খবরা-খবর
সাংবাদিক বৈঠকে ডাক দেওয়া হল লড়াইয়ের
 press conference

সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের নব নির্বাচিত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক অভিজিৎ মজুমদার প্রথম সাংবাদিক বৈঠকেই ‘বিজেপি-আরএসএস’এর ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পুনর্ঘোষণা করলেন। একইসঙ্গে এরাজ্যে গণতন্ত্রবিরোধী ইউএপিএ প্রয়োগের কঠোর সমালোচনা করেন তিনি। ডাক দিয়েছেন লড়াইয়ের।

২ আগস্ট কলকাতায় সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের রাজ্য সদর দপ্তরে সাংবাদিক বৈঠকে নব নির্বাচিত রাজ্য সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য। তিনি জানান অভিজিৎ দীর্ঘদিন উত্তরবঙ্গের সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করেছেন। দীপঙ্কর দেশজুড়ে বিজেপির জনস্বার্থ-বিরোধী নানা অপকর্মের দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন। জেল হেফাজতে সদ্য প্রয়াত ফাদার স্ট্যান স্বামীর ওপর নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে দোষীদের শাস্তির দাবি জানান।

দীপঙ্করের বক্তব্যের রেশ ধরে দলের নতুন রাজ্য সম্পাদক অভিজিৎ মজুমদার বলেন, রাষ্ট্রশক্তির নির্যাতন এখনও লাগু রয়েছে। তিনি চারু মজুমদার এবং সরোজ দত্তের ওপর রাষ্ট্রশক্তি যেভাবে হামলা নামিয়ে এনেছিল সে প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। বলেন, লালবাজার লকআপে চারু মজুমদারের মৃত্যু নিয়ে তদন্ত কমিশন গঠন করেছিল বামফ্রন্ট সরকার, কিন্তু কোনও সদুত্তর মেলেনি। বর্তমান টিএমসি আমলেও তার কোনও সুরাহা মেলেনি। সরোজ দত্তের হত্যা রহস্য নিয়েও প্রশ্ন রয়ে গেছে। তিনি ৫ আগস্ট কমরেড সরোজ দত্তের আত্মত্যাগ স্মরণে দলের সমস্ত কর্মীকে নিপীড়িত মানুষের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান।

সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির অর্থ ও রাষ্ট্রশক্তি প্রয়োগের কঠোর সমালোচনা করেন অভিজিৎ। তিনি বলেন, মানুষের গণরায়ে বিজেপি পর্যুদস্ত হয়েছে। তবে, পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতা ধরে রাখা টিএমসি সরকারকে সাধারণ মানুষের স্বার্থ দেখতে হবে। এই প্রশ্নে ‘ইয়াস’ পরবর্তী পুনর্বাসনের প্রশ্নে রাজ্য সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করেন। পাশাপাশি করোনা অতিমারীতে প্রশাসনিক ব্যর্থতার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ অফিস-কাছারি খুলে রেখে লোকাল ট্রেন বন্ধ রাখা হয়েছে। অপ্রতুল সরকারি ও বেসরকারি পরিবহনও। এটা রাজ্য সরকারের দ্বিচারিতা। অভিজিৎ কোভিড টিকাকরণ নিয়েও রাজ্য সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করেন। প্রশ্ন তোলেন, বেসরকারি কেন্দ্রগুলিতে টিকাকরণ চলছে, অথচ বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও বহু জায়গায় টিকা অমিল। কোভিড বিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবি জানিয়েছেন অভিজিৎ।

দেশব্যাপী কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের এই দাবি না মেনে দমন-পীড়নের পথ নিয়েছে যা গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক। অভিজিৎ ঘোষণা করেন, আগামী ৯ আগস্ট দেশজুড়ে শ্রমিক কৃষকদের আন্দোলনকে সংহতি জানিয়ে ‘ভারত বাঁচাও’ দিবসে এরাজ্যও সামিল হবে।

- অশোকতরু

খণ্ড-28
সংখ্যা-29