খবরা-খবর
হুগলির সুলেখা লজের নারী-বিরোধী আচরণের প্রতিবাদে কর্মসূচী
sr

গত ১০ জানুয়ারী হুগলির সুলেখা লজে ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে পরিচয় পত্র ও বিবাহের শংসাপত্র দেখানোর পরেও চিত্রশিল্পী তৌসিফ হক ও তাঁর স্ত্রী জয়ন্তী বিশ্বাসকে ঘর ভাড়া না দিয়ে হেনস্থা করা হয়। ঘটনার পরে সামাজিক সংগঠন এআইপিএফের তরফে একটি তথ্যানুসন্ধানী দল কয়েকদিন আগেই ঐ লজে যায়, হোটেলের মালিক ও ম্যানেজারের দেখা পাওয়া যায়নি। তাঁরা থানায় গেলে বলা হয় যে তৌসিফ ও জয়ন্তী নাকি স্রেফ পরিচয়পত্র দেখাতে না পারায় তাঁদেরকে ঐ লজ রুম দেয়নি। আজ ছাত্র সংগঠন আইসা, সারা ভারত প্রগতিশীল মহিলা সমিতি ও এআইপিএফের এক প্রতিনিধি দল চুঁচুড়া থানায় এর বিরুদ্ধে ডেপুটেশন দিয়ে দাবি জানায় যে, অবিলম্বে প্রকৃত ঘটনাকে গুরুত্ব সহকারে সামনে এনে ঐ লজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রথমে কিছুটা অগ্রাহ্যের সুরে কথা বললেও ভারপ্রাপ্ত অফিসার দীর্ঘক্ষণ কথা বলার পরে প্রতিবাদীদের সাথে সহমত হন ও আশ্বাস দেন যে তাঁরা কয়েকদিনের মধ্যেই ঘটনাটির দ্বিতীয়বার বিশদে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন এবং ফলাফল সংগঠনগুলোকে জানাবেন। এরপরে ঐ সংগঠনের সদস্যরা ক্রমান্বয়ে থানার সামনে, চুঁচুড়া ঘড়ির মোড়ে এবং উপরোক্ত সুলেখা লজের সামনেই প্রতিবাদে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখান। সংগঠনগুলোর তরফে বক্তব্য রাখেন আইসার হুগলি জেলা সম্পাদক সৌরভ রায়, প্রগতিশীল মহিলা সমিতির রাজ্য নেত্রী চৈতালী সেন ও মিতালী বিশ্বাস। ডেপুটেশনের প্রতিনিধিদলে এঁদের সাথে ছিলেন এআইপিএফের কল্যাণ সেন ও সনৎ রায় চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রাস্মিতা চৌধুরি, এআইপিএফের সংগঠক সুদর্শন বসু, যুব সংগঠক অতনু পাল, আইসার কর্মী রণজয়, ত্রিশিতা, সম্রাট, শ্রমিক সংগঠক গোপাল পাল, উত্তম পাত্র সহ আরো অনেকে।

খণ্ড-28
সংখ্যা-3