খবরা-খবর
বিহারে আন্দোলনে সফল হলেন আশা কর্মীরা

আশা কর্মীরা মাসে ১৮,০০০ টাকা সাম্মানিক ভাতা সহ ১২ দফা দাবিকে সামনে রেখে আন্দোলন চালাচ্ছিলেন। ধারাবাহিক আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে তা অবশেষে সাফল্য লাভ করলো। আশা কর্মীদের যে ধর্মঘট শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর, সরকার আশা কর্মীদের কিছু দাবি মেনে নেওয়ায় সেই ধর্মঘট প্রত্যাহৃত হলো ২০১৯-র ৮ জানুয়ারী। আশা কর্মীরা আগে যা পেতেন, এখন থেকে তাঁরা ১০০০ টাকা সাম্মানিক ভাতা এবং নিয়মিত কাজ করার জন্য আরও ২০০০ টাকা অতিরিক্ত পাবেন।

তাঁদের আন্দোলনকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে তাঁরা ২০১৮-র ২৭ ডিসেম্বর পাটনা সহ সারা বিহার জুড়ে রেল চাক্কা জ্যাম সংগঠিত করেন। রেল লাইনে নেমে লাইন অবরোধ করেন, ফলে প্রায় ২ ঘন্টা রেল পরিবহন স্তব্ধ হয়ে যায়। এইভাবে আন্দোলন আরো নির্ধারক স্তরে পৌঁছায়। ‘‘আশা সংযুক্ত সংঘর্ষমোর্চার’’ ডাকে বিহারের প্রায় ১ লক্ষ আশা কর্মী অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছিলেন। আশা কর্মীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নীতীশ-মোদী সরকারকে তাদের নীরবতা ভাঙ্গতে বাধ্য করার লক্ষ্যেই রাজ্যব্যাপী প্রতিবাদের ডাক দেওয়া হয়েছিল। সরকার একমাস কাল ব্যাপী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কোনো আলোচনা তো চালায়নি, উল্টে আশা কর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দমন মূলক পদক্ষেপ নিয়েছিল। যখন সে আন্দোলনের সামনে আলোচনার টেবিলে বসতে বাধ্য হল, তখনও সে বলে চললো যে আশা কর্মীরা মাসে সাম্মানিক ভাতা পাওয়ার যোগ্য নয়, কেননা তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের এক প্রকল্পে স্বেচ্ছাসেবী হিসাবে কাজ করছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে চার দফা আলোচনা চলার পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী এক সাংবাদিক সম্মেলনে আশা কর্মীদের ১২ দফা দাবিকে মেনে নেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন। সাম্মানিক ভাতা বৃদ্ধি করা ছাড়াও শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন আশা কর্মীদের জন্য এ এন এন প্রশিক্ষণ স্কুলগুলোতে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ, বি সি এম পদগুলিতে যোগ্যতা সম্পন্ন আশা কর্মীদের নিয়োগের ব্যবস্থা, ৩১ মার্চের মধ্যে আশা কর্মীদের সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া, আশা কর্মীদের বিভিন্ন বীমা প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করতেও সরকার রাজি হয়। সরকার আশা কর্মীদের জন্য একটি গাইড বুক তৈরীতেও সম্মত হয় যা প্রকারন্তরে তাদের সরকারি কর্মীর মর্যাদা দেবে।

আশা কর্মীদের যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ পাটনায় ১২ জানুয়ারী বিজয় মিছিল সংগঠিত করবে।

খণ্ড-26
সংখ্যা-2