উত্তরপ্রদেশে নৃশংসতা দিল্লিতে কদর্য আচরণ পুলিশের

উত্তরপ্রদেশে প্রবল নিপীড়ন শুরু করেছে পুলিশ। আলিগড়, গোরখপুর, লক্ষ্মৌ, বারানসী সর্বত্র পুলিশের নৃশংসতা মাত্রা ছাড়াচ্ছে। পুলিশ গুলি চালিয়ে, স্টান গ্রেনেড চালিয়ে ইতিমধ্যেই হত্যা করেছে ১৮ জনকে। ৭০০-র বেশি মানুষকে জেলে পুরেছে। বারানসীতে জেলে পোরা হয়েছে সিপিআই(এমএল) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মণীশ শর্মা, আইসা নেতা রাজেশ, বিবেক, বিক্রম, আশুতোষ ও অর্জুনকে। রিহাই মঞ্চের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ শোয়েব, সাড়াফ জাভেদ সহ বহু কর্মী ১৯ ডিসেম্বর থেকে গ্রেপ্তার হয়ে আছেন। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগি আদিত্যনাথ প্রতিবাদীদের বিরুদ্ধে “প্রতিশোধ” নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রকাশ্যে!

উত্তরপ্রদেশে সরকারের এই বেআইনি আচরণ ও পুলিশী নিপীড়নের বিরুদ্ধে দিল্লীর উত্তরপ্রদেশ ভবনে বিক্ষোভ কর্মসূচীর ডাক দেয় আইসা। ২৩ ডিসেম্বর এই বিক্ষোভ কর্মসূচীর ওপরও আক্রমণ নামায় কেন্দ্র নিয়ন্ত্রিত দিল্লি পুলিশ। আইসা ন্যাশনাল সেক্রেটরি সন্দীপ সৌরভ, প্রেসিডেন্ট এন সাই বালাজি, কাওয়ালপ্রীত কৌর সহ অনেক কর্মীকে গ্রেপ্তার করে বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য যুবনেত্রী সুচেতা দে সহ আরও অনেককে। বিক্ষোভ স্থলে পৌঁছনোর আগেই রাস্তাতে অনেককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বালাজি ও কাওয়ালপ্রীতকে অটো থেকে নামিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। আইসার দিল্লি রাজ্য প্রেসিডেন্ট কাওয়ালপ্রীত জানিয়েছেন যে, তাঁর সাথে পুলিশ কদর্য আচরণ করেছে, “ওরা কতজন ছিল তা বলতে পারব না, কিন্তু ওরা আমাকে ঘিরে ধরেছিল আর অনেকগুলি হাত আমার শরীরে হাত দিচ্ছিল তা নিশ্চিত বলতে পারি”। বালাজিও বলেন যে তাঁকে পুলিশ পেছন থেকে ঘাড়ে আঘাত করছিল। এসবই তাঁদের করা হয়েছে রাস্তায়, বিক্ষোভস্থলে পৌঁছনোর আগেই। পুলিশ এমনকি দুজন অফিস কর্মচারিকে, যারা ওখানে দুপুরের খাবার খেতে এসেছিলেন, প্রতিবাদকারী ভেবে মারধর করে আটক করে!

খণ্ড-26
সংখ্যা-42