বস্তারে আধা-সেনাদের ক্যাম্পের বিরুদ্ধে আদিবাসীদের আন্দোলন এবং অব্যাহত হত্যা
Paramilitary Camps and Killings Continues

বিজাপুর ও সুকমা জেলার সীমান্তে জঙ্গল কেটে সাফ করে সিআরপিএফ’এর ক্যাম্প গড়ে উঠেছে। গত ১২ মে থেকে ছত্তিসগড়ের সুকমা জেলার সিলগার গ্রামে ঐ ক্যাম্পের বিরুদ্ধে হাজার হাজার আদিবাসী প্রতিবাদ করছেন। ১৭ মে পুলিশ ও সিআরপিএফ ক্যাম্পের প্রাঙ্গনে ৩ জন আদিবাসীকে গুলি করে হত্যা করে। একজন আদিবাসী অন্তঃসত্ত্বা মহিলা ৫ দিন পর মারা যান।

তারপর থেকে ১ মাসেরও বেশি সময় ধরে প্রতিবাদ আন্দোলন চলছে। দক্ষিণ ছত্তিসগড়ে কমপক্ষে ১২ জায়গায় অক্টোবর ২০২০ থেকে এই ধরনের আধাসেনা ক্যাম্প-বিরোধী আন্দোলন হয়েছে। রাজ্য প্রশাসন উন্নয়নের জন্য সড়কপথ নির্মাণের দোহাই দিয়ে এই সিআরপিএফ ক্যাম্পগুলি গড়ে তোলে। কিন্তু আদিবাসীরা জানেন প্রাকৃতিক সম্পদ লুঠের জন্য কর্পোরেটদের রাস্তার প্রয়োজন। বিশেষত জঙ্গল সাফ করে খনিজ সম্পদ পরিবহনের জন্য। এছাড়া মাওবাদী আক্রমণ দমনের নামে দমন-পীড়ন চালানো এবং নিরস্ত্র গ্রামবাসীদের প্রতিবাদের ভয়ে সড়ক নির্মাণ প্রশাসকের পক্ষে জরুরি। গ্রেফতার, ইচ্ছেমতো আটক করা, অত্যাচার, হত্যা ধর্ষণ, ক্যাম্পগুলিতে এবং চেকপোস্টে প্রতিদিন তল্লাশী চালানো এসব চলছেই।

গ্রামসভার বিনা অনুমতিতে এবং পঞ্চায়েত (তফশিলী অঞ্চল) আইন লঙ্ঘন করে ক্যাম্পগুলি বসানো হয়েছে। উক্ত আইনের ৪(ক) ধারায় বলা হয়েছে পঞ্চায়েত (তফশিলী অঞ্চল) বা গ্রামসভার সাথে আলোচনা করে তবেই উন্নয়নের কর্মসূচি বা তৎজনিত কারণে পুনর্বাসন, পুনঃস্থাপন, জমি অধিগ্রহণ করা যাবে। ছত্তিসগড়, ওড়িশা, ঝাড়খন্ড এবং মধ্যপ্রদেশের আদিবাসী অঞ্চলে (পঞ্চায়েত এক্সটেনশন টু শিডিউল্ড এরিয়াস অ্যাক্ট, ১৯৯৬) সংক্ষেপে ‘পেসা’ আইনটি লাগু করার নিয়মকানুনই এখনও ঠিক করা হয়নি। ২০১৮ সালে কংগ্রেস ক্ষমতাসীন হওয়ার পর ‘পেসা’ লাগু করার আশ্বাস দিয়েছিল কিন্তু আড়াই বছর পরও জোর করে সিআরপিএফ ক্যাম্প তৈরি করা হচ্ছে।

খণ্ড-28
সংখ্যা-25