খবরা-খবর
হাওড়ায় পশ্চিমবঙ্গ গণ সংস্কৃতি পরিষদের ত্রাণ উদ্যোগ
rell

হাওড়া জেলার শেষ প্রান্তে ভাটোরা। ভৌগোলিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। রূপনারায়ন, মুন্ডেশ্বরী ও দামোদর নদী পরিবেষ্টিত ভাটোরা অপরদিকে তিনটি জেলার সন্নিহিত (হাওড়া, হুগলী ও পূর্ব মেদিনীপুর) অঞ্চল, পূর্ব দিকে রূপনারায়ন পাড়ে গুপিগঞ্জ (পূর্ব মেদিনীপুর) পশ্চিম দিকে দামোদর পেরিয়ে খানাকুল (হুগলী) আর উত্তরে মুন্ডেশ্বরীর কোলে ভাটোরা। আমতা-২ ব্লকের শেষ প্রান্তে কয়েক হাজার মানুষের বসবাস। জীবিকা বলতে মুলতঃ কৃষিকাজ, বিড়ি বাঁধা, সময় বিশেষে নদীতে মাছ ধরা। যাতায়াত ব্যবস্থা বলতে নৌকা/বাঁশের তৈরি ব্রীজ। বাজারহাট করতে গেলেও যেতে হবে বাকসী না হয় গুপীগঞ্জ। সাধারণ মানুষের আক্ষেপ এখানে কিছুই নেই, বন্যাপ্রবণ এলাকার মানুষের দাবি সড়কপথে হাওড়া ও মেদিনীপুরের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার। নেইএর রাজ্যে আছে তবু উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের স্কুল, চিকনানের দিকে একটি মাদ্রাসা আর পুলিশ চৌকি। আমরা উত্তর ভাটোরার দিকে গিয়েছিলাম। কুলিয়া বাস ষ্ট্যান্ডে (বিধ্বংসী সাইক্লোন আমফানে হাওড়া জেলার বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার অন্যতম এই অঞ্চলটি)। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুটি লাইন করে দুরত্ব বজায় রেখে ত্রাণ দেওয়া হয়। সর্বতোভাবে সহযোগিতা করে স্হানীয় ক্লাবের ছেলেরা। প্রায় একশ ষাটজন মতো মানুষের হাতে ত্রাণসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। কমরেড নিত্যানন্দ ঘোষ প্রথম প্যাকেটটি তুলে দেন। আইপোয়া ও পরিষদের কর্মীরা ছাড়াও বাগনানের এবং জেলা পার্টি নেতাদের অনেকে উপস্থিত ছিলেন। এলাকাবাসীর সাথে আগামী দিনে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।

খণ্ড-27