প্রতিবেদন
চিকিৎসক রোগী সংঘর্ষের উৎস সন্ধানে
(আমন্ত্রিত লেখা। মতামত
লেখকের নিজস্ব – সম্পাদকমণ্ডলী)

বর্তমানে সারাদেশের মত এই রাজ্যেও সামাজিক অস্থিরতা এবং আইন শৃঙ্খলার দারুণ অবনতি সংক্রমণের মত আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গে ছড়িয়ে পড়েছে। দলিত সংখ্যালঘু ও প্রান্তিক মানুষজনের উপর সম্পন্ন ও প্রভাবশালীদের অত্যাচার, রাজনৈতিক দলগুলির গোষ্ঠী সংঘর্ষ বা নিজেদের মধ্যে এলাকা দখলের লড়াইতে সাধারণ নিচু তলার মানুষদের প্রাণহানি, নানা ধর্মীয় প্ররোচনায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, তোলাবাজি, অগ্নিসংযোগ বা রাজনৈতিক মদতপুষ্ট পার্টির ক্যাডারদের তান্ডব আজ দৈনন্দিন কাহিনী হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গত দেড়-দুবছর ধরে এর সাথে যুক্ত হয়েছে রোগীর আত্মীয়স্বজন এমনকি অসম্পর্কিত জনতার চিকিৎসকদের উপর যুথবদ্ধ আক্রমণ এবং প্রহারের ঘটনা।

কর্পোরেট হাসপাতাল, সরকারি হাসপাতাল থেকে স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ছোটোও মাঝারি নার্সিংহোমগুলোর উপর লাগাতার হামলা। প্রায় সব ক্ষেত্রেই আপাত কারণ হল অবহেলা বা ভুল চিকিৎসার কারণে রোগীর মুত্যু। অর্ধসত্য অর্ধমিথ্যা এইসব অভিযোগ এবং উত্তেজনার পিছনে যা উপস্থিত থাকে তা হল, সরকারি হাসপাতালের ক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা, অবহেলা, চিকিৎসকের অনুপস্থিতি, স্বাস্থ্যকর্মীদের দুর্ব্যবহার এবং হাসপাতাল চত্বরে বহির্বিভাগে দেখানো, পরীক্ষা নিরীক্ষা, ভর্তি হওয়া নিয়ে সর্বভুতে বিরাজমান উৎকোচ বা ঘুষতন্ত্র। দালালরাজ আর বেসরকারি কর্পোরেট হাসপাতালের ক্ষেত্রে আর্থিক দুর্নীতি। অস্বাভাবিকভাবে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে তোলা খরচাপাতি এবং বহুক্ষেত্রেই চিকিৎসকের দ্বারা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে হাত মিলিয়ে অপ্রয়োজনীয় রোগী ভর্তি, অহেতুক দামী ঔষধ এবং পরীক্ষানিরীক্ষার ব্যবহার এবং অপ্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচার। এই সমাজ ব্যবস্থাতে রোগীকে একজন আর্ত হিসাবে না দেখে একটি সংখ্যা বা পণ্য হিসাবে দেখার ক্রমবর্ধমান প্রবণতা। বহু ক্ষেত্রেই অভিযোগ ওঠে অস্ত্রোপচারের পর রোগীকে ভালোভাবে না দেখা অথবা মৃতপ্রায় রোগীকে আত্মীয়দের ঠিকমত না জানিয়েই ভেন্টিলেটর নামক কৃত্রিম শ্বাস প্রশ্বাসের যন্ত্রে চাপিয়ে রাখা। ফলে হাসপাতালের মিটার চড়তে থাকে দ্রুতবেগে। মুনাফা ফুলে ফেঁপে ওঠে, যার ভাগ পাবে বড় বড় চিকিৎসকরাও। বিগত বামফ্রন্ট জামানার ৮০’-৯০’-এর দশক থেকে এই রাজ্য দ্রুতবেগে চিকিৎসা পরিসেবার বানিজ্যিকীকরন শুরু হয় সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায়। তাতে কুলোর বাতাস দিতে থাকে সংগ্রামের হাতিয়ার বামফ্রন্ট সরকার। সরকারি নিরাময় ক্লিনিক বা কে এস রায় সরকারি যক্ষা হাসপাতালের জমি বেসরকারি সংস্থার হাতে প্রায় বিনা পয়সাতে তুলে দেওয়া থেকে আরম্ভ করে বাইপাশের দুধারে কর্পোরেট স্বাস্থ্য ব্যবসায়ীদের অত্যন্ত কম দামে এবং বিপুল কর ছাড়ে পাঁচতারা হাসপাতাল গড়ে তুলতে বামফ্রন্ট সরকার যথাসাধ্য করেছে। নামকা ওয়াস্তে কিছু শয্যা “গরিব মানুষদের জন্য” সংরক্ষিত বলে দাবি করলেও গত ত্রিশ বছরে সত্যিই কজন গরিব সাধারণ মানুষ এর সুযোগ পেয়েছেন তা প্রশাসনের উচ্চতম স্তরেও নাকি অজানা। বছর দুই আগে স্বাস্থ্য অধিকর্তা জানান যে এই বিষয়ে সরকারের সঙ্গে বেসরকারি হাসপাতালগুলির সমস্ত চুক্তিপত্র স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে উধাও হয়ে গেছে।

এর পাশাপাশি চলতে থাকে সরকারী হাসপাতালগুলির অন্তর্জলীযাত্রা। চূড়ান্ত অব্যবস্থা, স্বজনপোষণ আর দুর্নীতির নাগপাশে আর ‘পার্টির’ সর্বময় কর্তৃত্বে হাসপাতালগুলি নরক হয়ে দাঁড়ায়। চিকিৎসক এবং অকিচিকিৎসক কর্মচারীদের মধ্যে যারা পার্টি ঘনিষ্ঠ তাদের অঙ্গুলি হেলনেই স্বাস্থ্যদপ্তর চলতে থাকে। চাকরিতে পদোন্নতি, বদলি থেকে আরম্ভ করে স্নাতকোত্তরে সুযোগ পাওয়ার তালিকাও আলিমুদ্দিন থেকে অনুমোদিত হয়ে আসতে হত। স্বাস্থ্য দপ্তরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে বাস্তুঘুঘুর বাসা আর চিকিৎসাপ্রার্থী আর্ত মানুষের দীর্ঘশ্বাসে সরকারি হাসপাতালগুলি ভরে থাকত। মনে পড়ে একটি কোটি কোটি টাকার হাসপাতাল উদ্বোধনের সময় তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রীর ঐতিহাসিক উক্তি, “সরকারি হাসপাতালে সকলের ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। বেসরকারি হাসপাতালে আমরা ভর্তুকি দিয়েছি। দু-চারটে বিনাপয়সায় বিছানা করে রেখেছি। ওখানে ভালো চিকিৎসা হয়। ঐখানে চলে যান”। ভাগ্যের পরিহাসে বয়োবৃদ্ধ মুখ্যমন্ত্রীর ঐ হাসপাতালেই মৃত্যু হয় সংক্রমণে।

এই ভাবে বামফ্রন্ট আমলের শেষে যেটা পড়েছিল সেটা সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার চিতাভস্ম এবং বেসরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জোয়ার। এই বিষয়টা রাজ্যের রোগী ও তাদের পরিজনেরা হাড়েহাড়ে জানেন।

এরপরে ২০১১ সালে এই বহু প্রতীক্ষিত পরিবর্তন। মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং স্বাস্থ্য বিভাগের দাযিত্ব নিলেন এবং প্রথম দফাতেই পরিষেবা উন্নয়নের জন্যে নানা সরকারি হাসপাতালে স্বয়ং হাজির হলেন। সোনার বাংলা গড়ার ডাক অধিকাংশ মানুষ বিশ্বাস করেছিলেন। সেই পরিবর্তনের ৭ বছর কেটে গেছে। এখন আর “নতুন সরকারকে আরো সময় দিতে হবে” এই অজুহাত চলে না।

গণস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে তিনটি পক্ষ থাকে -পরিষেবা প্রদানকারী বা সার্ভিস প্রোভাইডার, পরিষেবা গ্রহণকারী বা সার্ভিস রিসেপ্টর এবং রাষ্ট্র বা স্টেট। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো পুঁজিবাদের পিতৃভূমিতেও নির্বাচিত সরকার জনস্বাস্থ্য এবং গরিব অসুস্থ মানুষের চিকিৎসার দাবিকে পুরোপুরি খারিজ করতে পারে না। জনকল্যাণের একটি সুদৃশ্য মুখোশ তাদের ধারণ করতেই হয়। সেই জন্যে রিপাবলিকান সেনেটের বিপুল প্রতিবাদ সত্বেও প্রায় এক-চতুর্থাংশ নাগরিকের জন্যে চালু করা হয়েছিল “ওবামা কেয়ার।” চরম দক্ষিণপন্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প মসনদে অধিষ্ঠিত হয়ে বহু হুঙ্কার ছেড়েও তা পুরোপুরি খারিজ করতে পারেননি।

এবার এলো ‘দিদি কেয়ার’ এর কাহিনী। উদ্দেশ্য মহৎ কিন্তু বাস্তব জ্ঞান বর্জিত। পশ্চিমবঙ্গের সাড়ে নয় কোটি মানুষের সকলের জন্যে আধাখ্যাঁচড়া ভাবে, ধনী দরিদ্র নির্বিশেষে উপযুক্ত পরিকাঠামো না গড়ে তুলেই সম্পূর্ণ বিনা পয়সায় সকলের জন্যে বিনামূল্যের সরকারি চিকিৎসা ঘোষণা করা হয়। এর পাশাপাশি পশ্চাৎপদ উন্নয়ন তহবিলের তাকে প্রায় ৩০টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল গড়ে তোলা।

একথা অনস্বীকার্য যে সরকারি হাসপাতালগুলিতে যন্ত্রপাতি প্রভৃতির জন্যে বিপুল পরিমান টাকা লগ্নি করা হয়েছে। অন্দরবিভাগ ও বহির্বিভাগের ওষুধের তালিকা অনেক উন্নত হয়েছে। নবগঠিত হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের সাহায্যে স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ চলছে। কিন্তু সরকারি চিকিৎসকের প্রচুর অভাব। বেসরকারী হাসপাতালগুলিতে কাজকর্মের সুবিধা, উচ্চ বেতন ও কমিশনের হাতছানিতে সদ্য পাস করা চিকিৎসকেরা পরিকাঠামোহীন সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যেতে চাইছেন না। ২০০০ থেকে ৩০০০ চিকিৎসকের শূন্যপদ পূরণের জন্যে সাক্ষাৎকার নিয়ে এক চতুর্থাংশ চিকিৎসক পাওয়া যাচ্ছে না। পরিকাঠামোবিহীনতার দায় এসে পড়ছে চিকিৎসকের ওপর কারণ তারাই জনগণের সামনে উপস্থিত এবং জনগণের প্রয়োজনীয় পরিষেবা না পাওয়া জনিত ক্ষোভের সহজ লক্ষ্য। পশ্চিমবঙ্গে কর্মরত প্রায় ৭০,০০০ চিকিৎসকের মধ্যে সরকারি চাকরিতে আছেন মাত্র হাজার দশেক। এদের অনেকেই আবার সরাসরি রোগীর চিকিৎসায় যুক্ত নন। ফলে আমাদের রাজ্যে সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্র নিয়ে প্রতি ১৩০০ মানুষে ১ জন চিকিৎসক—মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, অন্ধ্র, কর্ণাটক প্রভৃতি রাজ্যের চেয়ে অনেকটাই নিচে। গ্রামাঞ্চলে এই ডাক্তারের সংখ্যা ৪৭০০ মানুষের জন্যে ১ জন। সরকারি চিকিৎসক প্রতি ১০০০০-র জন্যে ১ জন। চিকিৎসকদের ওপর লাগাতার হামলার কারণে বা বেতন অত্যাধিক কম হওয়া অথবা সরকার উচ্চশিক্ষার পথ রুদ্ধ করায় অনেকেই চাকরি ছাড়ার জন্যে মুখিয়ে আছেন।

অবশ্য সরকারি ডাক্তারদের গুনের ঘাটতি নেই। সরকারি ডাক্তারদের শতকরা ৯০ ভাগের বেশি ভয়ে হোক ভক্তিতে হোক, সরকারী দলের পোষিত চিকিৎসক সংগঠনের সদস্য ছিলেন এবং নিয়মিত মাসিক প্রণামী ধরে দিতেন। বিশেষ বিশেষ বড় ডাক্তার বাবুরা হাসপাতালে বুড়ি ছুঁয়ে যাতে নির্বিরোধে নিজস্ব চেম্বারে অর্থের বিনিময়ে সমাজসেবা চালিয়ে যেতে পারেন এবং এই শর্তে উর্বর ক্ষেত্র থেকে বদলি না হন, সেই জন্যে তারা স্বাস্থ্যভবনে অধিষ্ঠিত সংগঠনের নেতৃবৃন্দের হাতে মোটা খাম তুলে দিতেন। পদোন্নতি, নানা কমিটিতে স্থানলাভ ও জ্ঞানার্জনের নামে ঔষধ বা পেসমেকার সংস্থার অর্থানুকূল্যে বিদেশ ভ্রমণের অনুমতি, বছরের পর বছর পছন্দের হাসপাতালে স্থানু হয়ে থাকা—এই সবই যে প্রভাব এবং রজত মুদ্রায় ক্রয় করতে হয়, তা সর্বজনগ্রাহ্য ও সর্বজনমান্য বিষয় হয়ে গিয়েছিল, সেই ট্রাডিশন এখনো চলছে।

স্বাস্থ্য দফতর এবং রোগীদের অভিযোগ সরকারি ডাক্তাররা ঠিকমতো ডিউটি করেন না। হাসপাতালে কোনোরকমে হাজিরা করেই নার্সিং হোম বা চেম্বারে চলে যান। হাসপাতালে অস্ত্রোপচার না করে দালালদের মাধ্যমে রোগীদের প্রভাবিত করেন বাইরের নার্সিং হোমে অস্ত্রোপচার করাতে, ওষুধ কোম্পানি এবং রোগনির্ণয় কেন্দ্র থেকে অর্থে বা জিনিসপত্রের মাধ্যমে উপহার (উৎকোচ!) গ্রহণ করেন ইত্যাদি।

সরকার বাহাদুরও উপযুক্ত পরিকাঠামো না গড়ে সকলের জন্যে বিনামূল্যে সকলের জন্যে চিকিৎসা ঘোষণা করেছেন মূলত ভোটার রাজনীতির দিকে চোখ রেখে। একটি বিরাট ঊষর প্রান্তরে দুতিনটি নলকূপের ব্যবস্থা করে সকলের জন্যে অঢেল জলদানের অঙ্গীকার করার মতো ব্যাপার হয়েছে। ফলে এই সামাজিক ব্যাধির প্রকৃত রোগ নির্ণয় না করে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ডাক্তারদের নিরাপত্তার জন্যে ৫০০০ লাঠিধারী সিভিক ভলেন্টিয়ার কেন,কয়েক প্লেটুন সামরিক বা আধাসামরিক জওয়ান প্রতিটি হাসপাতালে প্রতিষ্ঠা করলেও এই বিতন্ডা বা সংঘর্ষ থামবে না। চিকিৎসকদের আরো অভিযোগ যে সরকারি ডাক্তারদের নিরাপত্তা দেয়া দূরে থাক, বিভিন্ন ক্ষেত্রে শাসকদলের স্থানীয় নেতানেত্রীরা এই গণপিটুনি এবং মবক্রেসি-র প্রধান পরামর্শদাতা ও চালিকা শক্তি। চিকিৎসকদের নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যে, ক্ষেত্র বিশেষে তাদের কাছ থেকে পার্টির চাঁদা আদায়ের জন্যে, পুরোনো কোনোা বিবাদের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্যে, হাসপাতালের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রভাব বজায় রাখতে নানা পথে অর্থ সংগ্রহের জন্যে অথবা স্রেফ দাদাগিরি দেখিয়ে এলাকায় প্রভাব বাড়ানোর উদ্দেশ্যে (অর্থাৎ হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য কেন্দ্র যেতে হলে আমার মাধ্যমেই যেতে হবে) এইসব তান্ডবের পেছনে প্রধান কারণ। তাছাড়া চিকিৎসকদের আর্থিক সমৃদ্ধির কারণেও সামাজিক অসূয়া চিকিৎসক নিগ্রহের পেছনে অন্যতম উপাদান বলে বহু চিকিৎসক মনে করেন।শাসকদলের বিরোধী চিকিৎসক সংগঠনগুলির নেতারা বা সংবাদপত্রে সামাজিক মাধ্যমে মতপ্রকাশ করেছেন যে এইসব জনরোষের পেছনে রোগীর পরিজনেরা যতটা থাকেন তার চেয়ে বেশি থাকেন বহিরাগত ও স্থানীয় বাহুবলীরা, অবশ্য হুজ্জতি, হামলা ও ভাঙচুরের মধ্যে হাসপাতালে কারা প্রবেশাধিকারী আর কারা বহিরাগত তার কোনো বিশ্বাসযোগ্য শুমারি কখনো হয়েছে বলে শুনিনি। চিকিৎসকদের ক্ষোভ চাপা দিতে কখনো কখনো পুলিশি তদন্ত ও গ্রেফতারির ফলাফল শেষপর্যন্ত কি হয়েছে তাও জানা যায়নি।

আলোচনা হল সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে। পরবর্তী অধ্যায়ে আসবে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে ওঠা বেসরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থা-পাড়ার নার্সিং হোম থেকে কর্পোরেট হাসপাতালের কাহিনী। প্রায় প্রতিমাসেই ভুল চিকিৎসায় রোগীমৃত্যু, অবহেলা, রোগীকে দিনের পর দিন ফেলে রেখে বিল বাড়ানো, দুর্ব্যবহার খচিত রক্তচোষা ব্যবস্থা সম্পর্কে। জনগণের অবরুদ্ধ হতাশা ও ক্ষোভের অনেকটার জন্যেই দায়ী এইসব প্রতিষ্ঠানগুলি।

সে বিষয়ে বিস্তারিত চর্চা পরের কোনো সংখ্যায় করা যাবে।

খণ্ড-25
সংখ্যা-32