খবরা-খবর
ঝাড়খণ্ডের কোডারমায় কনভেনশন

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে কোডারমা লোকসভা কেন্দ্রে কর্মীদের সমাবেশিত করার লক্ষ্যে গত ৯ সেপ্টেম্বর জামুয়া গান্ধি ময়দানে এক কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। কোডারমা লোকসভা কেন্দ্রে ৬টি বিধানভা ক্ষেত্র রয়েছে—কোডারমা, বরাকাট্টা, বগোদর, রাজধানোয়ার, জামুয়া ও গাণ্ডে। এই ছটি ক্ষেত্র থেকেই ১০০০-এরও বেশি কর্মী কনভেনশনে যোগ দেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন সিপিআই(এমএল) পলিটব্যুরো সদস্য এবং কোডারমা লোকসভা কেন্দ্রের দায়িত্বশীল কমরেড মনোজ ভক্ত। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক বিনোদ সিং, রাজধানোয়ারের বিধায়ক রাজকুমার যাদব, জেলা কাউন্সিলের সদস্যবৃন্দ এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

কনভেনশনের প্রধান বক্তা সিপিআই(এমএল) সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, সরকার আজ এমন সমস্ত শক্তির সঙ্গে যোগসাজশ করছে যারা দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে উদ্যত। স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন সংবিধানের প্রতিলিপি পোড়ানো হচ্ছে আর সরকার নীরব দর্শক হয়ে থাকছে। সংসদের ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে ছাত্র নেতা উমর খলিদকে গুলি করার চেষ্টা হচ্ছে এবং আততায়ীরা একটা ভিডিও-তে তা নিয়ে দম্ভও করছে, কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। পার্টির দশম কংগ্রেসে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে লড়ার সিদ্ধান্তের কথা কনভেনশনে তিনি পুনরায় ঘোষণা করেন। তিনি কোডারমার কর্মীদের স্মরণ করিয়ে দেন, ২০১৪ সালে কোডারমা প্রাণপণ শক্তি দিয়ে লড়েছিল এবং মোদী হাওয়া সত্ত্বেও কোডারমা আসনে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছেছিল। তিন এই আশা ব্যক্ত করেন যে, জনগণের কাছে বিজেপির দরিদ্র-বিরোধী এবং জনবিরোধী স্বরূপকে উন্মোচিত হয়ে গেছে এবং ২০১৯-এর নির্বাচনে বিজেপিকে পরাস্ত করে কোডারমা আসনে সিপিআই(এমএল) বিজয়ী হবে। তিনি এই অভিমত ব্যক্ত করেন যে, সরকার মিথ্যা অভিযোগে মানবাধিকার কর্মীদের গ্রেপ্তার করে আর আমাদের ব্যাঙ্কগুলোর লক্ষ-কোটি টাকা লুন্ঠনকারী দুর্নীতির নায়কদের বিদেশে পালিয়ে যেতে দেয়, আর তাই জনগণ অবশ্যই তাদের যথাযোগ্য জবাব দেবেন। তিনি কর্মীদের স্মরণ করিয়ে দেন, মহেন্দ্র সং-এর স্বপ্নকে সফল করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে লড়তে হবে। তিনি আরো বলেন, কোডারমার মত ঝাড়খণ্ডের অন্যান্য স্থানেও পার্টি তার শক্তিকে সমাবেশিত করে ২০১৯ সালে মোদীর স্বৈরাচারের অবসান ঘটিয়ে জনগণের শাসন ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবে।

খণ্ড-25
সংখ্যা-30