিয়ে এনেছে বিরাট হামলা।
আসন্ন ২৭ সেপ্টেম্বর ভারত বনধ্ সফল করে এই লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে যোগ্য জবাব দিতে হবে।
(তথ্যসূত্রঃ বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড)
- স্বপ্না চক্রবর্তী