রাঁচিতে রাজভবনের সামনে ধর্ণা

হুমতা মৌজা ও কাজিবারু মৌজার গ্রাম সভার সহযোগে এ আই পি এফ রাঁচী জেলার গিরিডির বুণ্ডু ব্লকে রায়াসা জলাধার নির্মাণ বাতিলের দাবিতে রাজভবনের সামনে ধর্ণা সংগঠিত করে। এই ধর্ণার পর ঐ দাবি জানিয়ে রাজ্যপাল দ্রোপদী মুর্মুর কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। ধর্ণায় তাঁর বক্তব্যে সমাজ আন্দোলনের বিশিষ্ট কর্মী এবং এ আই পি এফ নেতা দয়ামণি বারলা বলেন, রায়াসা প্রকল্পের নির্মাণ বস্তুত সংবিধানের ৫ নং তফশিল এবং সি এন টি আইনের গুরুতর লঙ্ঘন; এই প্রকল্পকে তাই অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। ঝাড়খণ্ডের মানব, প্রাকৃতিক সম্পদ ও পরিবেশের রক্ষায় এই প্রকল্প বাতিলের জন্য চাপ সৃষ্টিতে একটি জন আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান তিনি ঝাড়খণ্ডের জনগণের কাছে জানান। সি পি আই (এম এল)-এর ঝাড়খণ্ড রাজ্য সম্পাদক জনার্দন প্রসাদ বলেন—চাণ্ডিল, দামোদর, সুবর্ণরেখা, শঙ্খ, কোয়েলকারো বা উত্তর কোয়েল বা অন্য যে কোন বড় বাঁধই হোক না কেন, সেগুলো দিয়ে কৃষক, কৃষি বা সেচের তেমন সুবিধা হয়নি। রায়াসা বাঁধ নির্মিত হলে তা মানব এবং প্রাকৃতিক সম্পদের কাছে বিপর্যয় হয়েই দেখা দেবে। বড় বাঁধ থেকে লাভ তোলে শুধু বড় বড় শিল্প ও কর্পোরেট সংস্থাগুলো। তিনি আরো বলেন, ঝাড়খণ্ডের বনভূমির সঙ্গে উপজাতি জনগণের নাড়ির যোগ রয়েছে। কর্পোরেট লালসা এই বনভূমি এবং পরিবেশকে ধ্বংস করতে উদ্যত। প্রধানমন্ত্রী জানুয়ারি মাসের ৫ তারিখে সাড়ম্বরে পালামৌ-এর মণ্ডল বাঁধের উদ্বোধন করেন। এই বাঁধ নির্মাণের ফলে ২০টা গ্রাম সম্পূর্ণ রূপে নিমজ্জিত হবে, আর এর থেকে বিহার সংলগ্ন মাত্র ১০টা গ্রাম সেচের সুবিধা পাবে। এবং নদীর অধিকাংশ জল আগের মতই বিহারে যাবে। এই বাঁধের নির্মাণ পালামৌ-এর খরা সমস্যার সমাধান করবে বলে সরকার যে দাবি করছে তা সর্বৈব মিথ্যা বলে তিনি জানান। সমস্ত বড় বাঁধের নির্মাণের বাতিলে সরকারকে বাধ্য করার জন্য আন্দোলন গড়ে তুলতে ঝাড়খণ্ডের জনগণের কাছে তিনি আহ্বান জানান। বড় বড় বাঁধ নির্মাণের জন্য ঝাড়খণ্ডের জনগণকে যে ক্ষতিস্বীকার করতে হয়েছে, যে ধ্বংসের মুখোমুখি তাদের হতে হয়েছে, তার জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিও তিনি তোলেন।

খণ্ড-26
সংখ্যা-4