প্রতিবেদন
ভোজপুর আন্দোলনের বিপ্লবীদের স্বপ্নকে মূর্ত রূপ দিতে হবে
(গত ১৮ ডিসেম্বর সি পি আই (এম এল) লিবারেশন উদ‌যাপিত ''সংকল্প দিবসে বিহারের ভোজপুর জেলার আরা শহরে পার্টি শক্তির উদ্যোগে নির্মীত এক ''ক্রান্তি পার্কে'' শহীদ ও প্রয়াত পাঁচজন পার্টি নেতা কমরেড রামেশ্বর যাদব, জগদীশ প্রসাদ (মাস্টারজী), রামনরেশ রাম, জহর (সুব্রত) দত্ত ও বিনোদ মিশ্রের আবক্ষ মূর্তি উন্মোচন সম্পন্ন করা হয়। ঐ দিনের কর্মসূচীতে পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড দীপঙ্কর ভট্টাচার্য যে ভাষণ দেন তা এখানে প্রকাশ করা হল। কর্মসূচীর রিপোর্ট গত সংখ্যায় প্রকাশ করা হয়েছিল। —সম্পাদকমণ্ডলী)

আমাদের সকলের জন্য আজ সংকল্প দিন। যে স্বপ্ন আমাদের মনে ছিল, তাকে কিছুটা এগিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছি, তাতে আমরা খুশী। আন্দোলনে এগিয়ে যেতে আমাদের কাছে এক বড় প্রেরণা।

''বিশ বছর আগে পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক চলাকালীন লক্ষ্ণৌতে কমরেড বিনোদ মিশ্র আমাদের ছেড়ে চলে যান। তখন থেকে প্রতি বছর ১৮ ডিসেম্বর আমরা সংকল্প দিবস পালন করি। কারণ আমাদের ছেড়ে চলে যাওয়া নেতাদের, শহীদদের শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার এটাই এক রাস্তা। তাঁদের অসমাপ্ত কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে, তাঁদের আশাকে লক্ষ্যে পৌঁছাতে লেগে থাকাই একমাত্র রাস্তা। এইবার আমরা ভেবেছি এই সুযোগে এই ক্রান্তি পার্কের নির্মাণে ভোজপুরে বিপ্লবী আন্দোলনের যে সমস্ত পরম্পরা আছে, তাকে সেলাম জানাব। নকশালবাড়ির বসন্তের বজ্রনির্ঘোষ সমস্ত দেশে কমিউনিস্ট আন্দোলনকে নতুন দিশা, নতুন শক্তি দেয়, নতুন বল দেয়। কিন্তু তারপরে পশ্চিমবাংলায় আন্দোলন ধাক্কা খায়, কিন্তু তার স্ফুলিঙ্গ ভোজপুরের একওয়াড়ীতে এসে পড়ে এবং কমরেড জগদীশ মাস্টার, রামেশ্বর যাদব, রামনরেশ রাম এবং শতাধিক কমরেডদের নেতৃত্বে ভোজপুরে গড়ে তোলা আন্দোলন নকশালবাড়ির আন্দোলনকে, সমগ্র পার্টিকে নতুন জীবন দেয়, বিগত ৫০ বছর ধরে লাগাতার শুধু ভোজপুর নয়, শুধু বিহার নয়, সারা ভারতবর্ষের কমিউনিস্ট আন্দোলন গণতন্ত্রের জন্য, সমানতার জন্য, পরিবর্তনের জন্য লড়তে থাকা প্রত্যেক কমরেড, প্রত্যেক শক্তি, প্রতি সংগঠন, প্রত্যেক ব্যক্তি এখান থেকে দিশা পেয়েছে, আলো দেখেছে, শক্তি পেয়েছে। এই জন্য আমরা ভেবেছি যে এই ক্রান্তি পার্কের মাধ্যমে এক প্রতীক আমরা প্রতিষ্ঠা করি, যা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য এক ঐতিহাসিক স্থান এবং প্রেরণার স্রোত হয়ে আমাদের রাস্তাকে আলোকিত করবে।''

কমরেড বিনোদ মিশ্রের ২০তম প্রয়াণ বার্ষিকীতে ১৮ ডিসেম্বর আরার ভোজপুর আন্দোলনের মহান নেতা কমরেড জগদীশ প্রসাদ মাস্টার সাহেব), কমরেড রামেশ্বর যাদব (সাধুজী), কমরেড নরেশ রাম (পারসজী), কমরেড সুব্রত দত্ত (জহর) এবং কমরেড বিনোদ মিশ্র—এঁদের স্মৃতিতে তৈরী ক্রান্তি পার্ক এবং স্মারক উন্মোচন সমাবেশে পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন—সত্তরের দশকে ভোজপুরে সামন্তী উৎপীড়ন তো ছিলই, সেই সাথে গোটা দেশে ভীষণ এক রাষ্ট্রীয় দমনও ছিল। জরুরী অবস্থা শুরুর আগে এটা মহড়া ছিল। এই সময় সি পি আই (এম এল) তৈরী হওয়ার সাথে সাথে জরবদস্ত রাষ্ট্রযন্ত্রের হামলার মুখে পড়ে পার্টি খুব দুর্বল হয়ে পড়ে। মনে হচ্ছিল সংগঠন আর দাঁড়াতে পারবে না, আর দেশের শাসক শ্রেণী বলতে শুরু করে পার্টিকে শেষ করে দিয়েছি, বিপ্লব করার সব চেষ্টা খতম করে দেওয়া হয়েছে। ওরা আর উঠে দাঁড়াতে পারবে না। এইরকম একটা কঠিন সময়ে ভোজপুর আবার এই আন্দোলনকে দাঁড় করায়। কমরেড জহরের নেতৃত্বে ১৯৭৪-এর ২৮ জুলাই মাত্র তিনজন কমরেডের কেন্দ্রীয় কমিটি পার্টিকে পুনরায় দাঁড় করায়। তারপর ১৯৭৫-এ জহর শহীদ হন। ভোজপুরে এই পর্যায় বুটন থেকে রামায়ণ রাম ও একের পর এক কমরেডরা রাষ্ট্রযন্ত্রের দমন, সামন্তী উৎপীড়ন, সব ধরনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে শহীদের মৃত্যুবরণ করে পার্টিকে এগিয়ে নিয়ে যান। তারপরেই পার্টির দেশজুড়ে পুনর্গঠন হতে থাকে। তখন থেকে আমরা লাগাতার বেড়েই চলেছি।

কমরেড দীপঙ্কর বলেন যে, জরুরী অবস্থার বিরুদ্ধে গোটা দেশে যখন গণতন্ত্রের লড়াই চলছিল, আর ১৯৭৭-এর নির্বাচনে জনগণ জরুরী অবস্থাকে ছুঁড়ে ফেলে গণতন্ত্রকে আবার বাঁচিয়ে তোলে, ওই পর্যায়ে আমাদের কমরেডরা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতেন না। কিন্তু নিজেদের জীবন বাজী রেখে গণতন্ত্রের লড়াইকে ভোজপুর ও বিহারে ছড়িয়ে দিতে কাজ করে যাচ্ছিলেন। তারপর যখন দেশে জনতা পার্টির নামে নতুন সরকার হয়, তখন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে এই আশার সঞ্চার হয়, কিন্তু সেটা হয়নি। বরং নানা ধরনের স্বৈরতান্ত্রিক প্রবৃত্তি, জনতাকে দমন, সামন্তী উৎপীড়ন, সাম্প্রদায়িক উন্মাদনার শক্তির সাথে আপোষ করে গণতন্ত্রের লড়াইকে আটকে রাখার চেষ্টা হয়। এই পর্যায়েও সি পি আই (এম এল) ভারতের কমিউনিস্ট আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করেছে।

এটা ভোজপুর, যেখানে ১৯৭৯ সালে পার্টির শুদ্ধিকরণ আন্দোলনের পর নতুন প্রয়োগ শুরু হয়। কৃষক আন্দোলনের মোর্চায় ও অন্যান্য ধরনের আন্দোলনের মোর্চায় গোটা দেশের সামনে ভোজপুর এক মডেল হয়ে সামনে আসে। আমাদের সংবিধানে এটা লেখা আছে যে, প্রাপ্ত বয়স্ক নাগরিকদের ভোটাধিকার আছে। কিন্তু এই অধিকার শুধু কাগজেই লেখা ছিল, বাস্তবে নয়। গরিবরা-দলিতরা কোনদিনই ভোট দিতে পারেনি। কিন্তু ভোজপুরের জনগণ ভোট দেওয়ার প্রশ্নেও চ্যালেঞ্জ নেন যে, ভোটের অধিকার নেবেনই। তারপরে ১৯৮৯-এর নির্বাচনে কমরেড রামেশ্বর প্রসাদ এখান থেকে জিতে ভারতের সংসদে সর্বপ্রথম বিপ্লবী কমিউনিস্ট প্রতিনিধি হিসাবে পৌঁছান। কমরেড গোটা দেশের সামনে কমিউনিস্ট আন্দোলনের সামনে, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সামনে এক নতুন উদাহরণ স্থাপিত করেন।

যখন বিহারে ১৯৯০ নাগাদ লালুজী আসেন আর বলা হয় গরিবের সরকার তৈরী হয়েছে। এবার গরিবেরা পুরো অধিকার পাবে, সম্মান পাবে। কিন্তু যা বলা হল, সেই মতন কাজ হল না, বরং উল্টো কাজ হতে লাগল। আমরা দেখলাম গণহত্যার দ্বারা সামন্তদের এগিয়ে দেওয়া ও গরিবদের বেড়ে চলা গতিবিধিকে থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়। তখন ভোজপুর আবার রাস্তা দেখালো। কমরেড রামনরেশ রাম ও কমরেড রামেশ্বরজী এই ভোজপুরের সাহার ও সন্দেশ থেকে নির্বাচনে জেতেন, যে ধারা আজও অব্যহত।

যখন আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি যে, দেশের ক্ষেতমজুর ও গ্রামীণ মজুরদের জাতীয় স্তরে সংগঠিত করার, তখনও এই কাজ শুরু হয় ভোজপুর থেকেই। এই আরাতেই প্রথম স্থাপনা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। রামনরেশজী প্রথম জাতীয় সভাপতি হন। ওঁর নেতৃত্বে কাজও এগোতে থাকে। এইভাবেই প্রতিটি মোড়ে, প্রতিটি সংকটের মোকাবিলা করে গত পঞ্চাশ বছর ধরে ভারতের কমিউনিস্ট আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ ভোজপুরের মাটি থেকেই হয়ে চলেছে। আজ যখন আবার পুরো দেশ এক কঠিন পরিস্থিতির সামনে, আমরা ভাবলাম এই ক্রান্তি পার্কের মাধ্যমে আমরা বিপ্লবের সমস্ত নেতাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি দেব।

দীপঙ্কর বলেন, এই পাঁচটি মূর্তি ভোজপুরের বিপ্লবী পরম্পরার এক প্রতীক। এঁদের সাথে আমরা সহস্রাধিক শহীদ কমরেডদের স্মরণ করছি, সবার নামে এখানে আলাদা আলাদা মূর্তি স্থাপন করা হয়ত সম্ভব নয়। তাঁদের এলাকাগুলোতে তাদের মূর্তি বা স্মারক তৈরী হয়েছে। একে তৈরী করা ও টিকিয়ে রাখা কোন সহজ কাজ নয়। এটাও এক শ্রেণী সংগ্রামও বটে। এটাও বিপ্লবের স্মৃতিকে তাজা রাখার সংগ্রামও বটে। এই স্মৃতিকে মনে রাখাও বিপ্লবের এক বড় কর্তব্যও। আর এই কাজ আমরা বারবার করেছি। ভোজপুরের সমস্ত বিপ্লবীদের ও কমিউনিস্ট আন্দোলনের এবং স্বাধীনতার আন্দোলনে ভোজপুরের মাটিতে যারা বিপ্লবের জন্য, পরিবর্তনের জন্য, জমির জন্য, সমানতার জন্য শহীদ হয়েছেন, এই সমস্ত শহীদদের সম্মানে এই ক্রান্তি পার্কে আরও একটা স্মারক নির্মাণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, আজকের পরিস্থিতি জনগণের জন্য এক কঠিন পরিস্থিতি। যখন দেশের ও বিহারের দু-জায়গাতেই এমনই সরকার রয়েছে যে গণতান্ত্রিক অধিকার—অধিকারের দাবিতে কৃষক, মজদুর, মহিলা, যুবক, আদিবাসীদের সবাইকে দমন করে যাচ্ছে। সংবিধানের মধ্যে যে নতুন রাষ্ট্র ও আধুনিক ভারতের কল্পনা আছে, তাকেও কিছু লোক নষ্ট করতে লেগেছে। সংবিধানের পরিবর্তে মনুবাদকে প্রয়োগ করার চেষ্টা করছে। এক হাইকোর্টের বিচারক ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র তৈরীর কথাবলে। জ্ঞান-বিজ্ঞান, সংস্কৃতি, মন-মস্তিষ্ক সব কিছুকেই পিছনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। কে কি খাবে, পরবে, কাকে বিয়ে করবে, এই ধরনের কথা নিয়ে সমাজকে বিভাজিত করতে ও উন্মাদনা ছড়িয়ে দিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই যে ফ্যাসিবাদী স্বৈরতান্ত্রিক শাসন চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে, এর বিরুদ্ধে জনতার স্বপ্নের ভারত নির্মাণের জন্য আমরা লড়বো, আমরা ভগৎ সিং, আম্বেদকরের স্বপ্ন, কমরেড জগদীশ, কমরেড রামেশ্বর, কমরেড রামনরেশ রাম, কমরেড জহর, কমরেড বিনোদ মিশ্রের স্বপ্নের ভারত নির্মাণের জন্য সমস্ত শক্তি লাগাব।

দীপঙ্কর আরও বলেন, সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনের ফল একটা ঝাঁকী (শুরু) মাত্র। ছত্তিশগঢ়ে বিজেপি সরকার যেভাবে আদিবাসীদের থেকে জল, জঙ্গল, জমি ছিনিয়ে নিয়ে আম্বানী, আদানিদের দিয়ে দিচ্ছিল আর এর বিরোধিতা যারাই করেছে তাদের নকশাল বলে দমন করেছে। এখানে মোদী-যোগীর ভাষণের কোনো প্রভাব পড়েনি, তাদের চরম পরাজয় হয়েছে।

১৯৮৪-র শিখ নিধনের দোষী সাব্যস্ত সজ্জন কুমারের আদালতে সাজা ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে কমরেড দীপঙ্কর বলেন, মধ্যপ্রদেশে '৮৪-র দাঙ্গায় অভিযুক্ত কমলনাথকে মুখ্যমন্ত্রী করা হল, এইভাবে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে নির্ণায়কভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। উনি বলেন, ১৯৯২-তে বাবরি মসজিদ ধ্বংস করা এবং সুরাট থেকে, মুম্বাই থেকে গোটা দেশকে যেভাবে দাঙ্গার কবলে ফেলে হাজার হাজার লোকেদের সর্বনাশ করে, হত্যা করেছে যে অপরাধীরা তাদেরও সাজা পাওয়া উচিত। ২০০২-এ গুজরাটে যার হাত রক্তমাখা তিনি আজ ক্ষমতার শীর্ষে অবস্থিত। এই সমস্ত লোকেদের সাজা পাওয়া উচিত। এই বিহারে ও ভোজপুরে বাথানী টোলা থেকে বাথে, মিঁয়াপুর, শংকরবিঘা—এই সমস্ত গণহত্যায় কাউকেই সাজা দেওয়া হয়নি। সাজা পেলেও তাদের হাইকোর্ট মুক্ত করে দিয়েছে। নীতীশ এদের মুক্ত করার কাজ করেছে। আমীর দাস কমিশনকে ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। সেই জন্য এই লড়াইকে আমাদের তীব্র করতে হবে। এখন তো তোমাকে আমরা শুধু ক্ষমতা থেকেই সরাব না, বরং সমস্ত হত্যাকারীদের ও গণহত্যাকারী শক্তিকে জেলে ঢোকানোর কাজও করব। এই জন্য কমরেড আমাদের লড়াই অনেক বড় লড়াই, কঠিন লড়াই। আর এই বড় লড়াইয়ের জন্য বড় ঐক্য চাই, হিম্মৎ চাই, ধৈর্য্য চাই। যেমনভাবে আমাদের এই পাঁচ জন কমরেড উদাহরণ রেখেছেন, তা থেকে আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, ২০১৯—আমাদের মোদী-যোগী-অমিত শাহদের মতো লোকদের পরাস্ত করতে হবে। দেশে ফ্যাসিস্ত সরকার আসা একটা বড় বিপর্যয়। আগামী নির্বাচনে আমাদের এক একটা ভোটকে এই দেশকে বাঁচাতে ও ফ্যাসিবাদকে পরাস্ত করতে কাজে লাগাতে হবে। আরও বলেন, ভোজপুর থেকে লাল ঝাণ্ডা সংসদে গেলে তা দেশকে বাঁচাতে ও পুনর্নির্মাণের কাজে লাগবে। মিথ্যার বিরুদ্ধে সত্য, হিংসার জায়গায় শান্তি এবং উন্মত্ততার জায়গায় ভ্রাতৃত্ববোধ ও ঐক্যের জন্য আমাদের ১৮৫৭, ১৯৪২-এর আন্দোলন, এবং ভোজপুর আন্দোলনের মহান পরম্পরাকে সাথে নিয়ে জবরদস্ত সংগ্রামের জন্য তৈরী হতে হবে, যেখানে স্বাধীনতা, সমানতা, ন্যায় ও ভ্রাতৃত্ববোধ, যেখানে নারী-পুরুষর মধ্যে সমানতা থাকবে, এমনই নয়া ভারত নির্মাণই ভোজপুরে আমাদের নেতাদের স্বপ্ন ছিল। এই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে পুরো শক্তিকে লাগাবো।

সবশেষে দীপঙ্কর বলেন, ক্রান্তি পার্ক দেশব্যপী বিপ্লব ও পরিবর্তনে রুচিশীল এমন মানুষদের সহযোগের শক্তিতেই তৈরী হয়েছে। আমাদের আশা ক্রান্তি পার্ক এক উদাহরণ হবে এবং আরা শহরের সমস্ত শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষেরা এবং বিপ্লবী জনতা এই পরম্পরাকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

খণ্ড-25
সংখ্যা-39