প্রতিবেদন
আদিবাসীদের বঞ্চনার কথা

এ রাজ্যের আদিবাসী সম্প্রদায় বিভিন্ন সময়ে তাদের উপর যে অর্থনৈতিক-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আক্রমণ নামিয়ে আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন। বামফ্রন্ট জমানার শেষ পাঁচ বছরে এ রাজ্যের পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়াতে তাদের ক্ষোভের গনগনে আঁচ উপলব্ধি করা গিয়েছিল মাওবাদীদের কার্যকলাপে আর কোবরা বাহিনীর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে।

আদিবাসীদের এই ক্ষোভকে তৃণমূল অত্যন্ত সুচতুরভাবে কাজে লাগিয়েছে ক্ষমতা পরিবর্তনের পালাবদলে। আদিবাসীদের সমস্ত ন্যায্য দাবিগুলিকে নস্যাৎ করে দিয়ে কিষেণজীকে হত্যা, বন্দী ছত্রধরকে মুক্তি না দেওয়া এবং পুলিশি সন্ত্রাস ও আধা সামরিক বাহিনীর উপস্থিতিতে ২ টাকা কিলো চাল বিলি, রাস্তাঘাট তৈরি ও কিছু বেকার যুবক-যুবতীদের সিভিক পুলিশে চাকরি ও তাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মদত দেওয়ার মাধ্যমে তাদের মন জয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কিন্তু বোঝা গেল যে তাদের মূল দাবিগুলোকে নস্যাৎ করে বা তাদের আর্থ-সামাজিক-সাংস্কৃতিক উন্নয়নে প্রকৃত উদ্যোগ না নিয়ে এবং জঙ্গলমহলে সরকারি টাকা ব্যাপক নয়ছয় ও দুর্নীতির মধ্য দিয়ে তৃণমূল সরকার আদিবাসী জনগণের মধ্যে এক বিপুল ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় কোথাও কোথাও আদিবাসীরা তাদের নিজস্ব সংগঠন করে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে ভালো ফল করেছেন। অন্যদিকে বিজেপি ঠিক আগের বারের তৃণমূলের মতই তাদের ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে আদিবাসীদের মধ্যে ভালো প্রভাব বিস্তার করেছে।

এখন জঙ্গলমহলে আদিবাসীদের উন্নয়ন বনাম বঞ্চনার বহুমুখী দিক থাকলেও সংগ্রামী বামপন্থীদের প্রাথমিকভাবে মূল বিষয়গুলির উপর নজর দেওয়া দরকার। ভারত সরকারের ২০১৭-১৮ সালের বার্ষিক রিপোর্ট অনুযায়ী ২০০৯-১০ সালে গ্রামীণ আদিবাসী জনগণের ৩২.৯ শতাংশ ছিল দারিদ্রসীমার নিচে, আর ২০১১-১২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫০.১ শতাংশে। এই চিত্রটি নিশ্চিতভাবে বলা যায় এখনও খুব একটা বদলায়নি। ২০০১ সালের বিশ্ব ব্যাঙ্কের দেওয়া (ডব্লিউবিএডিএমআই প্রজেক্ট—ট্রাইবাল ডেভলপমেন্ট প্ল্যান—ফাইনাল রিপোর্ট) একটি তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে কৃষিজীবী আদিবাসী পুরুলিয়ায় ৩২ শতাংশ, বাঁকুড়ায় ৩২ শতাংশ, মেদিনীপুরে ১৮ শতাংশ, জলপাইগুড়িতে ১৫ শতাংশ, উত্তর দিনাজপুরে ২১ শতাংশ, বীরভূমে ২০ শতাংশ এবং বর্ধমানে ৭ শতাংশ। এই তথ্য থেকে যেটা স্পষ্ট হয়ে বেরিয়ে আসছে যে আদিবাসীদের অধিকাংশের হাতে চাষযোগ্য কোন জমি নেই, ফলে তারা কৃষি শ্রমিক বা অন্য ধরনের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। ২০১১ সালের গণনা অনুযায়ী আদিবাসী মহিলাদের সাক্ষরতার হার ৪৭.৭ শতাংশ—যা তাদের আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অবস্থাকে স্পষ্ট করে দেখিয়ে দেয়।

এ প্রসঙ্গে বলা যায় যে, ঔপনিবেশিক ভারতবর্ষে, এমনকি স্বাধীন ভারতবর্ষেও আদিবাসী ও অন্য চিরাচরিত বনবাসীরা যারা দেশের বনাঞ্চলে পুরুষানুক্রমে ভোগদখল ও বসবাস করেছে সেই অধিকার এবং তারা যে বনের ও তার পরিবেশ রক্ষায় ও টিকিয়ে রাখার অবিচ্ছেদ্য অংশ তাকে ঐতিহাসিকভাবে অস্বীকার করা হয়েছে।

বহু সংগঠন ও মানুষের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফসল হিসাবে ২০০৬ সালের ২০ ডিসেম্বর জম্মু ও কাশ্মীর বাদে সারা দেশের জন্য লাগু হয় ‘’তপশিলী উপজাতি এবং অন্য চিরাচরিত বনবাসী (বন অধিকার মান্যতা) আইন’’, যা কিনা আদিবাসী ও অন্য চিরাচরিত বনবাসীদের এই দীর্ঘ বঞ্চনা ঘটাতে ও যাদের উন্নয়নের নামে বনাঞ্চল থেকে উচ্ছেদ  করা হয়েছে তাদেরও অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করতে সহায়তা করবে।

এই আইনটি বিগত বামফ্রন্ট সরকার আদৌ প্রয়োগ করেনি এবং দু:খের ব্যাপার হল কয়েকটি ছোটখাট উদ্যোগ ব্যতীত সিভিল সোসাইটি, বামপন্থী ও অন্য রাজনৈতিক দল বা বিদ্ব্যৎজ্জন কেউ এটাকে নিয়ে চর্চা বা আন্দোলনে বিশেষ কোন উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে এই আইনটি আলোচনা করা ও তার প্রয়োগ এ রাজ্যে কতটুকু হয়েছে তাও দেখে নেওয়া দরকার।

এই আইন বলে আদিবাসী বা চিরাচরিত বনবাসীরা যে সমস্ত অধিকার অর্জন করেছে তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল—(১) বনাঞ্চলে বসবাস ও চাষবাসের অধিকার ব্যক্তিগত বা যৌথভাবে, (২) বনাঞ্চলে সমস্ত ধরনের নিম্ন বনজ সম্পদের সংগ্রহ, ব্যবহার ও বিক্রির অধিকার, (৩) গোচারণের জমি, জলজ সম্পদ (যথা মাছ), জলাধার ইত্যাদির উপর অধিকার, (৪) বনাঞ্চলের জমির উপর (পাট্টা, লীজ, বা অন্য ভাবে পাওয়া বা ভোগ করা জমি) আইনি মালিকানার অধিকার। (৫) রেকর্ডভুক্ত বা নোটিশভুক্ত হোক না হোক—সমস্ত ধরনের বনগ্রামকে ফরেস্ট ভিলেজ, পুরানো বাসভূমি, সমীক্ষা বহির্ভূত গ্রাম ও অন্য সব ধরনের গ্রামকে ‘রাজস্ব গ্রামে (রেভিনিউ ভিলেজ) পরিবর্তন করতে হবে। এতে সুবিধা হল যে সরকারের সমস্ত ধরনের উন্নয়নের কাজ এখন এই সব গ্রামে করতে হবে।

এখানে বনাঞ্চল বলতে সরকারি রেকর্ডে যে জমি বনাঞ্চল বলে আছে তাকেই ধরতে হবে। রিজার্ভ ফরেস্ট, প্রোটেকটেড ফরেস্ট, স্যাংচুয়ারি, ন্যাশনাল পার্ক, বন্যপ্রাণী স্যাংচুয়ারি, ব্যাঘ্র সুরক্ষিত বনাঞ্চল সহ শ্রেণী বা সীমানা নির্দিষ্ট নয় এমন সমস্ত ধরনের বনাঞ্চলে এই আইন প্রযোজ্য।

আদিবাসীদের জমির অধিকার প্রতিষ্ঠা করার পদ্ধতি

প্রতিটি গ্রামে সাধারণ গ্রামসভা ডাকতে হবে। ন্যূনতম ৫০ শতাংশ প্রাপ্ত বয়স্ক গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে ১০ থেকে ১৫ জনের একটি ‘বন অধিকার কমিটি’ করতে হবে। এই ‘বন অধিকার কমিটি’তে অন্তত ৩ ভাগের ২ ভাগ সদস্যদের আদিবাসী হতে হবে এবং ৩ ভাগের ১ ভাগ হবেন মহিলা সদস্য। এদের মধ্য থেকে একজন কমিটির সভাপতি ও একজন সচিব হবেন।

এই বন অধিকার কমিটি গ্রাম সভার হয়ে বনের অধিকার সংক্রান্ত সমস্ত আবেদন (ব্যক্তিগত ও যৌথ) গ্রহণ করবে এবং তা একটি রেজিষ্ট্রারে নথিভুক্ত করবে। তারপর আবেদন অনুযায়ী ম্যাপ তৈরি করবে, কাগজপত্র পরীক্ষা করবে এবং গৃহীত সিদ্ধান্ত সমূহ গ্রাম সভায় পেশ করবে। গ্রাম সভা যে সমস্ত সিদ্ধান্ত পাশ করবে সেইগুলি ‘বন অধিকার কমিটি’ তার উপরের কমিটি ‘সাব ডিভিশনাল কমিটি’তে পাঠিয়ে দেবে। সাব ডিভিশনাল কমিটি আবার তা পরীক্ষা করে ‘ডিস্ট্রিক লেভেল কমিটি’তে পাঠাবে এবং এই কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। মহকুমা স্তরের কমিটি ও জেলা স্তরের কমিটি রাজ্য সরকার তৈরী করে দেয়। কিন্তু এখানে উল্লেখ করা বিশেষ দরকার যে ‘বন অধিকার কমিটি’ তৈরী হবে গ্রাম সভায়, গ্রামবাসীদের উপস্থিতিতে, গ্রামবাসীদের দ্বারা এবং তা হবে একেবারেই গ্রাম ভিত্তিক। এই কমিটিতে কোন সরকারি কর্মচারি, পঞ্চায়েত কর্মচারি (গ্রাম পঞ্চায়েতের সচিব বাদে) বা পঞ্চায়েত, বিধানসভা, লোকসভার কোন সদস্য পদাধিকার বলে এই কমিটিতে থাকতে পারবেন না।

এছাড়া এটাও উল্লেখ করা দরকার ‘তপশিলি উপজাতি এবং অন্য চিরাচরিত বনবাসী (বন অধিকার মান্যতা) রুল’, ২০১২-এর ১০নং ধারায় পরিষ্কার বলে দেওয়া আছে যে, গ্রাম সভা বা ‘বন অধিকার কমিটি’ ছাড়া ব্লক, পঞ্চায়েত অফিস কিংবা ফরেস্ট রেঞ্জ বা বিট অফিস বা তার অফিসারদের বন অধিকার সংক্রান্ত কোন আবেদন গ্রহণ করা, বাতিল করা বা সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নেই।

বনের অধিকার (ব্যক্তিগত ও যৌথ) প্রতিষ্ঠা করার জন্য যে কোন দুই ধরনের প্রমাণপত্র যথেষ্ট। প্রমাণপত্র কি কি হতে পারে তার একটি বিবরণ রুল, ২০১২-এর ১৩নং ধারায় বিস্তৃতভাবে বলা আছে। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, চিরাচরিত বনবাসীদের প্রমাণ করতে হয় যে তারা ২০০৫ সালের আগে অন্তত ৭৫ বছর ধরে বনাঞ্চলে বসবাস করছে বা তার অধিকার ভোগ করে আসছে, এটা প্রমাণ করা বেশ কঠিন। তবে তারা ব্যক্তিগতভাবে না করে যদি যৌথভাবে তারা ঐ বনাঞ্চলে আছেন বা তার অধিকার ভোগ করে আছেন প্রমাণ করতে পারলে ব্যক্তিগতভাবেও তা প্রমাণিত বলে গণ্য করা হবে। আর প্রয়োজনীয় পুরানো সরকারি বিভিন্ন ধরনের রেকর্ড ভূমি রাজস্ব বা বন দপ্তরের কাছে আছে। গ্রাম সভা বা বন অধিকার কমিটি প্রয়োজনে সেগুলি চাইতে পারে এবং সেইসব রেকর্ড ওই দুই দপ্তর বা অন্য দপ্তরে তা পেশ করতে হবে।

এই আইনটির আলোচনা থেকে এটা বেরিয়ে আসে যে, আদিবাসী ও চিরচারিত বনবাসীরা বনাঞ্চলে ব্যক্তিগত ও যৌথভাবে জমির অধিকার এবং বনজ দ্রব্য ব্যবহারের অধিকার পাবে কি পাবে না তা প্রায় পুরোটাই নির্ভর করছে সরকারের সদিচ্ছা ও আন্তরিক প্রচেষ্টার ওপর।

বামফ্রন্ট সরকারের আমলে এই আইনটি লাগু হলেও একে প্রয়োগে নিয়ে আসা তাদের সদিচ্ছা বা আন্তরিক প্রচেষ্টা কোনটাই ছিল না। তাই বামফ্রন্ট ‘গ্রাম সভা’র বদলে ‘গ্রাম সংসদ’ অনুযায়ী বন অধিকার কমিটি তৈরি করেছিল। বন অধিকার কমিটির পাশাপাশি ‘বনরক্ষা কমিটি’ তৈরি করেছিল। কমিটির এই নামকরণের মধ্য দিয়েই পরিষ্কার হয়ে যায় যে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার আদলে আদিবাসী বা চিরাচরিত বনবাসীদের ‘অধিকার’ প্রতিষ্ঠার বদলে আদিবাসী বনশত্রু বানিয়ে ‘বনরক্ষা’ করার কমিটির মাধ্যমে ঐতিহাসিক শোষণের পরম্পরা রক্ষাই তাদের অ্যাজেণ্ডা ছিল।

বর্তমানে তৃণমূল সরকারও বামফ্রন্টের প্রদর্শিত পথেই বনাঞ্চলে বনদপ্তরের জমিদারি ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখা ও বনজ সম্পদ লুঠপাটের মাধ্যমে আদিবাসীদের বঞ্চিত করার লক্ষ্যে গ্রাম ভিত্তিক না করে গ্রাম সংসদ স্তরে যে বন অধিকার কমিটি গড়েছে তাতে পঞ্চায়েত সদস্য, বন দপ্তরের লোক, ভূমি ও রাজস্ব দপ্তরের লোকদের অন্তর্ভুক্ত করেছে। আবার তথাকথিত ‘বনরক্ষা কমিটি’ বনজ দ্রব্য পুরোপুরি আদিবাসী বা চিরচারিত বনবাসীদের ভোগদখল ও ব্যবহার করার বিপরীতে তা সংগ্রহ ও বিক্রি করে তাদের সামান্য এক শতাংশ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। অথচ জমির অধিকার ছাড়াও বনাধিকার আইন অনুযায়ী বনজদ্রব্য সংগ্রহ, ব্যবহার, ভাগ করা ও তা বিক্রি করার অধিকার এখন তপশিলী আদিবাসী ও অন্য চিরাচরিত বনবাসীদের বা তাদের গ্রাম সভার আছে। এই অধিকার এখন আর বন দপ্তরের নেই।

সবশেষ দেখা যাক বন অধিকার আইন অনুযায়ী বনাঞ্চলের অধিকার আদিবাসী বা অন্য চিরাচরিত বনবাসীরা বিগত ১২ বছরে কতটুকু পেয়েছেন। ভারত সরকারের আদিবাসী দপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী যৌথ বনাধিকার (কমিউনিটি ফরেস্ট রাইট)-এর জন্য এ রাজ্যে ৩১ এপ্রিল ২০১৮ পর্যন্ত ১০,১১৯টি আবেদন জমা পড়েছে যার মধ্যে মাত্র ৬৮৬টি অর্থাৎ ৬.৭ শতাংশ আবেদন গ্রাহ্য হয়েছে এবং ৫৭২ একর জমির অধিকার দেওয়া হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে জমির অধিকারের জন্য মোট ১,৩১,৯৬২টি আবেদন জমা পড়েছে যার মধ্যে ৪৪,৪৪৪টি আবেদন অর্থাৎ ৩৩.৫ শতাংশ গ্রাহ্য হয়েছে এবং ২০,০১৪ একর জমির অধিকার দেওয়া হয়েছে। ব্যক্তিগত ও যৌথভাবে মোট ২০,৫৮৬ একর জমির অধিকার আদিবাসী ও অন্য চিরাচরিত বনবাসীদের দেওয়া হয়েছে। অথচ অক্সফ্যাম ইণ্ডিয়া সহ বিভিন্ন সংগঠনের হিসাবে ব্যক্তিগত ও যৌথভাবে আদিবাসী ও অন্যান্য বনবাসীদের যে পরিমাণ জমির অধিকার দেওয়া যায় তা ৫ লক্ষ হেক্টর থেকে ১০ লক্ষ হেক্টরের মধ্যে হবে।

তার মানে যে বিপুল পরিমাণ জমি থেকে এই সব প্রান্তিক মানুষদের বঞ্চিত করা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে যদি প্রচার ও আন্দোলন গড়ে তোলা যায় তা আসলে আদিবাসী ও চিরাচরিত বনবাসীদের জমির অধিকারের লড়াইয়ে পরিণত হবে।

ভিক্ষা নয়, আদিবাসী ও অন্য বনবাসীদের জমি ও জঙ্গলের ন্যায্য অধিকারের দাবিকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

খণ্ড-25
সংখ্যা-32