বিবৃতি
ভাটপাড়ায় জনজীবন বিপন্ন, নিরাপত্তাহীনতার শিকার অথচ রাজ্য প্রশাসন ঠুঁটো জগন্নাথ

সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের রাজ্য সম্পাদক পার্থ ঘোষ এক প্রেস বিবৃতিতে বলেন — সমগ্র নির্বাচনী পর্যায় ধরে উত্তর ২৪ পরগণা জেলার কাঁকিনাড়া ও ভাটপাড়া অঞ্চলের জনজীবন সমাজবিরোধী ও দুস্কৃতিদের তান্ডবে অতিষ্ট ও বিপর্যস্ত।একদিকে প্রাক্তন তৃণমূলী, অধুনা বিজেপি বাহুবলী, অন্যদিকে দুর্নীতির শিরোমণি প্রাক্তন মন্ত্রীর এলাকা দখলের অভিযান সমগ্র এলাকাকে আজ অগ্নিগর্ভ করে তুলেছে। তা চরম রূপ নেয় বিধানসভা উপনির্বাচনে। অথচ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য পুলিশ প্রশাসন বিন্দুমাত্র উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্বেও বাড়ি-ঘর-সম্পত্তি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, বোমাবাজি, ইট-পাথর নিক্ষেপে বহু মানুষ আহত, দোকান বাজার যানবাহন বন্ধ, স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত। এমনকি প্রায় প্রতিদিন এই অঞ্চলে ট্রেন‌ অবরোধে ভুক্তভোগী নিত্যযাত্রীরা। এই এলাকা দখলের রাজনৈতিক সংঘর্ষকে আজ তারা সুকৌশলে গোষ্ঠী সংঘর্ষের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। ফলে পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলোতে তার কুপ্রভাব পড়ছে। আগামীদিনে রাজ্য কোনো পথে চলবে তার যেন এক নমুনা আজকের কাঁকিনাড়া ভাটপাড়া! অথচ এই দুই অপরাধী বাহুবলীকে এলাকায় নজরবন্দি করা বা প্রবেশের উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা এবং অপরাধীদের ও তাদের মাস্টারমাইন্ডদের গ্রেফতার করে জনজীবন কে স্বাভাবিক করে তোলার কোনো সদিচ্ছা প্রশাসনের নেই। আশঙ্কা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর পরিস্থিতি আরও জটিল ও অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠবে। তাই রাজ্য প্রশাসনকে কালবিলম্ব না করে কার্যকরী পদক্ষেপ করতে হবে। ভাটপাড়া, কাঁকিনাড়া, নৈহাটি, শ্যামনগর অঞ্চলের শান্তিপ্রিয়, বামপন্থী, গণতান্ত্রিক জনগণকেও এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হ‌ওয়ার আমরা আবেদন জানাচ্ছি। এলাকার সমস্ত শ্রমিক ও শ্রমজীবী জনগণের কাছেও আমাদের আবেদন, সতর্ক থাকুন, বিভাজনের রাজনীতিকে পরাজিত করুন।

খণ্ড-26