খবরা-খবর
হ্রাস পাচ্ছে রপ্তানি — বাড়ছে বাণিজ্য ঘাটতি
Declining exports

ফেব্রুয়ারি ২০২১-র পর  প্রথমবার এই অক্টোবরে ভারতের পণ্যরপ্তানি বেশ খানিকটা সংকুচিত হল। গত বছরের ১৬.৭ শতাংশ হার থেকে কমে (এবং ২০২২-র সেপ্টেম্বরের ১৬ শতাংশ থেকে) তা ৩০ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রগুলোই মন্থরতার শিকার : ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য সামগ্রি, ওষুধ পত্র ও কেমিক্যাল, এবং শ্রম-নিবিড় রত্নালঙ্কার, টেক্সটাইল ও হ্যান্ডলুম। উৎপাদন শিল্পের মধ্যে একমাত্র বৈদ্যুতিন ক্ষেত্রে রপ্তানি বেড়েছে। আমদানির হার ৫.৭ শতাংশ, ফলে দেশের বাণিজ্যিক ঘাটতি ৫০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে ও চওড়া হয়েছে; এখন দাঁড়িয়েছে ২৬.৯ বিলিয়ন ডলারে। এ নিয়ে পর পর চার মাস ধরে ২৫ বিলিয়ন ডলারের ও বেশি বাণিজ্যিক ঘাটতি চলছে, এই জুলাইয়ে যা ৩০ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ড ছুঁয়েছে। পেট্রোলিয়াম সহ অন্যান্য পণ্যের ক্ষেত্রে  আমদানিতে সামান্য হ্রাস বুঝিয়ে দেয় যে দেশীয় বাজারে চাহিদার ঘাটতি রয়েছে। গত বছর বাণিজ্যিক ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৯৪.২ বিলিয়ন ডলার, যা এ বছরে এসে দাঁড়িয়েছে ১৭৫ বিলিয়ন ডলার!  যত শীত এগিয়ে আসবে, ততই এনার্জি বা শক্তি মূল্যবৃদ্ধি লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়বে, ফলে বাণিজ্য ঘাটতিতে লাগাম টানা খুব কঠিন হয়ে পড়বে। আন্তর্জাতিক বাজারে ইস্পাতের রপ্তানি শুল্ক কমে যাওয়ায় অনেক বেশি আমদানি বেড়ে গেছে, বিপরীতে, ভীষণভাবে কমেছে ইঞ্জিনিয়ারিং সহ অন্যান্য পণ্যের রপ্তানি। টাকার দাম দিনের পর দিন কমে যাওয়ায় আমদানি অনেক ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে।

এই সংকটকে কিভাবে দিল্লি সামাল দেবে তা এখন দেখার।

খণ্ড-29
সংখ্যা-46