খবরা-খবর
বৈঁচিগ্রামে পঞ্চায়েত ডেপুটেশন

সম্প্রতি পান্ডুয়া ব্লকে, হালদারদীঘি-বৈঁচিগ্রাম পার্টি শাখার উদ্যোগে আহূত গ্রামসভা থেকে গ্রামবাসীদের স্থানীয় বেশ কিছু সমস্যার প্রতিকারে পঞ্চায়েত ডেপুটেশনের কর্মসূচী নেওয়া হয়। গ্রামসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ২০ ফেব্রুয়ারী স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। ডেপুটেশনে ৭ দফা দাবিতে পঞ্চায়েত প্রধানকে এক স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

নাগরিক আইন সংশোধনের বিরোধিতা করে পঞ্চায়েত প্রধানকে দেওয়া স্মারকলিপিতে সিএএ-এনআরসি-এনপিআর প্রত্যাহারে পঞ্চায়েত থেকে প্রস্তাব গ্রহণ ও তা সংবাদ মাধ্যমে জানানোর দাবি রাখা হয় স্মারকলিপিতে বলা হয়,গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা প্রকল্পে মজুরি বৃদ্ধির পরিবর্তে নির্দিষ্ট মাপ অনুযায়ী কাজের অজুহাতে মজুরি কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই অন্যায়ের তীব্র বিরোধিতা জানিয়ে নির্দিষ্ট দাবি করা হয়ঃ কাজের দিন গত বছরের থেকে বৃদ্ধি করতে হবে। শ্রমিকদের ওপর কাজের বোঝা বৃদ্ধি করা চলবে না ও মজুরি ১৯১ টাকা থেকে বিন্দুমাত্র কমানো চলবেনা। ডেপুটেশনে স্থানীয় কাঁচা রাস্তাগুলি, বিশেষত বৈঁচি রেল স্টেশনে, আপ প্লাটফর্মের দক্ষিণে ওভারব্রীজ থেকে সাইকেল গ্যারেজ পর্যন্ত রাস্তাটি অবিলম্বে সংস্কার ও ঢালাই করার দাবি জানানো হয়। গ্রাম পঞ্চায়েতটির অন্তর্বর্তী একটি পল্লীতে (বৈঁচিগ্রাম কেঠোপুকুর এলাকা) সংশ্লিষ্ট অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটির অবিলম্বে একটি নিজস্ব ভবন নির্মাণের দাবি জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রসঙ্গে দাবি জানানো হয়, যাদের এখনও মাটির ঘর, তাদের অবিলম্বে পাকা ঘরের ব্যবস্থা করতে হবে এবং উপভোক্তাদের (যারা ঘর পেয়েছেন ও যারা ঘর পাবেন) তালিকা প্রকাশ করতে হবে। যারা ভূমিহীন তাদের ‘নিজ ভূমি-নিজ গৃহ’ প্রকল্প বা অনুরূপ কোনো প্রকল্পে ঘরের ব্যবস্থা করতে হবে। বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা সহ সামাজিক প্রকল্পে আবেদনগুলির অবিলম্বে নিষ্পত্তিরও দাবি জানানো হয়। সবশেষে, জমির উপযুক্ত নথি দাখিল করতে না পারায় যে সমস্ত গরিব ও ঠিকা চাষি সরকারী সাহায্য ও অনুদান থেকে বঞ্চিত হন তাদের স্বার্থে দাবি জানানো হয়ঃ যথাযথ অনুসন্ধান সাপেক্ষে ‘এরা কৃষক’ এই মর্মে পঞ্চায়েত থেকে সংশাপত্র প্রদান করা হোক এবং এই সংশাপত্রকে সরকারীস্তরে মান্যতা দেওয়ার জন্য পঞ্চায়েত থেকে অবিলম্বে প্রস্তাব গ্রহণ করা হোক।পঞ্চায়েতের প্রধান সব ক’টি দাবির ন্যায্যতা স্বীকার করেন। বিশেষত পঞ্চায়েতস্তরে সিএএ-এনআরসি-এনপিআর বিরোধী প্রস্তাব গ্রহণের প্রয়োজনকে তিনি এক বাক্যে সমর্থন করেন। ন্রেগা প্রকল্প সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘বটলনেক বা বাধাগুলি দূর করে মজুরি অন্তত গত বছরের পরিমাণে (১৮০ টাকা) দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’ পঞ্চায়েত ডেপুটেশনে ইউসুফ মন্ডল, বিনোদ আহির, শেখ হানিফ, পূর্ণিমা তুড়ি প্রমুখ স্থানীয় পার্টি নেতৃবৃন্দ ছাড়াও ‘আয়ারলা’ হুগলী জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন বাগ উপস্থিত ছিলেন।

খণ্ড-27
সংখ্যা-5